Travel

ইরাকে কাজের ভিসা আবেদন ও দাম

আজকে আমরা আপনাদের মাঝে প্রকাশ করতে চলেছি। ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কিত নানান তথ্য,, যেমন কিভাবে আপনি ইরাকের ভিসা করতে পারবেন। এবং কত টাকার বিনিময়ে আপনি ইরাকের ভিসা পাবেন। এই সমস্ত নানান তথ্য। আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষই রাখে কাজ করে আসছে। এবং আপনারা যারা এর আগে কাজের জন্য যাবার কথা ভাবছেন তারা আমাদের এই সম্পূর্ণ লেখাগুলো পড়ুন। যার থেকে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন ইরাকে যেতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে কি কি করতে হবে।

ইরাকে কাজের ভিসা:

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিক গুলো ইরাকে কাজের জন্য যাবে সে সকল শ্রমিকদের জন্য নানান ক্যাটাগরির কাজ ভাগ করা আছে। যে কাজগুলোর মাধ্যমে শ্রমিকদের অনেক নিরাপত্তা সহকারে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে পাঁচ লাখ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। এবং এ সকল শ্রমিকরা সেখানে যাবার পর নিরাপত্তা সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখবেন বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।

সেখানে শ্রমিকদের কোন রকম অসুবিধায় দিন কাটাতে হবে না। এই সমস্ত ভাবনা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কর্মসংস্থান মন্ত্রী। ৩০ থেকে যে শ্রমিক গুলো যাবে তাদের নিরাপদে থাকা খাওয়া এবং বেতনের সঠিক পাওনা সম্পর্কে নিশ্চিত স্বাক্ষর করেছেন। এবং বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য যে সকল দেশ থেকে ইরাকে কাজের জন্য শ্রমিক যাবে। তাদের ক্ষেত্রেও সেই একই পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইরাকের ভিসার দাম কত?

যদি বাংলাদেশ থেকে একটি শ্রমিক সরকারিভাবে গিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সেই শ্রমিকের ৫০ ডলার খরচ হবে। এছাড়াও আরো কাজ যেমন বিমান ভাড়া তাছাড়াও নানান রকমের সঙ্গে কাজের জন্য পাঁচ হাজার টাকার মতন খরচ হতে পারে একটি শ্রমিকের। তাছাড়া অনেক রিকোয়ারমেন্ট থাকে যে রিকোয়েন্টমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও ইরাকের ভিসা সম্পর্কিত নানান তথ্য নিচে দেয়া হয়েছে। যা দেখে খুব সহজে বুঝতে পারবেন আর কি কি করতে হবে।

ইরাকের বেতন কত?

ইরাকে আপনি যেই কোম্পানিগুলোতে কাজের জন্য যাবেন। সেই কোম্পানিতে আপনাকে বাধ্যতামূলক ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে। তাছাড়াও আপনি ওভারটাইম করতে পারেন।  তবে কোন কোন কোম্পানিতে ওভারটাইম বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে। আবার কোন কোন কোম্পানিতে আপনি ইচ্ছামতন ওভারটাইম কাজ করতে পারবেন।

তবে আপনি অফিসিয়াল ভাবে যে আট ঘন্টা কাজ করবেন। তার বিনিময়ে আপনাকে 1400 থেকে 1500 ডলার দেয়া হবে। এবং আপনি যদি হোবার টাইম করতে চান সেই তুলনায় আপনি সর্বমোট ১৭০০ ডলারের মতন ইনকাম করতে পারবেন। এর চাইতে যদি একটু ভালো কোম্পানিতে আপনার জব হয়ে থাকে তাহলে এর থেকেও বেশি বেতন পাওয়া সম্ভব। তবে এইসব কোম্পানিতে বাধ্যতামূলক আপনাকে কিছুই করতে হবে না আপনি চাইলে আপনার কাজের ফাঁকে অন্য কাজও করতে পারেন।এতে কোন অসুবিধা হবে না।

ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

এরা কি সাধারণত অনেক রকম কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে সে সকল কাজের ভেতরে ইনডোর ক্লিনার, রেস্টুরেন্ট, ওয়েটার সার্ভিস সহ আরো অনেক প্রকার কাজে শ্রমিক নেই। এছাড়া অনেক সময় ড্রাইভিং এর জন্য অনেক মানুষ ইরাকে গিয়ে থাকে। এবং রান্নার জন্য, মসজিদ ক্লিনার হিসেবেও লোক নিয়ে থাকে।

এ সকল কাজে ইরাকে যেতে পূর্বের কোন কাজের অভিজ্ঞতা লাগেনা যে কেউ এই কাজগুলোতে ভিসা করতে পারে। এই সকল কাজগুলো ছাড়াও আরো কাজ লক্ষ্য করা যায় যেমন গবাদি পশু পালন করা এবং তেলের ফ্যাক্টরি এই সকল প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনারা খুব সহজে ভিসা করতে পারবেন।

ইরাকের ভিসা পাওয়ার উপায়

ইরাকে কাজের জন্য ভিসা যদি করতে চান। তাহলে বাংলাদেশের বিএমইটির সাথে অথবা বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি এর ইরাকের কাজের ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

শুধুমাত্র এই দুইটি এজেন্সি বাংলাদেশের সরকারিভাবে শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার কাজ করে আসছে তাই আপনারা যারা ইরাকে কাজের ভিসা করতে চাচ্ছেন তারা এই দুইটি এজেন্সির মাধ্যমে আপনাদের ভিসা করে নিতে পারে।

ইরাকে ভিসা পেতে কি লাগে?

ইরাকের ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে যেগুলো আপনাকে ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করতে হবে।তারপরে আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং এ ভিসা টি করতে অবশ্যই শিক্ষাগত কিছু যোগ্যতা লাগে।তা ছাড়া আপনার প্রাপ্ত বয়স ছাড়া আপনি এই ভিসা আবেদন করতে পারবেন না।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close