নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২২ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করুন সহজেই
একজন সুনাগরিকের জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য. সাধারণত জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড একটি নাগরিকের পরিচয় বহন করে. আপনি কোন দেশের নাগরিক ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে চিহ্নিত করা যায়.
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সিম রেজিস্ট্রেশন বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন পাসপোর্ট তৈরির কাজ অথবা বর্তমান সময়ে ঋণের জন্য আবেদন করা হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড অপরিহার্য. প্রতিবছরই জানুয়ারি মাসের শুরুতেই দেশের প্রতিটি স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিস রয়েছে সেখানে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের নোটিশ প্রকাশ করা হয়. যার কারণে যারা আঠারো বছর বয়স হয়েছে অথবা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে তাদের জন্য নতুন করে ভোটার আইডি কার্ড করার নির্দেশনা দেয়া হয়.
আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার বয়স যদি 16 বছর থেকে হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার যোগ্য. আজকের এই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা আপনাদের দেখাবো নতুন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে করতে হয় এবং তার আবেদন ফি কত টাকা তার বিস্তারিত সকল তথ্য.
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
আপনার বয়স যদি 18 বছর বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনার নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত. নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার প্রক্রিয়া বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় চলমান একটি প্রক্রিয়া যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে করা সম্ভব. অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার শেষ হলে আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন এবং উক্ত পিডিএফ ফাইল ক্লিন করে আপনি যেকোন কাজে তা ব্যবহার করতে পারবেন.
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নতুন নিয়ম
তাছাড়া অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া শেষ করে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হবে. আপনাদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই আমরা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি নিচের অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি.
- প্রথমে আমরা আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার নিম্নলিখিত বেশ কিছু যোগ্যতা লাগবে তা উল্লেখ করা হয়েছে.
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে.
- আবেদনকারীর বয়স 18 বছর বা তার বেশি হতে হবে.
- আপনাকে অবশ্যই পুড়বে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেননি এমন ব্যক্তি হতে হবে.
জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় যা আমরা ইতিমধ্যে আপনাদের বলেছি. এখন জাতীয় পরিচয় পত্র আপনাকে দাখিল করার জন্য উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে হয় যার একটি তালিকা আমরা এখানে আপনাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেছি.
ভোটার তথ্য ও সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়
- অনলাইনে আবেদন করা ফর্মের প্রিন্ট কপি.
- এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর প্রিন্ট কপি শুধুমাত্র আপনার বয়সের প্রমাণের জন্য.
- জন্ম সনদ বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনো একটি.
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি.
- বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি.
- আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাহলে ভাড়া বাড়িতে থাকার বাড়িভাড়ার সনদ.
- হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ.
- মোবাইল নম্বর.
- ব্লাড গ্রুপের প্রমাণপত্র.
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে আবেদন করার সুবিধা হল এখন আপনি ঘরে বসে থেকেই সকল কাজগুলো মুহূর্তের মধ্যে করতে পারছেন যেখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে. নিজের অংশ আমরা ধারাবাহিকভাবে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগবে তা আলোচনা করেছি সুতরাং আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং সহজেই আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন সম্পূর্ণ করুন.
- প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd প্রবেশ করতে হবে.
- পরবর্তী ধাপে আবেদন করুন অথবা অ্যাপ্লাই অনলাইন অপশনে ক্লিক করুন.
- এখন আপনার সামনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য চেয়ে একটি আসবে যেখানে আপনাকে আপনার পুরো নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে তবে আপনি অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসারে যে ইংরেজি নামটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ব্যবহার করুন এবং জন্মতারিখ লিখুন.
- পরবর্তী ধাপে আপনাকে মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে যেখানে আপনাকে একটি সচল মোবাইল নাম্বার লেখবেন কারণ আপনার নাম্বার একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড প্রেরণ করা হবে.
- কোন অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে, আপনি অবশ্যই আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড টি মনে করে রাখবেন কেউ না পরবর্তীতে যদি কোনো তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার এই তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে.
অবশেষে আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেছে এখন আপনি এখানে আপনার তথ্য এডিট করার সুযোগ পাবেন. আপনি যদি কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনি প্রোফাইল ডিটেলস অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সকল তথ্য গুলো সামনে উপস্থিত হবে.
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের নিয়ম
এখানে আপনি তিন ধরনের ইনফরমেশন দিতে হবে যেমন পার্সোনাল ইনফরমেশন আইডেন্টিফিকেশন ইনফর্মেশন অ্যাড্রেস. এসকল তথ্য গুলো সাবমিট করার জন্য এডিট অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনাকে সেখানে আপনার জন্ম তারিখ ব্লাড গ্রুপ বাবা-মার ইনফর্মেশন সকল যাবতীয় তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে.
পরবর্তী ধাপে আপনাকে আইডেন্টিফিকেশন ইনফর্মেশন এ চলে যেতে হবে যেখানে আপনার পেশা শিক্ষাগত যোগ্যতা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার পাসপোর্ট নাম্বার ধর্ম ইত্যাদি বিষয়গুলো যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করতে হবে.
যথাযথভাবে ওয়ার্ড নেম গ্রামের নাম ইত্যাদি উল্লেখ করুন.
এখন আপনাকে ডকুমেন্টস আপলোড এর জন্য বলা হবে কিন্তু আপনি অনলাইন থেকে কোন ধরনের ডকুমেন্টস আপলোড করতে পারবেন না তাই তাই স্কিপ করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন.
সাবমিট অপশনে ক্লিক করলে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন জমা হয়ে গিয়েছে.
আপনার আবেদনটি যাচাই বাছাই শেষ হলে নির্বাচন অফিস কর্তৃক আপনার বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন নেওয়ার জন্য নির্বাচন অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করার কথা বলবে. আপনি সকল ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে 7 দিনের মধ্যে আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের পর আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে.