Earn Money

ফার্মেসি ব্যবসা ২০২৪ – অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা

মানুষ বিভিন্ন রকম ব্যবহার সাথে নিয়োজিত। তার ভেতরে ফার্মেসি ব্যবসা খুবই ভালো একটি ব্যবসা। যা অনেকেই করে থাকে। তবে এখনো অনেকেই আছে যারা ফার্মেসী ব্যবসা করার জন্য আগ্রহ। তবে ফার্মেসি ব্যবসা করতে হলে বেশ কিছু কৌশল জানতে হবে বা প্রয়োগ করতে হবে। তবে ফার্মেসি ব্যবসা করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব।

তাই আপনারা যারা বর্তমানে ফার্মেসি ব্যবসা করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। তাদেরকেও বেশ কিছু কৌশল জানতে হবে। বা ফার্মেসী ব্যবসার বিভিন্ন পদ্ধতিগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। তবে আপনি ফার্মেসীর ব্যবসা করে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ওষুধের ব্যবসায় অনেক পরিমাণ লাভ করা সম্ভব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫০% লাভ হয়ে থাকে। যা একটি ওষুধ ব্যবসায়র জন্য খুবই লাভজনক একটা ব্যবসা। বাংলাদেশে প্রচুর ওষুধের চাহিদা রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের চাহিদা ও বেশ লক্ষ্য করা যায়।

তাই ওষুধের ব্যবসা বা ফার্মেসী ব্যবসা খুবই ভালো ব্যবসার আওতাভুক্ত। তাই আপনারা যারা এই ফার্মেসি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক। তাদেরকে জানতে হবে বেশ কিছু সঠিক পদ্ধতি। যে পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে ওষুধের ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব। তাই আপনি যদি ফার্মেসী ব্যবসার পদ্ধতি গুলো না জেনে থাকেন। সেক্ষেত্রে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারী পড়েই জেনে নিতে পারবেন। ফার্মেসি ব্যবসা করতে কি কি পদক্ষেপ রয়েছে তার সম্পর্কে। তাই আর বেশি দেরি না করে এক্ষুনি জেনে নিন। ফার্মেসী ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য।

ফার্মেসি ব্যবসার কৌশল:

ফার্মেসী ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল রয়েছে। যে কৌশল গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ঔষধের ব্যবসাটা এগিয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি এই সমস্ত কৌশলগুলো মেনে চলতে পারেন। বা এই সমস্ত কৌশলগুলো যদি মেনে ফার্মেসী ব্যবসা পরিচালনা করেন। সেক্ষেত্রে আপনি খুব কম লস এর সম্মুখীন হবেন।

সঠিক জায়গা নির্বাচন: একটি ওষুধের দোকান দেবার পূর্বে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কোন জায়গায় আপনি আপনার দোকানটি দেবেন।

দোকানটি এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে বিশেষ করে আপনি যদি কোন হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকের আশেপাশে ওষুধের দোকান দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাটি খুব ভালো মতন এগোবে। এবং ওষুধ বিক্রি করে মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফার্মেসিতে ডাক্তার রাখুন: আপনি যদি আপনার ফার্মেসিতে কোন ডাক্তার রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক রোগী এসে ডাক্তারের কাছে বিভিন্ন পরামর্শ নিতে আসবে। 

এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিতে হলে অবশ্যই আগে আপনার কাছে নিতে হবে। কেননা ডাক্তার আপনার ফার্মেসিতেই রোগী দেখছে। তাই প্রতিটি ফার্মেসিতেই একটি ডাক্তার রাখা খুবই প্রয়োজন।

কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক রাখুন: প্রতিটি কাস্টমারদের সাথে ভালোমতো কথা বলুন। এবং প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন। এছাড়া প্রতিটি কাস্টমারকে সম্মান করুন এবং ভালো ব্যবহার করুন।

সব ধরনের ওষুধ রাখুন: একটি ফার্মেসিতে সব ধরনের ওষুধ রাখা প্রয়োজন। কারণ কোন ব্যক্তি যদি কোন ওষুধের সন্ধান করে তবে আপনি যদি ব্যর্থ হন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়েও সে কাস্টমার আপনার কাছে অন্য কোন ওষুধ নিতে আসবে না। তাই প্রতিটি রোগের ওষুধ রাখা জরুরি। তবে আপনার দোকানে কাস্টমারের চাহিদাও বাড়বে।

বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা: ছোট ছোট যে সমস্ত চিকিৎসা গুলো রয়েছে। যেমন ব্লাড টেস্ট পেশার মাপা, ডায়াবেটিকস এই সমস্ত চিকিৎসা গুলো যদি আপনি ফ্রি দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সেই সমস্ত কাস্টমারদের সাথে আপনার একটি ভাল সম্পর্ক তৈরি হবে। এবং যেকোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজন হলে প্রথমত আপনার কাছে আসবে মনে করা যায়।

পুঁজি:

সাধারণত ওষুধের দোকানে যত বেশি পুজি থাকবে আপনার লাভটাও তত বেশি হবে। তবে একটি ওষুধের দোকানে সর্বনিম্ন দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পুঁজি হলেই আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

ওষুধের দোকানের লাইসেন্স:

ওষুধের ব্যবসায়ী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো লাইসেন্স। লাইসেন্স ব্যতীত আপনি ওষুধের ব্যবসা করতে পারবেন না এটি সরকারি বা আইনত অপরাধ। তাই অবশ্যই ব্যবসা শুরুর আগেই লাইসেন্স নেয়া প্রয়োজন।

লাইসেন্সের জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হল,,

  • নাগরিকত্বের সনদপত্র/ভোটার আই.ডি কার্ডের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • ব্যাংক সলভেন্সি
  • দোকান ভাড়ার রসিদ/চুক্তিপত্র
  • ফার্মেসী ফাউন্ডেশন কোর্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি

Related Articles

Back to top button
Close