Technology

বৈধভাবে PayPal একাউন্ট খোলার নিয়ম – বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খুলুন

বর্তমান বিশ্বে অনলাইন ভিত্তিক কাজ গুলো করার পর পেমেন্ট করার জন্য যে বিশেষ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে পেপাল। পৃথিবীর সকল দেশগুলোতে ব্যবহার করে গেলেও বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটি ব্যবহার করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকে অথবা অনলাইন ভিত্তিক কোন কাজের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে বুঝবেন যে আপনার জন্য একটি পেপাল একাউন্ট কতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে বিভিন্ন জটিলতার কারণে আমরা আমাদের দেশ থেকে পেপাল একাউন্ট চালু করতে পারি না যার কারণে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তারা হতাশা পড়ে গিয়েছেন। তবে বর্তমানে আপনার জন্য খুশির খবর হলো এই যে এখন আমাদের দেশে থেকে বৈধ ভাবে পেপাল একাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এখন খুব সহজেই একটি পেপাল একাউন্ট চালু করতে পারবেন।

1998 সালের ডিসেম্বর মাসে ইনফিনিটি নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ডিজিটাল আধুনিক ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করার একটি সার্ভিস চালু করা হয়। তবে পরবর্তীতে এই কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে পেপাল রাখা হয়েছে। 1999 সালের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেন সহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে খুব দ্রুত সারাবিশ্ব খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যায়।

আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করে থাকবেন যে বাংলাদেশে বৈধ ভাবে পেপাল একাউন্ট খোলা যায় না। আপনি হয়তো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কাজ করেছেন কিন্তু তার পেমেন্ট এখনো করতে পারেনি শুধুমাত্র একটি পেপাল একাউন্টে। চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আজ আমরা আপনাদের বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে একটি আর্টিকেল এর মাধ্যমে সকল তথ্য শেয়ার করতে চলেছি।

বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যেহেতু পেপাল একাউন্ট তৈরি করবেন সেহেতু প্রথমে পেপালের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাকে ভিজিট করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে অনেকেই রয়েছেন যারা পেপালের একাউন্ট কোথায় খুলে তা সম্পর্কে অবগত নন। তাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে নিচের অংশে আমরা বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করলাম যেগুলো তাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে অবশ্যই সাহায্য করবে।

20210806-190336-540x1024


create-paypal-account-3

  • একাউন্ট খোলার উদ্দেশ্যে প্রথমে আপনাকে www.paypal.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে দুইটি অপশন প্রদর্শিত হবে এদের মধ্যে একটি হল পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট আর অন্যটি হলো পেপাল বিজনেস একাউন্ট।
  • যেহেতু আপনি বাংলাদেশ থেকে খোলা যায়না তাই আপনি বিজনেস অ্যাকাউন্ট অপশনে ক্লিক করুন।
  • অতঃপর আপনার সামনে একটি রেলস্টেশন ইন্টারফেস চলে আসবে যেখানে একটি ফাঁকা থাকবে উক্ত স্থানে আপনাকে যত তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • প্রথমেই আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস লিখুন অর্থাৎ আপনি যে ইমেইল আইডি ব্যবহার করে পেপাল একাউন্ট খুলতে চান তা লিখুন।
  • আপনার ইমেইল আইডি ভেরিফিকেশন এর পর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। আপনি এখানে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • পাসওয়ার্ড সাবমিট করার পর আপনার বিজনেস সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হবে যেমন প্রথমেই আপনার বিজনেস কন্টাক্ট জানতে হবে আপনি আপনার সঠিক নাম সার্টিফিকেট আইডি কার্ড অনুযায়ী যে নামটি দেওয়া রয়েছে তা লিখুন।
  • পরবর্তী ধাপে আপনাকে বিজনেস ডিটেলস প্রদান করতে হবে আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্ম থাকে সেই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নাম তা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।
  • অতঃপর আপনার ব্যবসার জন্য যে ফোন নাম্বার প্রদান করার একটি অপশন চাবে সেখানে আপনার নাম্বারটি লিখুন।
  • পরবর্তী ধাপে আপনাকে বিজনেস অ্যাড্রেস দেওয়ার অপশন দেখতে পাবেন সেখানে যৌথভাবে আপনার পুরো ঠিকানা লিখুন।
  • সর্বশেষ ধাপের শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন নিশ্চিত করতে টিক চিহ্ন ব্যবহার করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
  • নির্দেশনাগুলো যদি আপনি যৌথভাবে করতে পারেন তাহলে পরবর্তী ধাপে আপনাকে ব্যবসা সকল তথ্য রয়েছে সে সকল তথ্য গুলো পুনরায় হবে।

পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

ওপরের অংশ গুলো যদি আপনি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন তাহলে হয়তো খুব সহজেই আপনার একটি পেপাল একাউন্ট চালু হয়ে গেছে। যেহেতু আপনি একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট চালু করেছেন তাই আপনাকে এই অ্যাকাউন্টটি অবশ্যই ভেরিফাই করতে হবে। পেপাল কর্তৃপক্ষ সাধারণত কোন ধরনের ভুয়া প্রোফাইল কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে না যার কারণে আপনাকে ভেরিফাই না করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রথমে আপনার ফোন নম্বরটি ভেরিফাই করে নিন। দুই ধাপে যাচাই করেই সেটআপ করে নিবেন। এতে করে আপনার একাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি আপনার মোবাইল নাম্বার একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট জন্ম সনদ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি যেকোনো একটি ছবি আপলোড এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

আজকের লেখা থেকে আপনারা হয়তো বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পেপাল একাউন্ট খুলতে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেন। আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে আমরা কোন ধরনের অনৈতিক নির্দেশনা আপনাদের জন্য প্রকাশ করেন সুতরাং আপনি যদি এগুলো অনুসরণ করেন তাহলে অফিশিয়াল ভাবে অবশ্যই পেপাল একাউন্ট চালু করতে পারবেন। আমাদের পাশে থেকে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Related Articles

Back to top button
Close