Technology

ফোনে ই-সিম সাপোর্ট ছাড়াই যেভাবে ব্যবহার করা যাবে ই-সিম

মার্চ মাসের শুরুর দিক থেকেই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম গ্রামীণফোন টেলিকম অপারেটর ই-সিম বিক্রি করা শুরু করেছে. এরপর থেকেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এই সিম তাদের ফোনে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে. আপনারা যারা ই-সিম সম্পর্কে তথ্য জেনেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ইহা এমন একটি সিম ফোনে built-in থাকা একটি ডায়নামিক সিমকার্ড একাধিক নেটওয়ার্কের সাথে কাজ করে থাকে.

সিম ক্যারিয়ার পরিবর্তনের সময় প্লাস্টিক কার্ড বদলানোর পরিবর্তন করে ই-সিম নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে. ই-সিম সাধারণত নির্ভর অর্থাৎ সাধারণ ক্ষেত্রে একটি অপারেটরের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ উপভোগ করা যায় আর আপনি যদি এই সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সিম পরিবর্তন না করে নেটওয়ার্কও প্ল্যান যেকোনো কিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন.

শুধুমাত্র একটি কিউআর কোড ব্যবহার করে নতুন মোবাইল সংযোগ পেতে পারেন. তবে দেশের বাজারে এখন যে সকল ফোনগুলো প্রকাশ পেয়েছে সে সকল ফোনে ই-সিম সাপোর্ট করার কোনো সুযোগ নেই. যার কারণে অনেকেই ই-সিম ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না. তবে আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে ই-সিম সাপোর্ট না করলেও একটি কোম্পানি তৈরি করেছে যা সাধারণ সিমের মাধ্যমে এর সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবেন.

কিভাবে কাজ করবে?

esim.me নামের একটি প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়ার সিম কার্ড তৈরি করেছে যার মাধ্যমে আপনার মোবাইলে যদি না সাপোর্ট করে তবুও আপনি তার সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারবেন. তবে বিল্ট-ইন ই-সিম এর মত এত বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না. কিন্তু আপনি এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল সিম ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন.

যেকোনো সিম এর মত এই কোম্পানির সিম গুলোতো একটি ফাংশনাল ছোট কম্পিউটার রয়েছে. মূলত সাধারণ সিমের সাথে এই কারণেই-সিম গঠনগত পার্থক্য রয়েছে. ই-সিম হার্ডওয়ার একটি ই-সিম পরিচালনার জন্য সকল প্রোগ্রাম সেভ করা হয়ে থাকে সাধারণত এ সফটওয়্যার মাধ্যমে সকল সিমের সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব.

গ্রামীণফোনের ই-সিম ব্যবহারের নিয়ম ও দাম

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে কিছু এপিআই (API) দ্বারা সাধারন সিমকে ই-সিমে রুপান্তর করেছে eSIM.me প্রতিষ্ঠানটি। এটি সরাসরি গুগল এন্ড্রয়েডের সিম ম্যানেজার দ্বারা ম্যানেজ না করা গেলেও উক্ত কোম্পানির অ্যাপ দ্বারা খুব সহজে এই ই-সিম ম্যানেজ করা যাবে।

তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্যও দুঃখের খবর এই যে তারা এই ফিচার ব্যবহার না করতে পারলেও সকল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সিম ব্যবহার করা সম্ভব. তবে বর্তমানে শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড ফোন গুলোতে সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব.

দাম

ই-সিম সবার দরকার হয়না খুব বেশি দরকার না হলে এই সিম কেনার প্রয়োজন ব্যবহার মনে করেন না. আপনি যদি এই ডিভাইস টি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে এই সিম কিনতে হবে. কম্পানি করতে একটি নির্দিষ্ট দাম দেওয়া হয়েছে যে আমরা নিচের অংশে তুলে ধরেছি. আমরা দেখতে পাই যে এই ই-সিম কেনা যাবে 25 ডলারের দুইটি ক্যারিয়ার সাপোর্ট করবে.

আবার নতুন ফোনে লাইসেন্স ট্রান্সফার করতে গুণতে হবে ১০ডলার। অন্যদিকে রয়েছে ৭০ডলার সমমূল্যের ১৫ প্রোফাইল সাপোর্টেড প্ল্যান।

Related Articles

Back to top button
Close