অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় ২০২৩ সহজেই লোন পান যে কোন ব্যাংক থেকে

একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান অথবা কোন কাজে অর্থ বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনার মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। এলোন অনেক সময় আমরা বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন বা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে থাকি। মূলত প্রয়োজনের তাগিদে আমরা লোন নিয়ে থাকে।
আপনার যদি জরুরি অবস্থায় টাকার দরকার হয় তাহলে আপনি অনলাইনে লোন নিতে পারবেন কেননা বর্তমানে এমন সুব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে করে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই উপযুক্ত কাগজ পাতি জমা দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে লোন নেওয়া সম্ভব। অনলাইন থেকে লোন নেওয়ার সুব্যবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সুতরাং আপনারা যারা অনলাইন থেকে লোন নিতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি করুন এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করুন। আমরা আপনাদের শতভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করছি যে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি অনলাইন থেকে লোন অবশ্যই পাবেন।
ব্যাংক লোন কি?
লোন হচ্ছে ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে ঋণ। ব্যাংক লোন বলতে আমরা কোন একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গ্রহণ করাকে বলা হয়। একজন গ্রাহক আর্থিক বিপদে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওষুধের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক থেকে টাকা গ্রহণ করে এবং সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভিত্তিতে সুদসহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে টাকা পরিশোধ করে এই ব্যবস্থাকে ব্যাংক লোন বলা হয়।
সুতরাং এ পদ্ধতিতে ব্যাংক থেকে আপনি যে অর্থ গ্রহণ করবেন বা ব্যাংক আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে তাকে বলা হয় ব্যাংক লোন। বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য লোন ব্যবস্থা চালু করেছে। সুতরাং আপনারা যারা লোন গ্রহণ করতে চান তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিভুক্ত সরকারি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে তারা অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে লোন গ্রহণ করতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক কত ধরনের লোন দেয়?
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আপনি অনেক ধরনের লোন পেতে পারেন যেগুলোর নাম আমরা নিচের অংশে উল্লেখ করেছি। আমাদের তালিকা থেকে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যেসকল লোমগুলো দেওয়া হয় তা দেখে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি লোন গ্রহণ করতে পারেন।
- কৃষি লোন
- পার্সোনাল লোন
- হোম লোন
- বিজনেস লোন
- অটো লোন
- স্টুডেন্ট লোন
- প্রবাসী লোন
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় – সহজ লোন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বর্তমানে সকল ব্যাংকগুলোয় প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গিয়েছে যার কারণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে লোন নিতে পারবেন। ব্যক্তিগত বা ব্যবসার কাজে অনেক ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এবং এল নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী সময়মতো পৌঁছাতে হবে।

এ তো বেশ কয়েক বছর আগের কথা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর আপনার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে আপনাকে আর সেই সময় নষ্ট বা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না কেননা আপনি ঘরে বসে অল্পসময়ের মধ্যেই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে 50 হাজার টাকা লোন নিন
- আপনি যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে নিতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে forms।mygov।bd ভিজিট করতে হবে।
- অফিশিয়াল হোমপেজ আসার পর আপনাকে অনলাইনে আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করুন।
- পরবর্তী ধাপে আপনি যে মাধ্যমে অনলাইনে লোন নিতে চান সেটা নির্বাচন করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
- আশা করি আপনি বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- ওপরের অংশে যে লোনের আবেদন ফরমের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যাবে।
অনলাইনে লোন অ্যাপস ইন বাংলাদেশ
অনলাইনে আবেদন ছারা বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করা হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে লোন নেওয়া যাচ্ছে। আপনাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে আমরা নিচের অংশে এসকল অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং এর ব্যবহার করে কিভাবে অনলাইন থেকে লোন নিবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
ক্রেডিট বি
ক্রেডিট বি অনেক দ্রুত লোন পাওয়ার একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি পাঁচ মিনিট থেকে 24 ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো জায়গা থেকে লোন নিতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি সর্বনিম্ন 10 হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে।
জেস্ট মানি
অনলাইনে লোন গ্রহণ করার আরও একটি জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ জেস্ট মানি। এই অ্যাপ্লিকেশনের বিশেষ সুবিধা হলো যে আপনি কোন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই অনলাইনে ইএমআই ব্যবহার করে শপিং করার সুবিধা পাবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে ল্যাপটপ মোবাইল সহ আরো অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার জন্য লোন দেওয়া হয়।
এম পকেট
একটি কার্যকরী মোবাইল অ্যাপ এখানে যেকোন সময় অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যেই লোন নিতে পারবেন। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে এই লোনটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে সুতরাং আপনার এ লোন গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি থাকতে হবে। স্টুডেন্ট আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আপনি এখানে 10000 টাকা থেকে 50 হাজার টাকার মধ্যে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
লেজি পে
অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে লোন পাওয়ার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা যে অ্যাপ্লিকেশনটি তাহলে Lazy Pay। বর্তমানে এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই অ্যাপ্লিকেশনটি অনলাইন সেক্টরে গ্রাহকদের লোন প্রদান করছে। অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি 10 হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। সুতরাং আপনার যদি জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে এক্ষুনি লোন গ্রহণ করুন।
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনি ইতিমধ্যে বালাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আমরা আশা করব আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আপনি তা যথাযথভাবে অনুসরণ করে ঘরে বসে থেকে লোন গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য যেকোনো ব্যাংকের লোন পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত পোস্ট আপডেট করুন।