Transfer

কুয়েত মাজরা ভিসা ২০২৩ আবেদন ও খরচ

আজকে আমরা যে বিষয়টা প্রকাশ করতে যাচ্ছি তা হল কুয়েতের মাজরা ভিসা নিয়ে। কুয়েতে যাবার কিছু ভিসা সিস্টেম আছে। তার ভেতরে একটি হল মাজরা ভিসা। আপনারা অনেকেই এই মাজরা ভিসা সম্পর্কে জানেন না। যারা এই মাজরা বিশেষ সম্পর্কে জানেন না। তারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ভালোভাবে মাজরা ভিসা সম্পর্কে জেনে নিন।কেননা এটা যানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত আপনারা যখন কুয়েতে যাবার জন্য চেষ্টা করবে। তখন আপনাদের ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। মে আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে যাচ্ছেন এবং যে ভিসার মাধ্যমে যাচ্ছেন। সে ভিসায় গিয়ে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি আপনার অজানা থাকে তাহলে জেনে নেবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই কুয়েতে নানা রকম ভিসায় কুয়েতে যাচ্ছে। আবার অনেকেই কুয়েতে গিয়ে অনেক রকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। কেননা তারা সে ভিসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতো না। এবং সে ভিসার মাধ্যমে সে কি কি কাজ করবে এই সমস্ত বিষয়গুলো না জেনে কুয়েতে তাই । এবং ভিসা সম্পর্কে না জেনে যাওয়ার ফলে অনেক রকম অসুবিধা পরছে অনেক মানুষ।

তাই কুয়েতে যাওয়ার পূর্বে আপনি জেনে নিন কোন ভিসার মাধ্যমে চাচ্ছেন এবং এই ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার ফলে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন। তাই আসুন আপনারা জেনে নিন মাজরা ভিসা সম্পর্কে।

মাজরা ভিসা কি?

কুয়েতের একটি ভিসা ক্যাটাগরির নাম হল মাজরা রায় শোন (১৮নম্বর). কুয়েতের যে সকল ভিসা ক্যাটাগরি আছে তার ভেতরে মাজরা ভিসা একটি। এই ভীষণ মাধ্যমে কুয়েতের নানান শ্রেণীর শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আরো বিস্তারিত জেনে নিন এই মাজরা ভিসা সম্পর্কে।

কুয়েত মাজরা ভিসার দাম কত:

বর্তমানে কুয়েতের নির্ধারিত মাজরা ভিসার দাম ৩২৫০০ টাকা। এটি শুধুমাত্র ভিসার দাম এ ছাড়াও আনুষঙ্গিক যে সকল খরচ সেগুলো আলাদাভাবে খরচ করতে হবে। যেমন আপনি আবেদনের সময় এপ্লিকেশন ফর্ম প্রয়োজন হবে। তার ক্ষেত্রেও আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটা আলাদা ভাবে ক্রয় করে নিতে হবে। যার জন্য মোট সাত থেকে আট হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।

মাজরা ভিসার বেতন কত:

আপনি যদি মাজরা ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে গিয়ে থাকেন । তাহলে আপনি সেখানে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন পাবেন। একজন শ্রমিক মাশরা বিষয় কাজ করে সে দেশ থেকে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে।

তবে প্রথম কাজের জন্য আপনি ৫০ হাজার টাকার মতন পাবেন। এবং আস্তে আস্তে আপনার কাজের বেতনটাও বৃদ্ধি পাবে। তবে অবশ্যই যদি আপনি কুয়েতে মাঝরা বিষয়ের মাধ্যমে যেতে চান। তাহলে যে কোম্পানির মাধ্যমে আপনি যাবেন। সে কোম্পানির থেকে ভালোভাবে জেনে নেবেন। সেখানে যাওয়ার ফলে আপনি কত টাকা বেতন পাবেন।

কুয়েতে মাজরা ভিসার জন্য আবেদন:

কুয়েতের মাজরা ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনি বাংলাদেশী নির্ধারিত যে প্রতিষ্ঠান দূতাবাস। সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।এবং তাদের মাধ্যমে এই ভিসাটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রবাসী মন্ত্রণালয় অধীনে যেই দুইটি প্রতিষ্ঠান আছে যেমন বোয়েসেল এবং বি এম আই টি এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনি কুয়েতের মাজরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মাজরা ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

মাজরা ভিসা করতে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন আছে। যেগুলো ছাড়া আপনি এ বিষয়টি করতে পারবেন না।  যে কাগজগুলো খুবই দরকারি এ ভিসাটি করার জন্য সেগুলো হল,,, ছয় মাসের ভেরিক পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, একটি কাজের প্রতি দক্ষতার প্রমাণ, নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং এডুকেশন যোগ্যতা কি ছিল এই সমস্ত ইম্পরট্যান্ট কাগজগুলো ছাড়া আপনি আবেদনটি করতে পারবেন না তাই এই আবেদনটি করতে হলে আপনাকে কাজগুলো প্রস্তুত থাকতে হবে।

এতক্ষণে হয়তো আপনারা আমাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুঝতে পেরেছেন মাজরা ভিসা করতে গেলে আপনাকে কি কি করতে হবে। তাই মাজরা ভিসা করতে গেলে। আপনাকে আর কোনরকম অসুবিধায় পড়তে হবে না বলে মনে করছি।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close