বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ স্কলাশিপ ও আয়ের সুযোগ
বেলজিয়াম হল উত্তর পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। এই দেশটি ইউরোপের ইউনিয়নভুক্ত দেশ। পৃথিবীতে সব দেশের থেকে প্রায় অনেকটাই উন্নত এই বেলজিয়াম। কোন এক সময় এই বেলজিয়াম দেশটি জার্মানির দখলে ছিল। সমাজ ব্যবস্থার দ্বারা বেলজিয়াম পরিচালনা করে থাকে।
এই বেলজিয়াম দেশটিতে আমাদের দেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সে দেশে পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছি কেননা সে দেশের উচ্চশিক্ষা এবং অর্থনীতি অনেকটাই উন্নত সে কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে পড়ার লেখা ঘুরতে যাচ্ছে।
এখনো বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এই সুযোগটা আছে। চাইলে অনেক শিক্ষার্থীরা বেলজিয়ামে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছে। বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কিভাবে সেখানে যাওয়া যাবে, এবং স্কলার্শিপ ও আয়ের সুযোগ এখানে থেকে কিভাবে পাবে। এই সমস্ত নানান তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
বেলজিয়ামে কেন পড়তে যাবেন:
বেলজিয়ামের শিক্ষা ব্যবস্থা গুলো অনেকটাই আলাদা এবং উন্নতমানের সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারিভাবে প্রাধান্য দিয়ে আসছে সে কারণে উন্নতি শেখরে পৌঁছেছে বেলজিয়ামের শিক্ষা ব্যবস্থা। আর সেখানকার শিক্ষা গ্রহণে বিশ্বের নানান দেশের শিক্ষার্থীরাই সেখানে পড়তে গিয়ে থাকে। বেলজিয়ামের শিক্ষাগুলো বর্তমানে হাতে-কলমে করানো হয় সে কারণে স্টুডেন্টদের অনেকটা সুবিধা হয়ে থাকে সেখানকার পড়াশুনার মাধ্যম। এ হাতে কলমে শিক্ষা নেয়ার ফলেই সে সকল স্টুডেন্টরা সেখানকার বর্ড় বড় কোম্পানি এবং আইটি সেন্টারগুলোতে অনেক ভালো মানের চাকরি পেয়ে থাকে।
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা
কোন স্টুডেন্ট যদি বেলজিয়ামে লেখাপড়া করতে চান। তাদের তাকে ডাচ ভাষায় পড়ালেখা করতে হবে। তাই যদি কোন শিক্ষার্থী সেখানে লেখাপড়া করতে চাই তাহলে তাকে ভালোভাবেই গাছ ভাষা এবং তার সকল কিছু আগে থেকেই শিখিয়ে রাখা দরকার। ডাচ ভাষা শেখার দক্ষতা অর্জন করে তবেই একজন স্টুডেন্ট বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে পারবে। তাই আবেদনের পূর্বে আপনাদের গাছ ভাসা শিখতে হবে। এবং তার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা ছাড়া সম্ভব নয় আবেদন করা।
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা :
অবশ্যই বেলজিয়ামের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে ডাচ ভাষা অভিজ্ঞতা থাকা জরুরী। তার সাথে সে ভাষার আইএল টিএস ৬.৫ থেকে ৭ হওয়া লাগবে। এসব কিছু করেও আপনাকে কিছু ভাইবার মাধ্যমে সিলেক্ট করা হবে বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসার জন্য। এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ই-মেইলের মাধ্যমে। আপনাকে তারা ইমেইল করে জানিয়ে দেবে।
বেলজিয়ামে পড়াশোনা করতে খরচ কত?
ইউরোপের সকল দেশের চাইতে বেলজিয়ামে পড়ালেখার খরচ অনেকটাই কম। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তুলনামূলকভাবে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। তার সাথে থাকা খাওয়া এই সকল খরচ সহ একটি স্টুডেন্টের ৪৫০থেকে ৬০০ ইউরো খরচ হয়ে থাকে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেই একাডেমির পরীক্ষাগুলো হয়। এ সকল পরীক্ষার মধ্যে কোন স্টুডেন্ট যদি ভালো ফলাফল করে থাকে। তাহলে তার জন্য আরও অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিয়ে থাকে। তার সাথে পাঁচ বছর থাকার পর আপনি সে দেশে নাগরিকের অনুমতি নিতে পারবেন।
বেলজিয়ামে কি কি কোর্স করানো হয়?
বেলজিয়ামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর ডিগ্রী, পিএইচডি ডিগ্রী, এবং মাস্টার ডিগ্রী সহ আরো অনেক কোর্স করানো হয়। এই কোর্সগুলো বিশ্বের যে কোন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা করার সুযোগ পাবে। যদি তারা এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। বর্তমানে সেখানে অনেক কোর্স খোলা আছে সেগুলো হল,,, জিওগ্রাফি,প্যাথলজি,সার্জারি হেলথ সাইন,এবং মেডিসিন টেলিকমিউনিকেশন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং,কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেক্ট্রিক পাওয়ার, ভেটেনারি ফার্মেসি এ ছাড়া আরও অনেক রকম কোর্স করানো হয়। একটি স্টুডেন্ট চাইলেই এই সফল কোর্স গুলোর জন্য আবেদন করতে পারে।
স্কলাশীপ ও আয়ের সুযোগ:
আপনি যদি যে কোন স্কলাশিপে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পান তাহলে আপনি তার পরিবর্তে অন্য স্কলাশিপ নিতে পারবেন। এতে কোন অসুবিধা হবে না। এবং সেই অনুযায়ী ভালো পড়ালেখা করতে পারলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার জন্য আরও অনেক সুযোগ দিয়ে থাকবে যে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারবেন।
শুধুমাত্র বাইরের দেশ থেকে যে সকল স্টুডেন্টরা সেখানে পরের জন্য গিয়ে থাকে তাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে। তাহলে প্রতিটা স্টুডেন্টই সেখানে 15 থেকে 20 ঘন্টা অনেক রকম কাজ করতে পারবে একটি সপ্তাহে। যে কাজগুলোর মাধ্যমে একটি আয়ের উৎস তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রীষ্মের জন্য ৯০ দিনের মতো ছুটি দিয়ে থাকে। এই ৯০ দিনের মতো সময় আপনি সেখানে অনেক রকম কাজের সন্ধান পাবেন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবেন।