Travel

কুয়েত খাদেম ভিসা ২০২৩ আবেদন, বেতন ও ভিসার খরচ

মধ্যপ্রাচ্যের যেসকল দেশগুলোতে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কাজ করে তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো কুয়েত. বাংলাদেশিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সৌদি আরব কাতার কুয়েত ওমানে কয়েকটি দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিসা নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে. মোটা অংকের টাকা বেতনে চাকরির নিরাপত্তায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক এসব দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়. ভিসা সম্পর্কে ভালভাবে কোন জ্ঞান না থাকার কারণে আবার অনেকে দালালচক্রের পড়তে বাধ্য হয়.

অথচ আপনার যদি ভিসা সম্পর্কে ভালোভাবে খবর বা তথ্য জানা থাকে তাহলে সে দেশে কি আর কোনো রকম ঝামেলায় আপনাকে পোহাতে হবে না. কুয়েতে বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে নানান ধরনের ভিসা প্রদান করা হয় তাদের মধ্যে একটিভিশন নাম হল খাদেম ভিসা. আপনারা যারা এই সম্পর্কে অবগত নন তাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা কুয়েত খাদেম ভিসা কি খাদেম ভিসার আবেদন করার নিয়ম এই ভিসা করার মাধ্যমে আপনি যে চাকরি পাবেন তার বেতন কত এবং আবেদনের খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পারবেন.

সুতরাং আমরা আশা করছি যে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো যেহেতু আপনার প্রবাস জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে তাই আপনি অবশ্যই আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করার চেষ্টা করুন. কেননা ভিসা সম্পর্কে যদি আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে বাইরের দেশে গিয়ে আপনি স্বাচ্ছন্দে যাপন করতে পারবেন.

কুয়েত খাদেম ভিসা কি?

কুয়েতে বেশ কয়েক ধরনের বিচার হয়েছে তাদের মধ্যে আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো খাদেম ভিসা. খাদেম একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হল সেবক. কুয়েতে যারা স্থানীয় নাগরিক রয়েছে তারা তাদের বাসার কাজ করার জন্য সরকারের কাছে বিভিন্ন ধরনের ভিসার আবেদন করতে পারেন. সেবক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই যে স্থানীয় নাগরিকরা যে ভিসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে তাকে খাদেম ভিসা বলা হয়.

খাদেম ভিসার সাধারণত বাড়ির কাজ করার জন্য লোক নেওয়া হয় এক্ষেত্রে বাসার যেসকল গৃহস্থালির কাজ রয়েছে যেমন ভালোবাসার কাজ করা ছোট বাচ্চার খেয়াল রাখা রোগীর সেবা যত্ন করা দেখাশোনা করা ইত্যাদি. তবে আপনাদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা এইযে খাদেম ভিসার সাধারণত নারীদেরকে পা বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়. তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও যাওয়ার বিশেষ সুযোগ দেয়া হয়.

কুয়েত খাদেম ভিসার বেতন কত?

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না কুয়েতে শ্রমিকের সর্বনিম্ন একটি বেতন নির্ধারণ করা হয় কুয়েতে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন 60 কুয়েতি দিনার থেকে শুরু হয়. সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনি কুয়েতে যে কোন ভিসায় যান না কেন আপনার ন্যূনতম বেতনের 60 কুয়েতি দিনার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 1800 থেকে শুরু. এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে আপনি যদি কুয়েতে একজন খাদেম ভিসার হিসেবে যান তাহলে 60 থেকে 110 কুয়েতি দিনার এর মধ্যে আপনি বেতন পাবেন. যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে 18000 থেকে 30 হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে.

তবে এটা হচ্ছে শুধুমাত্র গড় বেতন কিছু কিছু ক্ষেত্রে কুয়েত খাদেম ভিসার জন্য 50 হাজার টাকার উপরে বেতন দেয়া হয়ে থাকে. সাধারণত খাদেম ভিসার যারা বিদেশে গমন করে তাদের বেতন বাড়ির মালিক অর্থাৎ বাড়িওয়ালা তার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রদান করে থাকে.

কুয়েত খাদেম ভিসার খরচ

উপরের আলোচনা পড়ার পর আপনার কুয়েতের খাদেম ভিসার সম্পর্কে আপনার মোটামুটি একটা ধারণা চলে এসেছে এবং আপনি ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে এই ভিসার জন্য আপনাকে কি পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে. যার কারণে অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করেছেন যে কুয়েতের খাদেম ভিসার খরচ কত তাদের জন্যই বলতে চাই যে বাংলাদেশ থেকে সাধারণত শ্রমিকরা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতের খাদেম ভিসার জন্য আবেদন করলে এই সুযোগে এজেন্সিগুলো আপনার থেকে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা গ্রহণ করবে.

তবে আপনাদের অবগতির জন্যে বলতে চাই যে কুয়েত খাদেম ভিসার আবেদন করার জন্য শ্রমিকের কাছ থেকে কোন ধরনের খরচ গ্রহণ করা হয় না. তবে আপনি যে বাড়িওয়ালার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে যাবেন উক্ত ব্যক্তির ভিসা আবেদনের সময় 116 দিনার 22 হাজার টাকার মতো সরকারকে প্রদান করতে হবে. সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার ভিসা সম্পূর্ণ খরচ বাড়িওয়ালা বহন করবে.

কুয়েত খাদেম ভিসার আবেদন করার নিয়ম

  • আবেদনকারীর অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে কেননা পাসপোর্ট না থাকলে বর্তমানে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর আবেদন করা যাচ্ছে.
  • আপনার পাসপোর্ট বই কমপক্ষে দুইটি খালি পাতা থাকতে হবে.
  • পূর্বের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে তা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে.
  • আপনার সম্প্রতি তোলা রঙিন পাঁচ কপি ছবি. ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে.
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষিত হওয়া লাগবে আবেদনের সময় মেডিকেল রিপোর্ট আপনাকে প্রদর্শন করতে হবে.
  • জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি.
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ.
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য সার্টিফিকেট অর্থাৎ সর্বশেষ পাস করা পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি.

উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে যদি আপনি কুয়েত খাদেম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন যেমনটা আমরা বলেছি তা যথাযথভাবে অনুসরণ করুন এবং ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করুন. আমরা আপনাদের আবারো জানাতে চাই যে কুয়েতের খাদেম ভিসার জন্য চাওয়ার জন্য আপনাকে কোন টাকা প্রদান করতে হয় না.

Tags

Related Articles

Back to top button
Close