How to

এ-চালান পাসপোর্ট ফি জমা

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আপনারা আমাদের কাছ থেকে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে এই চালান পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা এ চালান অর্থ কি

আসলে এ চালান বলতে আমরা বুঝি অটোমেটিক চালান কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়াকে। এ চালান পাসপোর্ট কি কিভাবে জমা দিতে হয় সে সম্পর্কে আমরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনারা এ বিষয়ে যারা জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের দেখানো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

 আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন এ সালাম পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি নতুন পাসপোর্ট করতে চান অথবা পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান আপনার জানা দরকার এ পাসপোর্ট ফি কত। এখানে বলবো বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মেয়াদের ও পৃষ্ঠা সংখ্যার পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং বাড়তি কোন টাকা লাগবে কিনা সেই সম্পর্কে।

 বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই এ পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে। আপনি অনলাইন থেকে নিজেই নির্ভুলভাবে এ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে নিতে পারবেন।

এ পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাছাড়া নিজে অনলাইনে আবেদন করতে না পারলে কোন অনলাইন সেবার দোকানে আবেদনটি করতে গেলে বাড়তি দুইশত টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচ ব্যতীত পাসপোর্ট অফিসে কোন অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হয় না।

চালান পাসপোর্ট ফি কত?

আমরা এখানে আলোচনা করব এ চালান পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে।

সাধারণত এ চালান পাসপোর্ট এর রেগুলার ফি ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের জন্য এর ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০২৫ টাকা। ১০ বছরের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে 5750 টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩২৫ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছরের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০৫০ টাকা।

আপনি যদি সুপার এক্সপ্রেস এ পাসপোর্ট করতে চান তাহলে ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট এর কি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬২৫ টাকা। দশ বছরের জন্য কি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩৫০ টাকা। এছাড়াও ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০৭৫ টাকা এবং ১০ বছরের জন্য কি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৮০০ টাকা।

উপরিউক্ত সকল ফি রং মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকারি চাকরিজীবীদের যাদের এনওসি আছে বা অবসর সনদ আছে তারা রেগুলার ফ্রি দিয়ে জরুরী সুবিধা পাবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জরুরি আবেদন প্রযোজ্য নয়।

এ পাসপোর্ট করার জন্য কোন দালাল ধরতে হবে না। আপনি নিজে অনলাইনে আবেদন করতে না পারলে স্থানীয় কোন অনলাইন সেবার প্রতিষ্ঠান বা দোকানে গিয়ে আবেদন করিয়ে নিন। এরপর ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি রং চালান জমা দিয়ে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যান। নিজের কাজ নিজে করতে শিখুন এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

অনলাইনের মাধ্যমে চালান পাসপোর্ট ফি জমা

আমরা এখন আধুনিক যুগে বসবাস করি। তাই আমরা চাইলে এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকি। আমাদেরকে এখন সময় নষ্ট করে কোন কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় না। বেশিরভাগ কাজে আমরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে পারি।

 ঠিক সেই রকমই আমরা ঘরে বসে এ পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারি। এ চালান পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য এ চালান সফ্টওয়ার এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই বিকাশ রকেট সোনালী ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার এ চালান পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। 

এজন্য আপনাকে ব্যাংকে ভিজিট করতে হবে না। এ চালান সফটওয়ারে প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করলেই খুব সহজেই এ চালান পাসপোর্ট জমা দেওয়া যায়।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close