চায়না কাজের ভিসা ২০২৩ – চায়নায় কেন কাজের চাহিদা বেশি
আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা আজ যেই তথ্যগুলো পাবেন। সেই তথ্যগুলো হল চায়না কাজের ভিসা কিভাবে করবেন। এবং চায়নায় কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি,, এবং কিভাবে চায়না ভিসা করবেন। এ সমস্ত তথ্য গুলো জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলর মাধ্যমে। তাই আপনি যদি চায়না কাজের ভিসা ও চায়নায় কোন কাজে বেশি চাহিদা এর সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের এই সম্পন্ন লেখাগুলো পড়ুন। যা থেকে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন,,আপনার অজানা চায়না সম্পর্কিত তথ্যগুলো।
চাই নাই আপনি বেশ কিছু মাধ্যমে যেতে পারবেন যেমন,, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা সহ আরো অনেক ভাবে আপনি চায়না যেতে পারবেন। এর মধ্যে যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে এই বিষয়টির জন্য আপনাকে বেশ কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। যে রিকোয়ারমেন্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে চায়না পৌঁছাতে পারবেন। তাই এই পোস্টে আমরা তুলে ধরব কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় চায়নায় যাওয়া যায়। এবং তা সম্পর্কিত আরো অজানা তথ্য।
চায়না কেন কাজে যাবেন?
বর্তমানে চীন প্রভাবশীল এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে চায়না খুব ভালোভাবে পরিচিত। আরে উন্নয়নশীল দেশে উন্নতি থেমে নেই বলেই সেখানে কাজ বা কাজের শেষ নেই। পুরো বিশ্বেই চায়নার অনেক প্রোডাক্ট সেল হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চায়না প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে সারা বিশ্বের মানুষ।
কেন চায়না উন্নত শীল হওয়ার ফলে তাদের সকল পণ্যের চাহিদা অনেক উন্নতভাবে করা হয় সে কারণে এই পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি।চায়নাই কাজের চাহিদা বেশি হওয়ায় সেখানে বিশ্বের নানান দেশ থেকে শ্রমিকরা কাজের জন্য যাচ্ছে। তাই যদি আপনারা সেখানে চায়না কাজের ভিসায় যেতে চান। তাহলে আপনাকে আরো অনেক কিছু করতে হবে। যা আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পরলে বুঝতে পারবেন।
চায়না কাজের ভিসা ২০২২
কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশ থেকে চায়নায় কাজের ভিসা মাধ্যমে যেতে চাই তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাকে বাংলাদেশের বয়েসেল অথবা বিএমইটির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তবে আপনি চায়নায় কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। আপনি বর্তমানে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সির এই সকল ভিসার অনেক নিয়োগ পারবেন। তবে সরাসরি এই এজেন্সি গুলো নিয়োগ প্রকাশ করে না। শুধুমাত্র তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিয়োগ প্রকাশ করে থাকে।
তবে একজন ব্যক্তি যদি চায়না কাজের ভিসা নিতে চায়। তাহলে তার গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট ছাড়া এই ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন একটা ব্যাপার। এছাড়া আপনি যদি চায়নার কাজের পেছনে যে চান তাহলে আপনাকে পার্সোনাল কিছু সংস্থার সাথে আলাপ করতে হবে। মোবাইলের এক্সেসরিজ এবং ইলেকট্রিক কোম্পানি ছাড়াও আরো অনেক কোম্পানি আছে। যেগুলোর সাথে আলাপ করে আপনি তাদের মেন শোরুমে কাজের একটি সুযোগ পেতে পারেন।
চায়না কাজের বেতন কত?
বর্তমানে চায়নার ইলেকট্রিক কোম্পানি সহ আরো অনেক কোম্পানি আছে যেগুলো মাসিক বেতন2800 rmb থেকে শুরু করে 3000 rmb পর্যন্ত হয়ে থাকে। শুধুমাত্র এটি আপনি বেসিক ইনকাম করতে পারবেন। চায়নার একটি কোম্পানিতে অফিসিয়াল ভাবে ৮ ঘন্টা ডিউটি করা লাগে এবং সেখানে প্রভার টাইম বাধ্যতামূলক তিন ঘন্টা সহ মোট ১১ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এই সকল টোটাল হিসাব করে 4000 আরএমবি পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে একটি শ্রমিক।
চায়না ভিসা খরচ:
আপনি যদি চায়নাতে দু’বছরের জন্য মাল্টিপন ভিসা নিতে চান তাহলে আপনার ৩২ হাজার টাকা লাগবে। এবং এই বিষয়টি করার পর প্রসেসিং এর জন্য পাঁচ থেকে দশ দিনের মতো সময় লাগে। এবং ভিসা প্রসেসিং এ এবং এম্বাসি প্রসেসিং এ10000 হাজার টাকা লাগবে। পাশাপাশি আপনার আরো টাকা লাগতে পারে নেপাল এবং ইন্ডিয়া ঘোরার উদ্দেশ্যে এবং আপনি যদি ছয় মাসের মেয়াদী ডাবল এন টি করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে 13000টাকা।
আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন চায়না ফ্রি পৌঁছেছে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে এই সকল বিষয় গুলি। তাই চায়না কাজের ভিসা করতে আপনাকে আর কোনরকম বিভ্রান্তিতে পড়তে হবে না বলে মনে করছি।