রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ও খরচ

শিক্ষাখাতে রাশিয়া অনেক দেশের থেকে এগিয়ে আছে। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের শিক্ষা খাতাগুলোকে ব্যাপকভাবে পরিচালনা করা হয়। যার কারণে রাশিয়ার শিক্ষা এত উন্নত। শুধুমাত্র রাশিয়া স্টুডেন্টরাই রাশিয়ার শিক্ষা নিতে পারেনা। পৃথিবীর নানান দেশের স্টুডেন্ট ইচ্ছা করলেই রাশিয়া শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বাইরের দেশ থেকেও রাশিয়ায় অনেক স্টুডেন্ট গিয়ে থাকে,, শুধুমাত্র রাশিয়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে।
অনেক দেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়োগ দেয়া হয়। যে ভিসার মাধ্যমে যেকোনো দেশ থেকেই একটি স্টুডেন্ট রাশিয়া গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পায়। তেমনি বাংলাদেশ থেকেও অনেক স্টুডেন্ট রাশিয়ায় পড়ালেখা করার জন্য গিয়ে থাকে। এবং অনেকেই যাওয়ার জন্য আগ্রহী। তাই যেই সকল স্টুডেন্টরা রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সে দেশে পড়ালেখা করতে চান। তারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলে আজ প্রকাশ করতে চলেছি ,,,,রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে। যেমন রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাবেন, এবং কত টাকা লাগবে এই স্টুডেন্ট ভিসা করতে। স্টুডেন্ট ভিসা করলে কতদিন এর মধ্যে ভিসা হাতে পাবেন। এই সমস্ত নানান তথ্য আপনাদের জানানো হবে।যেগুলো জানা আপনাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়াতে কেন পড়তে যাবেন?
বর্তমানে রাশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা এমন উন্নতির শেখরে পৌঁছেছে। যা সারা বিশ্বের কোন শিক্ষায় সেভাবে দেয়া হয় না। শুধুমাত্র রাশিয়াতেই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রী রুবেল উন্নতির সর্বস্তরে যাবার সম্মতি জানিয়েছে। তাই এই শিক্ষাব্যবস্থা এত উন্নতি হওয়ায় নানান দেশ থেকে রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসায় অনেক স্টুডেন্ট গিয়ে থাকে।
অনেক আগে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়েছিল। যে যুক্তিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা রাশিয়ান শিক্ষায় phd ডিগ্রি ,অনার্স, মাস্টার্স অর্জনের একটি সুযোগ পায়। এই সুযোগটির কারণেই এখনও রাশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সে দেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে যায়।
তাছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সে দেশে আরো অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আরো ভালো ভাবে সে দেশে শিক্ষা অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশীদের জন্য আলাদা একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে।
রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা করার পর আপনাকে যদি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিলেক্ট করে। তাহলে সেখান থেকে আপনার নিকট একটি অফার লেটার প্রদান করা হবে। তবে আপনার আবেদনটি অ্যাপ্রুভাল হওয়ার পর অফার লেটার টি পেতে ৪০ থেকে ৭০ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে এর মধ্যে আপনাকে কখনোই ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না।
কেননা এই সমস্ত কর্মসূচি একটু দেরি করে হয়ে থাকে। অনেক জটিল কিছু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়। তাই এ সকল কাজে একটু ধৈর্য প্রয়োজন। আপনারা যারা রাশিয়া এম্বাসি সম্পর্কে জানেন না। যে সপ্তাহে কয়দিন রাশিয়া এম্বাসি খোলা পাবেন,,, সপ্তাহে তিন দিন খোলা থাকে,,, রবিবার,মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার।
আপনি যদি আসেন ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে আবেদন করতে হবে।এই সময় অনুযায়ী তারা আবেদন গ্রহণ করে।
ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
আমরা ভর্তি হতে চাই তখন অনেক কাগজপত্রের দরকার হয় ঠিক তেমনি সে রাশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হলে আপনাকে অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সেই সমস্ত কাজগুলো হল,,, পূরণকৃত আবেদন ফরম,, পাসপোর্ট এর ফটোকপি,, আই এলটিএস,, সকল মার্কশিটের ফটোকপি,, ইউনিভার্সিটি অফার লেটার,, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,, ব্যাংক সলভেন্সী পেপার,, মেডিকেল রিপোর্ট,, এবং ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ এই কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
যে নিয়মে এই কাগজগুলো জমা দিতে হবে। সেই সঠিক নিয়মে আপনাকেও এই কাগজগুলো সেখানে জমা দিতে হবে। তবে কোন রকম ভুলের কারণে ভিসাটি রিজেক্ট হতে পারে। তুই সবকিছু দেখে শুনে আবেদন করা উচিত। এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তাহলে আপনার বিষয়টি কনফার্ম হবে বলে মনে করছি।
আমাদের দেয়া তথ্যগুলো পেয়ে আপনার রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের সকল পদ্ধতি গুলো জেনে গেছেন এর ফলে আর কোনরকম বিভ্রান্তিতে পড়বেন না বলে মনে করা যায়।