বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাবার উপায়

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাবার উপায়

আপনার হয়তো অনেকেই ইউরোপ যাওয়ার কথা ভাবছেন। তবে অনেকেই জানেন না ইউরোপ তে হলে বা ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে।আপনি যদি এই তথ্যগুলো না জেনে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। 

কেননা আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ থেকে ইউরো যাওয়ার উপায় সম্বন্ধে। এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন ইউরোপ যেতে আপনার করণীয় কি। বা ইউরোপ যেতে কি কি প্রয়োজন। বা কি মাধ্যমে আপনি ইউরোপে যাবেন। তার সম্বন্ধে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি ইউরোপে যেতে চান। তাহলে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে বুঝে নিন আপনার করণীয় কি।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ:

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান তবে আপনাকে বেশি কিছু করার প্রয়োজন হবে না যদি আপনি যোগ্য হন। কেননা ইউরপ যেতে প্রয়োজনীয় যে সকল ডকুমেন্ট হলো সেগুলো যদি আপনার থেকে থাকে তবে আপনি ইউরোপ যাবার জন্য যোগ্য।

তবে প্রথমত আপনাকে ইউরোপের দেশগুলোতে যাবার জন্য একটি কারণ থাকতে হবে। যে কারণে আপনি ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে চান। তাহলে আপনি তিনটি মাধ্যমে যেতে পারবেন। যেমন টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা।এই তিনটি মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যে কোন দেশগুলোতে যেতে পারবেন।তবে এই তিনটি মাধ্যমে যদি আপনি ইউরোপে যেতে চান। তাহলে আপনার কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কি কি প্রয়োজন:

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি জিনিস প্রয়োজন যেগুলো হল পাসপোর্ট এবং ভিসা । বর্তমানে এই দুইটি জিনিস যদি আপনারা ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেন। তবে আপনারা কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। প্রথমত আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে যেটি করা খুবই সহজ একটি ব্যাপার। বাংলাদেশের যেকোনো এম্বাসির মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারেন।

দ্বিতীয়ত প্রয়োজন ভিসা। ইউরোপের যে কোন দেশে যাবার ক্ষেত্রে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ভিসা ভিসা ছাড়া আপনি কখনোই কোন দেশে যেতে পারবেন না তাই আপনাকে ভিসা তৈরি করতে হবে।

যেই তিনটি উপায়ে ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে পারবেন:

আপনি সাধারণত বাংলাদেশ থেকে তিনটি উপায়ে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। বা বলা যায় তিন প্রকার ভিসার মাধ্যমে আপনি ইউরোপে যেতে পারবেন।

১.স্টুডেন্ট ভিসা

২.টুরিস্ট ভিসা

৩.ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সাধারণত এই তিনটি ভাষার মাধ্যমে ইউরোপের যে কোন কান্ট্রিতে আপনি যেতে পারবেন তবে আপনাকে এ বিষয়গুলোর জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি ইউরোপে লেখাপড়া করার জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে হবে।

এবং আপনি যদি ইউরোপের যে কোন দেশ ঘুরতেচান সে ক্ষেত্রে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে হবে এছাড়াও ওয়ার্ক ওয়ারমিট ভিসা মাধ্যমে আপনি ইউরোপের যে কোন দেশে কাজের সুযোগ পাবেন।

তাই আপনি যে ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে চাচ্ছেন। সেই ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আপনি আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশে আপনি সরকারি দুইটা এম্বাসের মাধ্যমে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশী সরকারি এবং বেসরকারি অনেক এম্বাসি আছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

তবে আপনি যদি সরকারি এম্বাসের মাধ্যমে আবেদন করতে চান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বোয়েসেল এবং বি এম আই টির সাহায্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই ভিসাটি করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি এম্বাসি রয়েছে। যেগুলো যে কোন দেশের ভিসা সংক্রান্ত কাজ করে থাকে। আপনি তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইউরোপের যে কোন দেশের ভিসা তৈরি করে নিতে পারবেন।

তবে আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে। যেগুলো ছাড়া আবেদনটি করতে পারবেন না। তাই যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট এবং কাগজের প্রয়োজন। সেগুলো সে সকল  এম্বাসির মাধ্যমে আগে থেকেই জেনে নেবেন। এবং সেই অনুযায়ী কাগজপত্র সহকারে তাদের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *