দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্তমানে দুবাই থেকে বিশ্বের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। তাই আপনাদের সামনে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন। এবং কি প্রসেস রয়েছে দুবাই থেকে অন্যান্য দেশে যাবার জন্য। এই সমস্ত বিষয়গুলো বিস্তারিত আপনারা জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে। এই সমস্ত তথ্যগুলো জানতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যাদের খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। দুবাই থেকে আপনি কোন কোন দেশে যেতে পারবেন।
বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেগুলোতে বাংলাদেশ থেকে খুব একটা সহজ হবে যাওয়া যায় না। বাংলাদেশ থেকে সেই সমস্ত দেশগুলোতে যেতে অনেক রকম প্রসেস রয়েছে যে প্রসেসগুলো পার করতে মানুষদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে থাকে। তবে দুবাই থেকে যে কেউ বিশ্বের নানান দেশে খুব সহজ পদ্ধতিতে যেতে পারে। কেননা দুবাই একটি উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় একটা। দুবাই থেকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে অন্যান্য দেশে যাবার জন্য। প্রথমে জেনে নিন দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন।
দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
দুবাই থেকে খুব সহজেই ইউরোপের যে কোন দেশে এবং অন্যান্য দেশগুলোতেও খুব সহজভাবেই যাওয়া যায়। সে দেশগুলো হলো,, রোমানিয়া, ইতালি, কানাডা, মাল্টা, আনবেনিয়া, আমেরিকা, পর্তুগাল এবং ফ্রান্স সহ এই সমস্ত দেশগুলোতে খুব সহজেই দুবাই থেকে যাওয়া যায়। আপনি যদি দুবাই থেকে এই সমস্ত দেশগুলোতে যেতে চান। তাহলে অবশ্যই কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে।
এ সকল দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে খুব একটা সহজ ভাবে যাওয়া যায় না। যে কারণে আপনারা যদি এই দেশগুলোর জেতে চান। তাহলে প্রথমত আপনাদের যেকোন মূল্যে দুবাই যেতে হবে এবং দুবাইয়ে আপনাদের এক বছরের মতন অবস্থান করা লাগবে। সেখানে এক বছর অবস্থান করার পর আপনারা এই সমস্ত দেশগুলোর জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন দুবাই থেকে।
তবে অবশ্যই আপনাকে তার জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট পালন করতে হবে। যেগুলো ছাড়া আপনি কোন দেশেরই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। যদি আপনি এই সকল দেশগুলোতে দুবাই থেকে যেতে চান। তাহলে যে সকল রিকোয়ারমেন্ট গুলো প্রয়োজন তা অবশ্যই আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ভালোভাবে জেনে নেবেন।
যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয় তার জন্য আমরা অনেক সহজভাবে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রকাশ করেছি। তা নিচের সম্পূর্ণ লেখাগুলো আপনাদের অবশ্যই পড়া জরুরী।
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়:
বর্তমানে দুবাই থেকে অন্যান্য দেশে যেতে হলে। আপনাকে মিনিমাম এক বছর দুবাই অবস্থান করতে হবে। এবং এই একটা বছর দুবাই অবস্থান করার পর। দুবাইয়ের সিস্টেম মোতাবেক আপনি এই সকল দেশগুলোর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ইউরোপে টুরিস্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা বিজনেস ভিসা যাই হোক না কেন। এই সমস্ত ভিসার জন্য যদি আপনি দুবাই থেকে আবেদন করতে চান। তবে অবশ্যই এক বছর দুবাইয়ে থাকার পরে আবেদন করতে পারবেন।
দুবাই থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে হলে। মিনিমাম ৭ লাখ টাকার মতন প্রয়োজন হবে। এই ৭ লাখ টাকায় আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করবেন। সেই এজেন্সি খরচ এবং বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে সকল খরচ গুলো। এই সমস্ত সকল খরচ গুলোই ধরা হয়েছে। তবে বিভিন্ন এজেন্সির বিভিন্ন রকম খরচ হতে পারে। তাই অবশ্যই যখন কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করবেন । সে সকল এজেন্সি গুলো ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে জেনে নেবেন। কেননা এক একটি এজেন্সির খরচ এক এক রকম হয়ে থাকে।
কোন এজেন্সিতে কম খরচ হয়। আর কোন এজেন্সি গুলোতে বেশি খরচ হয়। ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নেবেন। তবে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এজেন্সি মাধ্যমে ভিসাটি করে নিতে পারেন।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া যায়:
কাজের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ দুবাই থেকে ইতালিতে গিয়ে থাকে। কেননা অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতালিতে কাজের পরিমাণটা বেশি। যার কারণে ইতালিতে শ্রমিকদের কোনো রকম কাজের অভাব হয় না।
আর বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ সুবিধা আছে বলেই। ইতালিতে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে থাকে। বর্তমানে ইতালিতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং ইনস্ট্রাকশন কোম্পানি সহ আরো অন্যান্য কোম্পানিগুলোতে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই সকল কাজের মাধ্যমে যদি আপনি দুবাই থেকে যেতে চান। তাহলে দুবাইয়ের এম্বাসির মাধ্যমে ইতালির ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। যা আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হয় দাঁড়াবে। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইতালির কাজের ভিসা নিতে চান। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
এছাড়া আপনার জন্য আরেকটি উপায় রয়েছে। ইতালিতে একটি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে সেখানে কোন রকম কাজের সন্ধান করে। কাজ ঠিক করতে পারেন। এবং কাজ ঠিক করা হয়ে গেলে সেখান থেকে ফিরে এসে। আপনি আবার দুবাই থেকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার খরচটা একটু বেশি হবে।
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়া যায়:
বর্তমানে দুবাইয়ের অনেক এম্বাসের মাধ্যমে আপনি কানাডায় বিভিন্ন কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। কানাডা যাওয়ার ক্ষেত্রেও আপনাকে দুবাইয়ে এক বছর অবস্থান করতে হবে। এবং সেখান থেকে আপনি সে সকল এম্বাসির মাধ্যমে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শ্রমিকদের কানাডায় যাওয়ার জন্য কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। তবে এই কাজের ভিসার জন্য যদি আপনি আবেদন করতে চান।তাহলে কানাডিয়ান দ্রুতাবাস এর মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তবে যদি আপনি এই কাজের বিষয়ে যেতে চান। তাহলে আপনাকে আগে থেকেই কানাডিয়ান জব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনি তাদের সাথে সিভির মাধ্যমে কানাডিয়ান কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার আবেদনটি যদি সম্পূর্ণ হয়।
তাহলে আপনার কাছে তারা একটি ইনভাইটেশন লেটার পাঠিয়ে দেবে। এবং সেই ইনভাইটেশন লেটারের মাধ্যমে আপনি কানাডিয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দুবাই থেকে কানাডায় যেতে পারবেন।
দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়া যায়:
দুবাই থেকে পর্তুগাল আপনি অনেক রকম কাজের মাধ্যমে যেতে পারবেন। এছাড়াও টুরিস্ট ভিসায় আপনি খুব সহজেই পর্তুগাল যেতে পারবেন। তবে বরাবরের মতন আপনাকে অবশ্যই দুবাই চার থেকে পাঁচ মাসে মতন অবস্থান করতে হবে। তার ফলে আপনি পর্তুগালের যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে।তার সাথে খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হল দুবাইয়ে আপনি বর্তমানে যে কাজে অবস্থান আছেন তার একটি প্রমাণ। এই কাগজপত্রগুলো ছাড়া আপনি পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে দুবাইয়ে কোন কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। এবং সেই কাজের উপর ভিত্তি করে একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
দুবাই থেকে এই সমস্ত দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. ছয় মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট
২. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৩. দুবাইতে মিনিমাম এক বছর অবস্থান
৪. এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
৫. বর্তমান যে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ
৬. যে দেশে যাবেন তার একটি ইনভাইটেশন লেটার
৭. বেতন রশিদের একটি কপি
৮. হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
৯. বিমানের টিকিট এর ফটোকপি
এখানে যেই কাগজ গুলোর কথা উল্লেখ আছে এই সমস্ত কাগজপত্র ছাড়া কখনোই কোন ব্যক্তি এই সকল দেশগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। টুরিস্ট কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যাই হোক না কেন। আবেদনের ক্ষেত্রে এই কাগজপত্র গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।