Transfer

রাশিয়ায় কাজের ভিসা ২০২৪ – অনলাইন আবেদন, ভিসার দাম

আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি। রাশিয়ায় কাজের জন্য ভিসা করতে আপনাকে কি কি করতে হবে,, এবং কত টাকা খরচ হবে এই ভিসা করতে। এই সম্পর্কিত নানান তথ্য আজ আপনাদের সামনে প্রকাশ করব। যা দেখে খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার রাশিয়ায় কাজের ভিসা করতে কি কি করণীয় সেসব সম্পর্কে।

বিশ্বের সকল দেশের চাইতে রাশিয়া অনেকটাই উন্নতশীল একটি দেশ। যে দেশে প্রতিনিয়তই কাজের জন্য বিশ্বের নানান দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ রাশিয়ায় কাজের জন্য তাদের ভিসা নিয়ে থাকেন। বর্তমানে সামরিক শক্তি এবং অর্থনৈতিকভাবেও এই দেশটি অনেক এগিয়ে আছে। তাই এই উন্নত দেশটিতে কাজের জন্য বিশ্বের নানান দেশ থেকেই মানুষ ভিসা নিচ্ছে তাই আমরা এই পোস্টে সেদেশের কাজের ভিসা নিয়ে আলোচনা করব।

রাশিয়া এবং বাংলাদেশের এক নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে ,,বাংলাদেশ থেকেও কাজের লোক নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। যার কারণে বাংলাদেশ থেকেও প্রায় অনেক মানুষ রাশিয়ায় কাজের জন্য গিয়ে থাকে।

রাশিয়ায় কাজের ভিসা

বর্তমানে রাশিয়ায় অনেক ফ্যাক্টরি বা কোম্পানিতে কাজের লোক নিয়োগ দিয়েছে যার কারণে সেখানে প্রচুর লোকের প্রয়োজন। যে সকল কোম্পানিতে কাজের লোক নিয়োগ দিয়েছে তা হল চিকেন ফ্যাক্টরি অপারেটর, অটোমোবাইল, কার্পেন্টার, ফুড প্যাকেজিং অপারেটর, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, এগ্রিকালচার,ফ্যাক্টরি, কন্সট্রাকশন ছাড়াও আরো অনেক রকম প্রতিষ্ঠানে কাজের লোক নিয়োগ দিয়েছে, যার কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকের প্রয়োজন।

এই সকল ফ্যাক্টরিতে কাজের জন্য মিনিমাম শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া এই ভিসাটি করতে পারবেনা।

রাশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি?

বর্তমানে রাশিয়াতে প্রায় সব কাজেরই বেতন বেশি তার ভেতরে ড্রাইভিং ইলেকট্রিশিয়ান, প্যাকেজিং ,নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এ সকল কাজের বেতন রাশিয়ায় অনেক বেশি যার কারণে এই সকল প্রতিষ্ঠানে কাজের চাহিদাও অনেক। বাইরের দেশ থেকে যে সকল শ্রমিক রাশিয়ায় কাজের জন্য যায় সে সকল শ্রমিক সাধারণত খুবই কম অফিশিয়াল কাজ করে থাকে। তবে এই সমস্ত কাজের বেতন অনেকটাই পাবেন আপনারা।

আমি যদি এ সকল কোম্পানিতে চাকরি করেন তাহলে আপনাকে অফিশিয়াল আদেশ অনুযায়ী পুরো দিনে ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে। যার বেতন আপনি ১২ থেকে ১৫ ডলারের মতন পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে ওভারটাইম করার সুযোগ থাকে আপনি আরো কিছু বলার উপার্জন করতে পারবেন।

রাশিয়া ভিসার দাম কত?

রাশিয়ায় কাজের ভিসার দাম বর্তমানে ১৬০ ডলার। তবে শুধুমাত্র যারা সরকারিভাবে রাশিয়ায় কাজের জন্য যাবে তাদের জন্য এই 160 ডলার দিতে হবে। এবং বাংলাদেশ থেকে যদি রাশিয়ায় কেউ কোনো কোম্পানি মাধ্যমে গিয়ে থাকে। তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাকে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মতন খরচ করতে হবে,, তবে রাশের ভিসা পাবে। এরমধ্যে বিমান ভাড়া এবং আরো আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতে হবে।

রাশিয়ায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা

যে কোম্পানির মাধ্যমে আপনি রাশিয়ায় যেতে চাচ্ছেন। সেখানে যাবার পূর্বেই সেই সকল কোম্পানি কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন।যে ,,,যে কোম্পানি আপনার থাকা খাওয়া আরো আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে কিনা।

কেননা অনেক কোম্পানি আছে যেগুলো দুই বছরের যাতায়াত বিমান ভাড়া এবং আরো নানান খরচ দিয়ে থাকে। তাই ভালোভাবে কোম্পানির থেকে জেনে নিতে হবে আপনার সেই সকল খরচ বহন করবে কিনা। এবং সেভাবে চুক্তি করে নেবেন।

রাশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

আপনি যখন বাইরের দেশে যাবেন ,,তখন আপনার অনেক রকম কাগজের প্রয়োজন হবে। কেননা সেই সকল কাগজের মাধ্যমে আপনার ডিটেলস এবং পরিচয় এই সকল তথ্য সেখানে জমা দিতে হয়।  এই সকল কাগজগুলো খুবই প্রয়োজনীয় সেগুলো হল,, ছয় মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতা, লাস্ট সার্টিফিকেট, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।

এই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আপনার প্রয়োজন হবে। তাই আপনি যদি রাশিয়া য় ভিসার জন্য আবেদন করেন তখন এই কাগজগুলো প্রস্তুত রাখা জরুরী। আমাদের দেয়া তথ্যগুলো মাধ্যমে আপনার রাশিয়ায় কাজের ভিসা করা সকল করণীয় সম্পর্কে আপনি জেনে গেছেন। তাই আশা করছি আপনাদের আর কোন রকম অসুবিধায় পড়তে হবে না।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close