Health

বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ – শিশুর চোখে কেতুর হলে করণীয়

বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে চোখ ওঠা রোগ অনেক বেশি পরিচিত। বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশুরা পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সাধারণত এটি একটি মৌসুমভিত্তিক রোগ অর্থাৎ যখন এ রোগ দেখা যায় আশেপাশে যারা থাকে তাদেরকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে কেননা ইহা একটি ছোঁয়াচে রোগ। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ভাষায় চৌঠা সাধারণত এক ধরনের ছোঁয়াচে ও ভাইরাস জনিত রোগ।

কোন কারনে আপনার যদি চোখ উঠিয়ে থাকে এবং আপনার সন্তান যাদের বয়স ছয় থেকে 13 বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে আমরা এখানে বেশ কিছু ব্যবস্থা চালু করেছি যেগুলো আপনি অনুসরণ করলে অবশ্যই চোখ ওঠা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন। আজকে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের চোখ ওঠা রোগ সম্পর্কে বাজারে হয়তো অনেক ধরনের চোখের ড্রপ আপনারা খুঁজে পাবেন কিন্তু এদের মধ্য থেকে যে সকল ব্লগ গুলো ব্যবহার করলে আপনি স্বল্প সময়ের মধ্যে আরোগ্য লাভ করবেন তার তালিকা ও নাম এখানে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে বাচ্চাদের চোখ ওঠার ড্রপ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার পূর্বে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বাচ্চাদের চোখ ওঠে কেন এবং এই চোখ উঠলে কি কি পদ্ধতিতে বাড়িতে থেকেই তার চিকিৎসা করতে পারবেন তার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। সুতরাং আমরা মনে করছি আজকের এয়ার টিকেট দিয়ে আপনার বাস্তব জীবনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাই আপনি অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়বেন এবং এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন।

বাচ্চাদের চোখ ওঠার কারণ

আলোচনার শুরুতে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাদের চোখ ওঠার যে সকল কারণ রয়েছে তা শেয়ার করতে চলেছি। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে চোখ ওঠার আসল কারণ কি। যার কারণে নিচের অংশে আমরা আপনাদের জন্যও বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছে যেগুলো আপনার কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে

সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের চোখ উঠতে পারে তবে সাধারণত লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চোখে জ্বালাপোড়া সাথে ময়লা জমে তখন আমরা বুঝতে পারবো এটা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে হয়েছে। অন্যদিকে আপনার চোখ যদি শুধুমাত্র জ্বালাপোড়া করে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এই ট্রিক ভাইরাসজনিত কারণে চোখ লাল হয়েছে।

চোখে ময়লা জমলে

বাচ্চারা যখন বাইরে খেলাধুলা করার জন্য যায় তখন দেখা যায় যে তাদের চোখে অতিরিক্ত ধুলাবালি পড়ার কারণে চোখের খচখচ করতে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের চোখ লাল হতে শুরু করে এবং চোখে ধুলো বালি পড়ার কারণে আপনার চোখ উঠে যেতে পারে।

ছোঁয়াচে

আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ এর মাধ্যমে চোখ ওঠা রোগ সৃষ্টি হতে পারে অর্থাৎ উঠেছে এমন কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আপনি আসেন মানে তার ব্যবহার করা গামছা বা কোন ধরনের কাপড় যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখ ওঠার সম্ভাবনা থাকে।

মৌসুমী আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে

অনেক সময় দেখা যায় যে মৌসুমী আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের চোখ উঠতে পারে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই মূলত দেখা যায় একসাথে অনেকেরই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চোখ ওঠার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।

বাচ্চাদের চোখ ওঠার ঔষধ বা ড্রপ

উপরোক্ত কারণগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোন ভাবেই চোখ ওঠে থাকে তাহলে আপনার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা বিশেষ জরুরী। ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি বেশ কিছু ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো আপনাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে আরোগ্য লাভ করতে সহায়তা করবে। সাধারণত বাচ্চাদের চোখের ড্রপ বা ওষুধ অনেক ধরনের পাওয়া যায় তবে আপনাদেরকে অবশ্যই সচেতন ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এর সবগুলো ক্রয় করতে হবে।

  • ক্লোরোফেন
  • অপটিমক্স
  • ট্রবব্রেক্স
  • ক্লোরামফেনিকল

উপরের দেওয়া এসকল ট্রাকগুলো আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনাদের জন্য বিশেষ দ্রষ্টব্য এইযে বয়সভেদে সাধারণত ডাক্তাররা ড্রপ প্রদান করে সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের চোখের ড্রপ ব্যবহার করলেন না। আমাদের পাশে থেকে আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Related Articles

Back to top button
Close