আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, সময় ও দাম
এ পৃথিবীতে অনেক কিছু রয়েছে যে আমাদের কাছে অজানা যার কারণে আপনি হয়তো আপেল সাইডার ভিনেগার সম্পর্কে এখনো জানেন না। খাবার বানানো থেকে রুপচরচা রূপচর্চা থেকে চুল চুল থেকে ওজন কমানো ওজন কমানোর থেকে শরীরের শক্তি পাওয়া প্রায় সকল ধরনের কাজেই এখন সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটির ব্যবহার করা হচ্ছে তা হচ্ছে আপেল সাইডার ভিনেগার। ইহা এমন একটি উপাদান যার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ গুনাগুন পাচ্ছেন।
এক কথায় বলতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের প্রায় সকল কাজের ক্ষেত্রে এই আপেল সাইডার ভিনেগার বিশেষভাবে জরুরি। কেননা এটা দিয়ে আপনি তুলতে পারছেন বাসনপত্রের বাথরুমে লেগে থাকা কঠিন দাগ। আপনি এটি সকল সুপারস্টার থেকে মিনিবাজার অথবা যে কোন দোকান থেকে খুব সহজে ক্রয় করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা সম্পূর্ণ আপেল সাইডার ভিনেগার সংক্রান্ত সকল তথ্য শেয়ার করতে চলেছি।
আপেল সাইডার ভিনেগার কি?
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পুরোপুরিভাবে একটি প্রাকৃতিক পণ্য তৈরি করা হয় যা আপেল দিয়ে। আপনি নাম শুনলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে এখানে আপেল বলতে আমরা সাধারণত যে আপেল বাজার থেকে ক্রয় করে পুষ্টির জন্য খেয়ে থাকে তাকেই। আপেলকে দুইবার প্রসেসিং করে তৈরি করা হয় এটি। প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করে আমরা প্রতিদিন আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে পারি ঘরে রান্না এবং রূপচর্চার কেমিক্যাল এর ব্যবহার।
আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
এটাই ভিনেগার এর মত ব্যবহার করা যায় তবে প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা প্রয়োজন অনুসারে এটিকে ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার পরিবার পরিমাণ ও ব্যবহারের বিধিতে এর পরিবর্তন আসতে পারে। ইন্টার্নেট আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে থাকলেও কিভাবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেতে হয় তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এখানে শেয়ার করতে চলেছি কিভাবে আপেল সাইডার ভিনেগার খাবেন তা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
আমরা আপনাদের প্রথমেই বলে রাখি যে আপনি কোন কাজে অর্থাৎ কোন উদ্দেশ্যে আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করছেন তার ওপর ভিত্তি করেই তার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। তবে সামান্য গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে আপনি খুব বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকার হবে। তাছাড়া অন্যান্য ভিনেগার এর মত এটিও খাদ্য সংরক্ষণ করে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও রান্নার কাজে সালাদের সাথে এবং অন্য কোন খাবারের সাথে এটাকে সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা
শুধুমাত্র স্বাস্থ্য উপকারিতা ছাড়াও এটিকে আপনি নানান কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ইহা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। আপনি চাইলে রূপ চর্চার পাশাপাশি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা কি এবং কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায়।
ওজন কমাতে
আপনি যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার জন্য খুশির খবর হলো এই যে বর্তমানে আপেল সাইডার এর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। হালকা গরম পানিতে আপেল সাইডার ভিনেগার যদি আপনি মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে দেখবেন এভাবে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনার শরীরের যে সকল মেদ রয়েছে তা কেটে যাবে। সুতরাং আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপেল সাইডার ভিনেগার খেতে পারেন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে এই ভিনেগার ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। মুখের দুর্গন্ধ আমাদের অনেকের কাছে একটি মারাত্মক সমস্যা কারো সাথে কথা বলার সময় এটি আমাদের অনেক বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। আপনি চাইলে এই ভিনেগারকে মাউথওয়াশ হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন। এটির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করে ফেলে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ি মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
পরিশেষে আমরা আপনাদের বলতে চাই যে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও আপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। আমাদের উচিত নিজেদের খাদ্যতালিকায় এটিকে যুক্ত করে এবং এরচেয়ে গুনাগুন রয়েছে তা গ্রহণ করা। আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এর ক্ষতিকর দিক ও পার্শপ্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।