Earn Money

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা ২০২৪ – কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার নিয়ম

আমরা প্রায় সকলেই জানি কুরিয়ার সার্ভিস কি বা কুরিয়ার সার্ভিস মানুষের কি প্রয়োজনে আসে। তবে এখন পর্যন্ত যারা কুরিয়ার সার্ভিস কি বুঝেন না তাদেরকে বলছি,, কুরিয়ার সার্ভিস হল একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত মানুষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। যেমন আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় থাকে। তাদের কাছে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাঠানোর হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সেখানে যাবার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে তার কাছে আপনি না গিয়েও সে মূল্যবান জিনিসটি পাঠাতে পারবেন শুধুমাত্র কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। এমনকি দূর থেকে যদি কোন ব্যক্তি আপনার কাছে কোন জিনিস পাঠাতে চাই। সেক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খুব সহজেই সে জিনিসটি আপনার কাছে পাঠাতে পারবে এবং আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

তো কুরিয়ার সার্ভিস মানুষের কি কাজে প্রয়োজন হয় তা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। তবে অনেকেই আছেন‌। যারা কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার জন্য ভাবছেন। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে এবং ব্যবসাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সমস্ত কার্যক্রম গুলো রয়েছে। সেগুলোর সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোন ধারনা নেই। যার কারণে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলেও আপনারা তা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না।

তাই আপনাদের সুবিধার জন্যই আমরা এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করেছি। কুরিয়ার সার্ভিস সম্পর্কিত সকল তথ্য। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু থেকে সঠিকভাবে পরিচালনা সম্পর্কিত অনেক তথ্য। যেগুলো আপনার ভবিষ্যতে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় অনেক কাজে দেবে। তাই আর বেশি দেরি না করে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় যে সমস্ত কার্যক্রম গুলো রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। 

১. ব্যবসার জন্য সুযোগ্য স্থান খুঁজে বের করা:

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাটি করতে হলে আপনাদেরকে একটি সঠিক জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। যেখানে সচরাচর সব মানুষই যেতে পারবে। এবং খুব সহজেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি খুঁজে পাবে। কেননা আপনার কুরিয়ার সার্ভিস অফিস টি খুঁজে বের করতে যদি খুব সময় লাগে। সেই ক্ষেত্রে অনেকেই তার পার্সেলটি পাঠাতে অন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যার কারনে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি একটি সঠিক ভাবে চলবে না। তাই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি সঠিক স্থান নির্ধারণ করা জরুরি। যাতে করে সেখানে কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই মানুষ যাতায়াত করতে পারে।

সরকারি লাইসেন্স নিতে হবে:

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে সরকারি লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া আপনার কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাটি কখনোই বৈধ হবে না। যার কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সরকারি লাইসেন্স। তাই এই লাইসেন্স নিতে যে সমস্ত কার্যক্রম গুলো সেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এবং খুব দ্রুত একটি সরকারি লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। তবে আপনি সঠিকভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

লাইসেন্স পাবার জন্য করণীয়:

  • প্রথমত আপনি যেই লাইসেন্স নিবেন তা ভাল মতন ভেবে নিতে হবে। যে আপনি কোন ধরনের লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন।
  • লাইসেন্স এর জন্য যথাযথ যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
  • এবং যে অ্যাপ্লাই এর মাধ্যমে লাইসেন্সটি পাওয়া যাবে। তার একটি এপ্লাই করতে হবে।
  • এবং আপনি যদি লাইসেন্সটি পেয়ে যান।
  • তারপরে লাইসেন্সটি রিনিউয়াল করতে হবে।

সুতরাং কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে হলে আপনার সরকারি লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। তা না হলে আপনি সরকারিভাবে কিংবা বৈধভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব লাইসেন্স করে নেয়া প্রয়োজন।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে আরও বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন। যেগুলো ছাড়া ব্যবসাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হবেন। তাই যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো খুবই প্রয়োজন সেগুলো হলো,,,

  • ট্রেড লাইসেন্স
  • অঙ্গীকারনামা
  • সংঘ স্মারক ও বিধি কপি 
  • অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সনদপত্র
  • ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন
  • আয়কর সনদপত্র
  • যানবাহনের তালিকা
  • প্রধান কার্যালয়ের দলিল বা ভাড়া চুক্তিনামা
  • ছবি, জীবন বৃত্তান্ত, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি।

এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে সঠিক কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। এবং মালাম যাতে সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছায় এই সমস্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। এছাড়াও সঠিক পরিশ্রম এবং সঠিক নিয়মকানুন মেনে চললে ব্যবসায় উন্নতি লাভ খুব সহজেই সম্ভব।

Related Articles

Back to top button
Close