এক লক্ষ টাকায় ব্যবসা – ১৫টি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমানে একটি ব্যবসা করার চিন্তা থাকলেও মূলধন বা টাকার অভাবে অনেকেই শুরু করতে পারে না। এছাড়া অনেকে আছে যাদের খুবই অল্প মূলধনের কারণে বিভিন্ন ব্যবসার সন্ধান করে থাকে। যে ব্যবসাটি তার গুছানো মূলধনে পরিচালনা করা সম্ভব। যেমন আপনারা অনেকেই আছেন যারা এক লক্ষ টাকার মধ্যে বিভিন্ন বিজনেসের সন্ধান করে থাকেন। তবে আপনারা এক লক্ষ টাকার মধ্যে অনেকগুলো ব্যবসায়ী করতে পারবেন। অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলোতে কোন একটা বেশি পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় না।
তাই এই সমস্ত ব্যবসা নিয়ে আজকে আলোচনা করব। যে ব্যবসা গুলোতে আপনারা খুবই অল্প টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারবেন।নিচে আমরা বেশ কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করছি। আপনারা এই আইডিয়াগুলো থেকে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন খুব সহজেই। তবে আপনাদেরকে এই সমস্ত ব্যবসা গুলো করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অনেক নিয়ম আছে যেগুলো মেনে চললে আপনি এই সমস্ত ব্যবসা গুলোতে লাভবান হতে পারবেন।
তাই আর বেশি দেরি না করে এক্ষুনি জেনে নিন বেশ কিছু ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্য। যে ব্যবসাগুলো আপনি সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা ইনভেস্ট এর মাধ্যমে শুরু করতে পারবে।
কম্পিউটার রিপেয়ারিং ব্যবসা:
প্রতিটি মানুষের কম বেশি কম্পিউটারে ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে প্রতিনিয়তায় কম্পিউটারে বিভিন্ন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। ঠিক সেভাবে আমাদের যখন কম্পিউটারে কোনরকম অসুবিধা দেখা দেয়। সে সময় আমাদেরকে অনেক দূর দূরান্তে গিয়ে কম্পিউটার সারাতে হয়। যাতে অনেক রকম ঝামেলা থেকে থাকে।
তবে আপনি যদি একটি কম্পিউটার রিপেয়ারিং সেন্টার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার আশেপাশের সকলে আপনার কাছে কম্পিউটার রিপেয়ারিং করতে আসবে। এবং আপনি এই কম্পিউটার রিপেয়ারিং মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন এবং এ কম্পিউটার রিপেয়ারিং ব্যবসাটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে। তার সাথে আপনিও ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করবেন। তাই এই কম্পিউটার রিপেয়ারিং ব্যবসাটি খুবই সুবিধাজনক বলে মনে করছি।
দুধের সাপ্লাই ব্যবসা:
দৈনন্দিন জীবনে দুধের ঘাটতি মেটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে বা অনেক জায়গায় সাধারণ জনগণ গরুর দুধ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়ে থাকে। কেননা বর্তমানে গরু পালনকারীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে যার কারণে দুধের সাপ্লাইও খুবই কম পরিমাণ হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার অত্র এলাকা কিংবা আশেপাশে দুধের সাপ্লাই দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন বলে মনে করা যায়।
সে ক্ষেত্রে আপনার মূলধন দিয়ে কিছু গরু কিনে নিতে পারেন। এবং সে গরুর থেকে দুধ সংগ্রহ করে আপনি সাপ্লাই দিতে পারেন। এমনকি আপনার মূলধনের টাকা দিয়ে আপনি বিভিন্ন খামার কিংবা গরু পালনকারীদের সাথে যোগাযোগ করে দুধ সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এবং পরবর্তীতে কিছু টাকা লাভ রেখে আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।
কাপড়ের দোকান:
সাধারণত আপনি যদি পাইকারি দামি কাপড় কিনে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেক কম টাকায় কিনতে পারবেন। তাই আপনি যদি আপনার মূলধন এক লক্ষ টাকা দিয়ে কাপড় কিনে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি একটি ছোট দোকান কভার করতে পারবেন।
তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দোকান করতে হবে। যে দোকানে আপনি পোশাকগুলো বিক্রি করতে পারবেন। সাধারণত পাইকারি দামে পোশাকের দাম কম হয়ে থাকে। যার কারণে ব্যবসায়ীদের খুব একটা বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না মূলধন হিসেবে। কম টাকা মূলধনে এই কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। যে ব্যবসাটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি।
ফুলের দোকান:
প্রায় সময় বিভিন্ন ফুলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার কারণে অনেক সময় ফুল সংগ্রহ করা প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি মানুষের হাতের নাগালে একটি ফুলের দোকান দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মানুষজন খুব সহজেই আপনার কাছ থেকে ভুল ক্রয় করতে পারবে এবং ফুল বিক্রি করতে আপনাকেও খুব একটা বেশি খাটনি করতে হবে না। শুধুমাত্র একটি দোকানে বিভিন্ন রকম ফুল সংগ্রহ করে আনতে হবে। তবে মানুষজন তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ফুল ক্রয় করবে।