How to

ইন্ডিয়া থেকে মোবাইল আনার উপায় ২০২৩ – ট্যাক্স ছাড়াই ভারত থেকে মোবাইল আনার

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। ভারতবর্ষে বর্তমানে বিশ্বের সকল মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। রিয়েলমি শাওমি আইটেল স্যামসাং নোকিয়া আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো বর্তমানে তাদের শাখা ও উপশাখার ভারতে চালু করেছে। তাছাড়া এ সকল মোবাইল কোম্পানিগুলোর যখন বিশ্ববাজারে নতুন মডেলের মোবাইল লঞ্চ করে থাকে তখন ভারত কে কেন্দ্র করে তারা সাধারণত ভালোমানের স্মার্টফোনগুলো ভারতের বাজারে লঞ্চ করছে।

যার কারণে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ ভারত থেকে মোবাইল আনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কেননা এখানে মোবাইল গুলোর দাম যেমন ঠিক তেমনি আপনি অফিশিয়াল ফোনগুলো এই দেশ থেকে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি অনুসারে আমরা সহজভাবে ইন্ডিয়া থেকে কোন পণ্য নিয়ে আনতে পারব না। ইন্ডিয়া থেকে যখন কোনো মোবাইল আনা হয় তখন সেটা আপনাকে শুল্ক দিয়ে দেশের মাটিতে আনতে হবে।

তবে আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেগুলো আপনাকে ইন্ডিয়া থেকে দেশের মোবাইল আনতে সাহায্য করবে। নিচের অংশে আমরা আপনাদের জন্য বেশকিছু তথ্য শেয়ার করেছে যে সকল তথ্য গুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই ইন্ডিয়া থেকে যে কোন মডেলের স্মার্টফোন গুলো আমাদের দেশের খুব সহজে প্রবেশ করাতে পারবেন।।

ইন্ডিয়া বা বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে মোবাইল আনা বা আমদানি করা নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু আপনাকে সকল পণ্য আমদানি করতে হলে বেশকিছু যত নিয়ম রয়েছে সে নিয়মগুলো অনুসরণ করে তা দেশে আনতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্ডিয়া থেকে আমাদের দেশে মোবাইল আনার জন্য কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তার সম্পর্কে জানে।

  1. আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স ব্যাংক হিসাব একটি অফিস যেকোনো একটি চেম্বার অব কমার্সের সদস্য পদ পি আর সি এসকল কাগজপত্র অবশ্যই আপনাকে থাকা জরুরি।
  2. আপনি বিদেশে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে আপনার পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করুন সেখানে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ প্রতি ইউনিটের দাম দাম কোন ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি টাকা পরিশোধ করেছেন কতদিনের মধ্যে পণ্য আপনার দেশে পৌঁছাবে তা সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য লিখুন।
  3. আপনার নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে LCA বলে যেখানে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ এবং লোডিং অর্থ প্রেরণ করবেন।
  4. অতঃপর আপনার বিক্রেতাকে পণ্য প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করুন আপনি বিমানে জাহাজে অথবা স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রেরণ করার জন্য বিক্রেতা থেকে মেইল করতে পারেন।
  5. বিক্রেতা তার পণ্য লোডিং করে আপনার পণ্যের প্যাকিং লিস্ট ডিটেলস প্যাকিং লিস্ট ইন ভয়েস ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল তথ্য ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করবে এবং একইসাথে কুরিয়ার সার্ভিসের সকল তথ্যগুলো শেয়ার করবে।
  6. পণ্য লোডিং হয়ে দেশের বন্দরে পৌঁছালে জাহাজ কোম্পানি আপনাকে BL এর কপি প্রদান করবে।
  7. আপনার কোন দেশের বন্দরে পৌঁছে গেলে আপনি একজন c&f এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়ে কাস্টমস হতে পণ্যের জন্য আপনার কাছে যে সকল তথ্য শেয়ার করা হয়েছে সেগুলো হস্তান্তর করবেন।
  8. C&f আপনার পক্ষ থেকে পণ্যটি অ্যাসেসমেন্ট সকল প্রকার পরিষদ এবং বন্দরে চার্জ পরিশোধ জাহাজের বিল মেটানোর ইত্যাদি করে আপনার ঠিকানায় পণ্য পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
  9. যেহেতু আপনার পণ্য মোবাইল সেহেতু বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি অনুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং আপনার পণ্যের এইচএস কোড এবং যে পরিমাণ হবে ফোনের দাম এর উপর ভিত্তি করে তা নির্ধারণ করা হবে।

উপরের নির্দেশনা গুলো যদি আপনি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনি বৈধভাবেই ইন্ডিয়া থেকে মোবাইল প্রেরন করতে পারবেন। আমরা আশা করব আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আপনি অতি সহজেই ইন্ডিয়া থেকে দেশে মোবাইল আনতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button
Close