বর্তমান চলাফেরার জন্য মানুষ অতরকম যানবাহন ব্যবহার করে। কেননা যানবাহন ছাড়া মানুষ দূরের পথ চলতে পারে না তাই দূর দূরান্তের পথে যাতায়াতের জন্য কোন না কোন যানবাহন প্রয়োজন হয়ে থাকে মানুষের। এই কারণেই প্রতিনিয়তই নতুন নতুন যানবাহনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশে অনেক রকম যানবাহন লক্ষ্য করি। তার ভেতরে মানুষ সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকে বাইক বা মোটরসাইকেল। বাংলাদেশের সাধারণত মোটরসাইকেল অনেক রকম লক্ষ্য করা যায় যেগুলো বিভিন্ন রকম কোম্পানির হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের অনেক রকম কোম্পানি মোটরসাইকেল রয়েছে যেগুলো বেশ উন্নত তবে যুগের পরিবর্তে বা সময়ের পরিবর্তে ডিনার করতেন নতুন নতুন মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে যেগুলো প্রায় প্রতিটি দৃষ্টিনন্দন। তবে বর্তমান সময়ে বেশ পরিচিত একটি কোম্পানির নাম হলো বাজাজ। বাজাজ কোম্পানির একটি মোটরসাইকেলটি বেশ কিছুদিন যাবত ধরে বাজারে দেখা যাচ্ছে যেটা হলো discover 125.
এই মোটরসাইকেলটি অন্যান্য মোটরসাইকেলের থেকে বেশ আলাদা। কেননা এখানে বেশ উন্নত মানের মেট্রেরিয়াল দ্বারা তৈরি হয়। যা অনেকটাই শক্তিশালী এবং গদি সম্পন্ন।
ডিসপ্লেসমেন্ট: এই ডিসকভার ১২৫ মোটরসাইকেল দিস প্লেসমেন্ট দেয়া হয়েছে ১২৪.৫
যা অন্যান্য মোটরসাইকেলের তুলনায় একটু কম হলেও ডিসকভার 125 মোটরসাইকেল এর তুলনায় ডিসপ্লেসমেন্ট টা পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। যার কারণে এই মোটরসাইকেল অনুযায়ী তার গতি সীমাবদ্ধ রয়েছে।
গিয়ার: সাধারণত বেশ কিছু মোটরসাইকেল লক্ষ্য করা যায়। যেগুলোর গিয়ার তিন থেকে চারটা পাওয়া যায়। তবে এই ডিসকভার 125 বাইকটিতে গিয়ার দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচটা। যার কারণে গতিটা অন্যান্য মোটরসাইকেলের তুলনায় একটু ভিন্ন।
খুবই স্মুথভাবে গিয়ার কন্ট্রোলিং সিস্টেম করা হয়েছে। যার কারণে চালকরা এই ডিসকভার 125 গাড়িটি ব্যবহার করে বা জ্বালিয়ে অনেক মজা পেয়ে থাকে।
মাইলেজ: প্রতিটি বাইক চালকদেরই সাবধান থাকতে হয় বা একটু হিসেব করে বাইক চালাতে হয় কেননা বাইক চালাতে প্রয়োজন হয় তেলের। সাধারণত মানুষ এমন বাইক খুঁজে যেখানে তেলের কোন ব্যবহার হবে না তবে এমনটা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
তবে আপনি এমন বাইক পেতে পারেন যেখানে খুবই কম পরিমাণ তেল খরচ হবে যার কারণে আপনি অর্থনৈতিকভাবে একটু সাশ্রয় হতে পারবেন। যেমন আপনি যদি এই ডিসকভার ১২৫ বাইকটি চালিয়ে থাকেন বা আপনি যদি এই বাইকটি নিয়ে থাকেন তবে আপনার তেল খরচটা অনেকটাই কম হবে।
কেননা এই ডিসকভার ১২৫ বাইকটি চালিয়ে অনেকটাই কম তেল ইউজ হয়ে থাকে। আপনি যদি ১ লিটার তেল নিয়ে এই বাইক চালাতে শুরু করেন। তবে আপনি সেই এক লিটার তেলে ৫৫ কিলোমিটার অব্দি যেতে পারবেন যা আপনার জন্য অনেকটাই সুবিধা।
তবে তো আপনি অন্যান্য বাইকগুলোতে এই সুবিধাটা খুবই কম পাবেন। কেননা অনেক বাইক আছে যেগুলোতে বিপুল পরিমাণ তেল খরচ হয়ে থাকে। যার কারণে বাইক চালকরা তাদের নিজস্ব বাইক গুলো চালিয়ে কখনোই খুশি হয় না। তাই আপনি যদি এই ডিসকভার 125 গাড়িটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে আপনি অনেকটাই সাশ্রয় হতে পারবেন বাইকের তেল নিয়ে।
স্টার্টিং মেথড : সাধারণত প্রতিটি বাইকেই স্টার্ট করার জন্য দুইটি অপশন থাকে । একটি হল কিক আরেকটি হল সেলফ।
এই দুটি মাধ্যমেই বাইক স্টার্ট করা সম্ভব হয়। প্রতিটি বাইকেই এই দুইটি অপশন থাকলেও এই ডিসকভার 125 মডেলটিতে খুবই ফাস্ট স্টার্ট হয়ে থাকে। আপনি যদি কিক দিয়ে গাড়িটি স্টার্ট করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি একদকিকেই গাড়ি স্টার্ট করতে সক্ষম হবেন। যা অন্যান্য বাইকগুলোতে কখনোই এককিকে গাড়ি স্টার্ট করা সম্ভব হয় না।
ডিসকভার ১২৫ দাম ২০২২
এবার আপনাদেরকে জানাবো এই বাইকটির দাম সম্পর্কে। আপনারা যেমন এই বাইকটির অন্যান্য বাইকের থেকে সুবিধাগত দিকগুলো লক্ষ্য করলেন। তেমনিভাবে দামের দিক থেকেও অনেকটাই কম এই বাইকটির তুলনায়।
বর্তমানে আপনি যেকোনো শোরুম থেকে ১,২৬,০০০ টাকা দিয়ে আপনি ক্রয় করতে পারবেন। এ বাইকটির সুবিধা গত দিক থেকে দামটা অনেকটাই কম যা আপনার হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। তাই আপনাদের এই ডিসকভার 125 মোটরসাইকেলটির দাম এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন বলে মনে করছি।
