Gadgets

ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত ২০২৪

আপনারা অনেকে আছেন যারা বর্তমানে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেবার পরিকল্পনা করেছেন। তবে ফ্লেক্সিলোড দোকানের পরিকল্পনা থাকলে অনেকেই জানে না কিভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে হয়।

তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেব। যেমন ফেক্সিলোড সিমের দাম কত। এছাড়াও আরো অনেক তথ্য এই তথ্যগুলো আপনাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি।

তাই ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কিত আপনার অজানা তথ্যগুলো জানতে আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন। এবং জেনে নিন আপনার অজানা ফ্লেক্সিলো ড সম্পর্কিত নানান তথ্য।

বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। কেননা মোবাইল আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে সাধারণত আমরা একে অন্যের সাথে কথা বলার জন্য ব্যবহার করে থাকি।

কেননা আমাদের অনেকে আছে যারা দূরদূরান্তে বসবাস করছে। প্রতিনিয়তই তাদের সাথে দেখা করা কিংবা কথা বলা হয় না। তবে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

তবে আমরা সকলেই জানি মোবাইলে কথা বলতে প্রয়োজন হয় ব্যালেন্স যে ব্যালেন্সটি ফ্লেক্সিলোড হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। আমরা বাজারে কিনবা চলার পথে আশেপাশে অনেক ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেখে থাকি যেগুলোতে সাধারণত ফ্লেক্সিলোড দিয়ে থাকে।

তবে ফ্লেক্সিলোড যদি আপনি দিতে চান বা এই ব্যবসাটি যদি করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা ফ্লেক্সিলোডের সঠিক নিয়ম বা সঠিক পদ্ধতি না জানলে আপনি কখনোই এ ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন না।

প্রথমত আপনাকে সিম কোম্পানি থেকে অনুমতি নিতে হবে বা তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি এই কার্যক্রম টি পরিচালনা করতে পারেন। অন্যের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দিতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল এবং সিম। যে সিমটি আপনাকে সাধারণত কিনে নিতে হবে সিম কোম্পানির থেকে।

তবে আদর্শ একটা সিমের দাম নয় আপনাকে যেই সিমটি তারা দেবে সেই সিমে ব্যালেন্স হিসেবে ঢুকিয়ে দেবে ৬০০০ টাকা। এবং এই টাকাটি আপনি অন্যান্য মানুষের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড হিসেবেও দিতে পারবেন। এবং এভাবেই আপনি কিছু পরিমাণ আয় করতে পারবেন।

এবং ব্যালেন্স হিসেবে আপনার সিমে যে ছয় হাজার টাকা এড করা হয়েছে। এই ছয় হাজার টাকা যদি আপনি একদিনে ফ্লেক্সিলোড দিয়ে শেষ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি পরবর্তী সময়ে সেই 6000 টাকা ফেরত পাবেন।

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে:

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসাটি শুরু করতে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন আছে। যেমন,,
দোকান
ট্রেড লাইসেন্স
ভোটার আইডি কার্ড

এ সমস্ত জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজন আপনার ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে। এই সমস্ত জিনিস দিয়ে এবং অল্প কিছু মূলধন দিয়ে আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। যাতে করে পরবর্তীতে আপনি অনেক টাকা লাভবান হতে পারবেন।

ফ্লেক্সিলোড কমিশন:

সাধারণত ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে যে কমিশনটি পাওয়া যায়। তা হল আপনি যদি ১০০০ টাকা ফ্লেক্সিলোড দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে কমিশন পাবেন 30 টাকা। এবং আপনি যদি ২০০০ টাকা ফ্লেক্সিলোড দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি কমিশন পাবেন ৬০ টাকা। এভাবে আপনি যত বেশি ফ্লাক্সিলোড দিতে পারবেন আপনার কমিশন টাও তত বেশি হবে।

ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট কিভাবে খোলা যায়:

প্রথমত একটি ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট খুলতে মোবাইলের প্লেস্টোর থেকে ফেক্সিলোড অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এবং অ্যাপটি ইন্সটল করার পর আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সে সমস্ত অপশন গুলোর মধ্য থেকে portal অপশনটিতে ক্লিক করুন।

ক্লিক করার পরে একটি ইন্টারফেস লক্ষ্য করবেন। এবং সেখান থেকে Register now download link ক্লিক করে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড অ্যাড করলেই আপনার অ্যাকাউন্টটি পুরোপুরিভাবে খোলা হয়ে যাবে।

তো এই সহজ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি একটি ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এবং পরবর্তীতে এই একাউন্টের মাধ্যমে ফ্লেক্সিলোড দিয়ে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

তো এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম এবং ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কিত নানান তথ্য। যে তথ্য অনুযায়ী আপনারা এই কার্যক্রম গুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button
Close