সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ – সাইপ্রাস বেতন, খরচ
আপনারা হয়তো অনেকেই সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের কাজের সন্ধানে যাবার কথা ভাবছেন। তবে অনেকেই জানেন না। সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন। এবং কত টাকা খরচ হবে সাইপ্রাস ভিসা পেতে। এছাড়াও কি কি প্রসেস রয়েছে এ সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।
তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করছি সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত আপডেট তথ্য। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আপনাকে কি কি করতে হবে এবং কত টাকা খরচ হবে এই ভিসার জন্য এই সমস্ত বিস্তারিত আমরা প্রকাশ করেছি। যা দেখে হয়তো আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন। আপনার অজানা সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো।
বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক দেশের মতোই সাইপ্রাস বিভিন্ন কাজের সন্ধানে অন্যান্য দেশ থেকে অনেক মানুষ যেতে পারে। কেননা সাইপ্রাস বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে সেখানে বিভিন্ন লোক গিয়ে বিভিন্ন রকম কাজ করতে পারে।বাংলাদেশ সহ দুবাই ইন্ডিয়া এ সমস্ত ক্রান্তি থেকেও অনেক মানুষ সারপ্রাইজ যাবার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। সাইপ্রাস গিয়ে কাজের মাধ্যমে কত টাকা বেতন পাওয়া সম্ভব। তা নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করেছি।
সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২২
বর্তমানে সাইপ্রাস যেতে হলে আপনি দুই ধরনের বিষয় যেতে পারবেন তবে দুইটি বিষয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা একটি সিজেনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আরেকটি নন-সিজেনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই দুইটি ভিসার মাধ্যমে আপনি সাইপ্রাসে গিয়ে নানান ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন।
এই বিষয়গুলোর মেয়াদ ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর হয়ে থাকে। এই এক বছর মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যদি আপনি নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে দেড় লাখ টাকার মতন। তবে আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনাকে আবার দেশে ফিরে আসতে হবে।
এছাড়া নরমাল আরো অনেক রকম ভিসা আছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সাইপ্রাস দুই থেকে আড়াই বছরের মতো থাকতে পারবেন। তবে এই ভিসা নিতে আপনার খরচটা একটু বেশি হবে। এই ভিসাটি নিতে আপনার দুই থেকে তিন লাখ টাকার মতন খরচ হতে পারে। তবে আপনি পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ রিনিউ করতে পারবেন বা সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে:
সাইপ্রাস যদি আপনি সিজনাল ভিসায় যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচটা কম হবে। এবং ননসিজিন খরচটা অবশ্যই একটু বেশি হবে। তবে আপনি যদি সিজনাল ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ১ থেকে ২ লাখ টাকার মতন এবং আপনি যদি নন-সৃজনার ভিসা য় যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হবে নন-সিজেনার ভিসা নিয়ে যেতে।
তবে এর সাথে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক ভিসা সম্পর্কিত যে সকল খরচ গুলো হয়ে থাকে। এই সকল খরচ গুলো সহকারে কত টাকা খরচ হবে তা জেনে নেবেন তাদের কাছ থেকে। যে এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা ভিসা প্রসেসিং করবেন। এছাড়াও আপনি সাইপ্রাস যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন কাজের উদ্দেশ্যে। সেই কোম্পানি ও বিভিন্ন রকম খরচ বহন করে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি আপনার কোম্পানির সাথে ভালোভাবে বহন করবে কিনা।
সাইপ্রাস যাবার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
সাইপ্রাসের ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের দরকার আছে। যে কাগজপত্র গুলো ছাড়া আপনার ভিসা প্রসেসিং হবে না। যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন সেগুলো হল,, ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, নির্দিষ্ট কাজের ওপরে দক্ষতার প্রমাণ।
আপনার এখানে যে কাগজগুলো লক্ষ্য করলেন এগুলো মাস্ট প্রয়োজন। তাই অবশ্যই ভিসা আবেদনপত্রের সাথে এই কাগজপত্র গুলো জমা দিবেন।
সাইপ্রাস বেতন কত:
সাইপ্রাসে একজন কর্মী বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। তবে আরও একটু দক্ষতা বেশি থাকলে আরো কিছু বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তবে সাইপ্রাসে যে সমস্ত শ্রমিকরা হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং কৃষি কাজ করে। তাদের বেতন মিনিমাম ৮০০ ইউরো হয়ে থাকে।