Transfer

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় – ইতালি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত ব্যক্তি ইতালি যাওয়ার উপায় খুঁজছেন। বা ইতালি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এবং কিভাবে এই ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করবেন  এবং কত টাকার বিনিময়ে আবেদনটি করতে হবে। এই সমস্ত সকল তথ্যগুলো আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।

বর্তমানে আপনি বাংলাদেশ থেকে যে প্রক্রিয়া য় ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করবেন এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম চালু হয়েছে। করনা মহামারীর কারণে অনেকদিন থেকেই ইতালি ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার কারনে এ আবেদনটি আবার নতুন প্রক্রিয়ায় চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ইতালি সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। যা বাংলাদেশ থেকেও অনেক শ্রমিক যেতে পারবে। অনেক রকম সুবিধার মাধ্যমে।

তাই আপনারা কিভাবে এই ইত্যাদির ভিসার জন্য আবেদন করবেন। বা তার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। এবং খুব সহজভাবে বুঝে নিন। ইতালি ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো।

ইতালি কেন যাবেন?

ইতালিতে বর্তমানে অনেক ধরনের কাজের বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং সে সকল কাজের জন্য শ্রমিকরা অনেক ভালো মানের বেতন পাচ্ছে।বাংলাদেশ থেকে যারা সরকারিভাবে ইতালিতে গিয়ে থাকে তারা বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। ইতালিতে তারা নিজেদের ইচ্ছামতন কাজ বেছে নিতে পারে। 

যে সকল কাজগুলোর জন্য ইতালিতে শ্রমিকরা গিয়ে থাকে,, রেস্টুরেন্ট,মেডিকেল, কম্পিউটার অপারেটর, ক্লিনিক ,দোকান ,ড্রাইভিং এবং মেকানিক্যাল সহ অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের শ্রমিকরা অনেক সুবিধার মধ্য দিয়ে এ কাজগুলো করতে পারে এবং এই সকল কাজগুলোর ফলে একটি শ্রমিক মাসে এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে সে একজন সুখ শ্রমিকের জন্য অনেকটাই সুবিধার।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়:

আপনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইতালিতে যেতে পারবেন। তার ভিতরে প্রথম পদ্ধতিটি হল যদি আপনার ইতালিতে কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে। তাহলে তাদের মাধ্যমে ইতালি সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হল,, ইতালি যাবার জন্য কাজ করে। এমন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে আপনি ইতালি যেতে পারেন।

তবে শুধুমাত্র আবেদন করলেই আপনি ইতালি যেতে পারবেন না। আপনার আবেদনটি ইতালি সরকারের নিকট পৌঁছানোর পর সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে আপনাকে অনুমতি দেয়া হবে। তারপরে আপনি সকল রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ করে ইতালি যেতে পারবেন।আপনাদের আগেও জানানো হয়েছে ২০২২ সালে নতুন নতুন অনেক কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইতালি অনেক মানুষ যেতে পারবে। এ পদ্ধতি গুলো আপনার জন্য ভালো একটি সুযোগ হতে পারে।

ইতালি ভিসা খরচ:

ইতালি ভিসা খরচ নানান পর্যায়ের হয়ে থাকে। আপনি যদি সেখানে সিজনাল ভিসার মাধ্যমে যেতে চান। তাহলে আপনি সেখানে ছয় থেকে নয় মাসের মতন থাকতে পারবেন এবং এই সিজনাল ভিসার জন্য খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। অনেক সময় ভিসার প্রকারভেদের কারণে খরচটা কম বেশি হতে পারে।

তবে যারা ননসিজেনাল ভিসায় গিয়ে থাকে। আপনি যদি নন সিজনাল ভিসায় যেতে চান। তাহলে আপনার খরচটা ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার মতন হবে। যা সিজনাল ভিসা থেকে অনেকটাই বেশি।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

ইতালিতে আপনি যেই ধরনের ভিসাতে যেতে চান আপনাকে এর জন্য অনেক রিকোয়ারমেন্ট পালন করতে হবে বিষয়টি করতে হলে অনেক কাগজের প্রয়োজন আছে যে কাগজগুলো ছাড়া আপনি আবেদন করতে পারবেন না।

যে সমস্ত কাগজগুলো খুবই প্রয়োজন সেগুলো হলো,, 

কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট, দ্রুত আবাসের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদনের ফরম ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে। দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফটোকপি, পূর্বে কোথাও ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ, যে কাজের প্রতি দক্ষতা আছে তার প্রমাণ, আই এল টি এস স্কোর থাকতে হবে।

এ সমস্ত কাগজপত্র গুলো ছাড়া আপনি ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাই এ বিষয়ে করতে এই কাগজপত্রগুলো সংরক্ষণ করে রাখুন।

Related Articles

Back to top button
Close