সংযুক্ত আরব অমিরাত থেকে ই পাসপোর্ট ফি জমা

আজকে আমাদের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ই পাসপোর্ট ফি জমা সম্পর্কে সকল তথ্য। আপনি যদি বাংলাদেশের না থাকেন এবং বাংলাদেশে না থাকার কারণে পাসপোর্ট তৈরি করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন।
বাংলাদেশের ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন ঘরে বসেই। ই পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর যখন আপনাদেরকে এটার ফ্রি প্রদান করতে বলা হয় তখন আপনি দেশের বাইরে থাকায় আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করার বেশ কয়েকটি অপশন থাকার কারণে আপনারা খুব সহজেই সেখান থেকে পেমেন্ট করে নিতে পারবেন এর জন্য প্রয়োজন হবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন অথবা একটি কম্পিউটার।
আমিরাতে ই পাসপোর্ট চালু
সংযুক্তা আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশীদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির বেধে দেওয়া নিয়মের মেশিন রিডবল পাসপোর্ট এর পর এবার ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সেবাও চালু করেছে বাংলাদেশ।
দেশটির আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেট এই সেবা চালু করে। ই পাসপোর্ট সেবার দিক থেকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের আসিটি মিশনের মধ্যে যা অষ্টম ও নবম মিশন। নতুন বছরের শুরুতে যাবার টি প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছেন প্রবাসীরা।
প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস
বাংলাদেশী নাগরিকরা সুবিধা মত পাস ও ১০ বছর মেয়াদে ৪৮ ও ৬৮ পৃষ্টার পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ই পাসপোর্ট এর চিপে ব্যক্তির তথ্য ছাড়াও থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফেস ইমেজ, চোখের আইরিশের তথ্য ও স্বাক্ষর। পলিকার্বনেট ডাটা পেজে থাকবে নিরাপত্তা স্থায়িত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি।
ওমান বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে কোন ছবি সংযোজন বা কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। ই পাসপোর্টে সাধারণ আবেদনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ শ্রমিক তিনটি শ্রেণীবিন্যাস করা হলেও প্রাথমিক ধাপে আমিরাতে শুধু সাধারণ আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ই পাসপোর্ট ফি জমা
আগে এমআরপি বা ই পাসপোর্ট তৈরীর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত গুটিকয়েক ব্যাংকে পাসপোর্ট তৈরি টাকা জমা নিত। সাধারণত সরকারি সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি ওয়ান ব্যাংক এশিয়া ঢাকা ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংক এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকে পাসওয়ার্ড এর টাকা জমা নেওয়া হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে উপরে উল্লেখিত কয়েকটি ব্যাংকে টাকা জমা দানের নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে অনেকটাই। এখন থেকে আপনারা এই পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট নতুন কিংবা নবায়ন করার ক্ষেত্রে যে ফ্রি আছে সেই ফ্রিএ টাকা বাংলাদেশের যে কোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে জমা দিতে পারবেন।
পাসপোর্ট এর ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনি যখন ব্যাংকে যাবেন সে ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার হয়ে পাসপোর্ট এর ফ্রি অনলাইনে চালানোর মাধ্যমে জমা দিয়ে দিবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের শাখা বা উপ শাখাতে জমা দিতে হবে কারণ এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে এখনো এ চালানোর কার্যক্রম চালু করা হয়নি।
পাসপোর্ট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহের মধ্যে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর সে ফর্মটি প্রিন্ট করে নিয়ে পাসপোর্ট এর ফি ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হয়। ফি জমা প্রদান করার পর এর পরবর্তীতে আপনার আবেদন পত্র ফরম ব্যাংক থেকে পাওয়া রিসিভ ও ই পাসপোর্ট এর ফরম ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা প্রদান করতে হবে।
আশা করি আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন সংযুক্ত আরব আমিরা থেকেই পাসপোর্ট ফি কিভাবে জমা দিতে হয় সে সম্পর্কে।