NID Card

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল হওয়ার কারণে হোক অথবা একাধিকবার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার কারণে অনেকেই রয়েছেন যারা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চান। ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে ইন্টারনেটে অনেকে জানতে আগ্রহী। আমরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি সময়ের জনপ্রিয় ট্রেন্দিং টপিক ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম।

ভোটার আইডি কার্ড আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট ভূমিকা পালন করে আপনি জন্ম থেকে শুরু করে কর্মের ঢোকা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম করার জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জরুরি রয়েছে। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে আপনি অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারবেন তাই এখানকার তথ্যগুলো স্বচ্ছ রাখা আপনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল করে থাকেন অথবা একাধিকবার ভোটারের জন্য আবেদন করে থাকেন। এ অবস্থায় তারা চান যে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে দিতে। আজ আপনাদের মাঝে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব যে গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে মানুষ ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো জানতে চায় তার সকল উত্তর পেয়ে যাবে।

কেন ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চাই?

যারা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চায় তারা প্রকৃত নিরুপায় হয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে কারন তাদের সে এনআইডি কার্ড দিয়ে তাদের কোনো কাজই করা হবে না। কাজ না করা গেলেও তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে যেমন তাদের এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে অন্য কেউ তাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন মানুষ ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চায় তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানি।

অল্প বয়সে ভোটার

অনেক মানুষ আছে যাদের বয়স না হতেই বেশি বয়স দেখে নতুন ভোটার হয় এবং এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে। বিদেশ থেকে ফেরত আসার পর তার বয়স 30 বছর কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ অনুসারে তার বয়স 40 বছরের উপরে হয়ে যায়। এ অবস্থায় ঐ সকল ব্যক্তিরা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে আগ্রহী হয়ে যায়।

নাম পরিবর্তন করে ভোটার

অনেকেই অন্যের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের নামের পরিবর্তে সার্টিফিকেটধারী এর নাম ব্যবহার করে ভোটার হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সন্তানদের জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে যখন তথ্যের গরমিল দেখা দেয় তখন তারা বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অনেকেই রয়েছেন যারা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চান।

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

একজন ব্যক্তির ভোটার তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয় একটা এনআইডি কার্ড বাতিল করে পুনরায় আরো একটি এনআইডি কার্ড তৈরি করতে হলে আবার ভোটার হতে হবে। সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একটি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে পুনরায় ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে দুইবার ভোটার হতে হচ্ছে যা ভোটার হওয়ার জন্য দণ্ডনীয় অপরাধ।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

ভোটার হওয়ার নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুতরাং একজন ব্যক্তি তার সঠিক তথ্য দিয়ে একবারে ভোটার হতে পারবে এবং একটিমাত্র এনআইডি কার্ড হাতে পাবে। অর্থাৎ আপনি বেঁচে থাকা অবস্থায় কোন ভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে পারবেন না। তবে ভোটার আইডি কার্ডে কোন তথ্য যদি ভুল থেকে থাকে তাহলে আপনি তা সহজেই সংশোধন করতে পারবেন।

সর্বোপরি আমাদের আর্টিকেল পড়ে আপনি কি বুঝতে পারলেন এখন বুঝতে পারলেন যে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। শুধুমাত্র আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য গুলো সংশোধন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা সম্পর্কে জানতে আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পরে বিস্তারিত ধারণা পেতে পারেন।

Related Articles

Back to top button
Close