দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত এবং দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং

আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হল দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আপনার আমাদেরই আর্টিকেল থেকে খুব সহজভাবে জানতে পারবেন দুবাই ভিজিট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হবে এবং বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে। তাই আপনারা যারা দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা সম্পর্কে কোন রকম তথ্য জানেন না। তারা আমাদেরই সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে পারেন দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা সম্পর্কিত আপনার অজানা তথ্যগুলো।
বর্তমানে যদি আপনি দুবাইয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সকল প্রকার বিষয় নিয়ে যেতে পারবেন যেমন টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিংবা ভিজিট ভিসা বর্তমানে এই সবগুলো বিষয় চালু আছে যার কারণে আপনারা যে ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান না কেন। সেই বিষয়টি প্রসেসিং করার সময় ভালোভাবে চোখ খোলার আগে করবেন।
কেননা আপনি যদি ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে যদি আপনাকে অন্যান্য ভিসা দেয়া হয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক রকম ঝামেলায় পড়তে হবে। এছাড়াও আপনি যদি দুবাইয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে যদি আপনাকে ভিজিট ভিসা দেয়া হয় তবে সেখানে গিয়ে আপনি কোন রকম কাজের সুযোগ পাবেন না। তাই অবশ্যই ভিসা প্রসেসিং এর সময় দেখে শুনে কাজ করবেন।
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২২
বর্তমানে আপনি যদি দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচটা আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মতন পড়বে। এর ভেতরে আপনার ভিসা সহ ভিসা প্রসেসিং এর সকল খরচ এই ৩ লাখ টাকার মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
এছাড়া ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে এয়ারপোর্ট কন্টাক্টের জন্য। বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য যে সকল খরচ গুলো আছে। সেগুলো আপনাকে নিজে থেকে আলাদাভাবে বহন করতে হবে। আপনার হয়তো অনেকেই দুবাইয়ে ভিজিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন রকম কাজের জন্য যেতে চাচ্ছে। তবে আপনার জন্য বিষয়টা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
কেননা বর্তমানে দুবাইয়ের প্রশাসন জানিয়েছে অন্যান্য দেশ থেকে যে সকল মানুষ ডুবাইয়ে ভিজিট ভিসা নিয়ে এসে বিভিন্ন রকম কাজের জন্য যোগাযোগ করবে। এতে তাদের কোনরকম লাভ হবে না আপনার যদি দুবাইয়ে কাজের জন্য যেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাদের কাজের ভিসা নিয়েই সেখানে যেতে হবে।
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং:
বর্তমানে দুবাই অন্যান্য দেশের থেকে বেশ এগিয়ে আছে বিজনেসের দিক দিয়ে দেশটি অনেকটা এগিয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন শপিং মলসহ বাজার সবগুলো সব কিছুই অন্যান্য দেশের থেকে অনেকটাই উন্নত। যার কারণে সেখানে অনেক রকম কাজের সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে। এ কারণে দুবাইয়ে অন্যান্য দেশ থেকে মানুষজন বিভিন্ন রকমের সেখানে গিয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই দেশটি ভ্রমণ করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিট ভিসা অথবা মাল্টিপ্লান্টেশন নিয়ে দুবাইয়ে যেতে হবে। ভিজিট ভিসা পাল্টে কন্ডিশন নিয়ে যদি আপনি দুবাই যেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি ৯০ দিন পর্যন্ত দেশগুলোতে থাকতে পারবেন।
সাধারণত একটি ভিজিট ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। তবে আপনি যদি এই ৯০ দিনের থেকেও বেশি সময় দুবাইয়ে থাকতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় আবার এই বিচার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে।
টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
দুবাইয়ে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে হলে বা টুরিস্ট ভিসা করতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের দরকার যেগুলো ছাড়া ভিসা প্রসেসিং অসম্ভব। তবে আপনারা যারা জানেন না প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো কি কি তারা এক্ষুনি জেনে নিন।
পাসপোর্ট এর ফটোকপি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, এয়ারলাইন্স টিকিটের ফটোকপি, হোটেল বুকিং এর ফটোকপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি, এক কপি স্ক্যান পাসপোর্ট ফটোকপি।
আপনার এখানে যে সমস্ত কাগজগুলোর নাম দেখতে পেলেন। এই সমস্ত কাগজগুলো ছাড়া আপনি ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই এই সমস্ত কাগজগুলো সঙ্গে নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে যাবেন।