Travel

গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ২০২৩ – গ্রিসে পড়াশোনার খরচ কত

আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন। এবং কত টাকা খরচ হবে গ্রিসে পড়াশোনার ক্ষেত্রে। এছাড়াও গ্রীসে পড়ালেখা করতে আর কি কি সুবিধা অসুবিধা রয়েছে সেই সমস্ত বিষয়গুলো বিস্তারিত জানাবো এই আর্টিকেল দের মাধ্যমে।

তাই এই সমস্ত তথ্যগুলো যদি আপনি জানতে চান। তাহলে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং জেনে নিন গ্রীসের স্টুডেন্ট ভিসার সম্পর্কিত আপনার অজানা তথ্য। শুধুমাত্র বাংলাদেশি নয় বিশ্বের আরো অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিনিয়তই অনেক শিক্ষার্থীরা গ্রিসে পড়ালেখার জন্য যাচ্ছে। কেননা সে দেশে পড়ালেখার জন্য রয়েছে অনেক রকম সুযোগ। এছাড়া পড়ালেখার পাশাপাশি গ্রিসে নানান কাজে নিয়োজিত থাকা যায়। যার কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু রোজগারও করতে পারে। যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য অনেকটা সুবিধার।

গ্রীসে কেন পড়তে যাবে:

বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটাই উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করছে। বা এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক সুবিধার মধ্য দিয়ে ভালো মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গ্রিসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের টপ রেংকিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত। যার কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করে অনেকটা সুবিধাভোগ করা যায়। এছাড়াও গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাতে কলমে শিক্ষাদানের সুযোগ রয়েছে।

যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরো ভালোভাবে সে সকল বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পারে। এবং এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার ফলে সেখানকার বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে জব পাবার একটি আশা থাকে। যার কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার জন্য এত আগ্রহী।

স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাবেন:

গ্রিসের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। যে যোগ্যতাগুলো ছাড়া ভিসাটি করতে পারবেন না।স্টুডেন্ট ভিসা করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার এইচএসসি রেজাল্ট প্রয়োজন হবে। সর্বনিম্ন আপনার ৩.৫ থাকতে হবে। এবং আইএলটিএস স্কোর সর্বনিম্ন ৬.৫ হতে হবে। তবেই আপনি গ্রিসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের যোগ্য হবেন।

আপনি যদি মনে করেন আইএলটিএস স্কোর ছাড়াই গ্রীসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে গ্রিক ভাষা। আপনি যদি গ্রীক ভাষা জানেন। সে ক্ষেত্রে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবশ্যই আইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয়।

শুধুমাত্র তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করে ফলে অনেক রিকোয়ারমেন্ট থাকে যে রিকোয়ারমেন্টগুলো যদি আপনার থাকে তবে আপনি আবেদন করতে পারবেন অবশ্যই তাদের রিকোয়ারমেন্টগুলো অনুযায়ী আপনার যোগ্যতা থাকা লাগবে।

তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের জন্য কি কি রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে। এবং কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন এ সমস্ত যদি জানতে চান।সে ক্ষেত্রে গ্রীসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি এই তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন। এবং সেই তথ্য মোতাবেক আপনি প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়ালেখার জন্য আবেদন করতে পারেন।

গ্রিসে কি কি কোর্স করানো হয়:

গ্রিসের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি অনেক রকম কোর্স করতে পারবেন। যে কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে করতে পারবেন সেগুলো হলো,, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ,ইলেকট্রনিক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, সিরামিকস, ইলেক্ট্রোমেডিকাল, সফটওয়্যার ,,ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, বায়োকেমিস্ট্রি, অ্যানিমেশন মাল্টিমিডিয়া সহ আরো অনেক কোর্স করানো হয়। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারেন।

আপনি আপনার পছন্দের পোস্টটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। এবং এই কষ্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি গ্রীসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করতে পারেন।

গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন সেগুলো হল,,, ছয় মাস মেয়াদী একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট, চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইনভাইটেশন লেটার, আইএলটিএস স্কোর সনদপত্র, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এন আই ডি কার্ড এর ফটোকপি, নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রশংসাপত্র, সমস্ত কাগজপত্র দূতাবাস হতে সহায়ত।

গ্রিসে পড়ালেখার খরচ কত:

গ্রিসে পড়ালেখার ক্ষেত্রে একটি স্টুডেন্টের মাসে ১৫০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। থাকা খাওয়া এবং পড়ালেখার যাবতীয় খরচ এই পনেরশো টাকার মধ্যে হয়ে যায়। তবে বাড়তি কোন আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মিনিমাম ২০০০ টাকা মতন খরচ হয়ে থাকে একটি শিক্ষার্থীর।

Related Articles

Back to top button
Close