Travel

পাপুয়া নিউগিনি কাজের ভিসা ২০২৩ – পাপুয়া নিউগিনি যেতে কত টাকা লাগবে

আজকে আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করতে যাচ্ছি নিউ গিনি কাজের ভিসা নিয়ে। আপনারা অনেকে হয়তো নিউগিনিতে যাবার কথা ভাবছেন। তবে অনেকেই জানেন না কিভাবে এই নিউগিনি ভিসা টি পাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে নিউগিনির ভিসা পেতে বা কি কি প্রসেস রয়েছে। এ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই আপনাদের। তবে আপনারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আমাদের এখান থেকে আপনি আপডেট নিউ গিনি ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে পারবেন খুব সহজেই।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেব কিভাবে নিউগিনি ভিসা পাবেন। এবং কত টাকা খরচ হবে এ ভিসা টি করতে এবং যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে এ সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে। তাই সম্পূর্ণ লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন।

নিউ গিনি কাজের ভিসা ২০২২

এখন পর্যন্ত অনেকে মনে করেন যে নিউ গিনি সঠিক পদ্ধতি বা বৈধভাবে যাওয়া যায় না। তবে এই কথাটি সম্পূর্ণটাই ভুল। কেননা অনেক দালাল আছে। যারা মানুষদের কাছে এই সমস্ত মিথ্যা কথাগুলো বলে অনেক টাকা হাত দিয়ে নেয়ার চিন্তা ভাবনা করে। তাই মানুষদের কাছে মিথ্যে বলে তারা তাদের মাধ্যমে নিউগিনিতে প্রবেশ করিয়ে দেবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।

কিন্তু বর্তমানে আপনি খুব সহজেই নিউ গিনিতে যে কোন কাজের ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এতে কোনো রকম অসুবিধা হবে না। যদি আপনার উদ্দেশ্য সঠিক থাকে। তবে বৈধভাবে যদি আপনি নিউ গিনি যেতে চান। 

তাহলে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেগুলো ছাড়া আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এ সমস্ত কাগজপত্র গুলো যদি সঠিক থাকে আপনি যেকোনো সময় ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং তারা এপ্রুভ করলেই আপনি নিউ গিনিতে যেতে পারবেন। এছাড়া সরকারিভাবে আপনি নিউ গিনিতে যেতে পারবেন। তবে সরকারি নিয়োগ গুলো আপনাকে ফলো করতে হবে। সরকারিভাবে এবং আপনি যেকোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন নিউ গিনির ভিসার জন্য।

নিউ গিনি কেন যাবেন:

বর্তমানে অন্যান্য দেশের তুলনায় নিউগিনিতে কাজের সুযোগ সুবিধা অনেক। এছাড়াও খুব সহজেই সেখানে প্রবেশ করে যে কোন কাজ কম সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। এবং প্রতিটি কাজের প্রতি বেতনটা অনেক বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়। যার কারণে পাপুয়া নিউগিনি তে কাজের জন্য যেতে পারেন।

আপনি যদি নিউগিনিতে শুধুমাত্র হোটেলের কাজও করে থাকেন। তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হোটেলের কাজ করে মিনিমাম আপনি এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে যাবেন।

এবং দেশটির কাজের পরিমাণ তুলনা মূলকভাবে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে নিউগিনির সরকার বিশ্বের অনেক দেশেই কাজের লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এত সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে শ্রমিকরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছে বলেই সেখানে কাজের জন্য শ্রমিকরা ভিড় করে।

পাপুয়া নিউকিনি কাজের জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন:

বর্তমানে আপনি যে দেশেই যান না কেন বা যে কারণে চান না কেন। সেখানে যেতে হলে অথবা সে দেশে যাবার জন্য ভিসা করতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দরকার হবে। যেগুলো ছাড়া আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। একটি ভিসা করতে গেলে আপনি কতটুকু যোগ্য। এই যোগ্যতাটুকু প্রমাণ পাবে আপনার কাগজের ওপর। 

তাই নিউগিনিতে যদি যেতে চান। অবশ্যই কিছু কাগজপত্রের দরকার হবে। এবং সেই কাগজপত্র গুলো হলো,,, এক বছর মেয়াদী পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি, আপনার নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি, নির্দিষ্ট কোন কাজের প্রতি দক্ষতার প্রমাণ, ইংরেজি ভাষার প্রতি অভিজ্ঞতা আছে তার প্রমাণ চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র সহ এই কাগজপত্র গুলো খুবই প্রয়োজন নিউ গিনির ভিসা প্রসেসিং এর জন্য।

পাপুয়া নিউগিনি যেতে কত টাকা লাগে:

নিউগিনিতে আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে যেতে পারবেন যেমন টুরিস্ট ভিসা ,ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ,বিজনেস ভিসা। তবে আপনি যদি নিউ গিনি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান। তাহলে আপনার খরচটা হবে মিনিমাম তিন লাখ টাকার মতন। এবং যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান। তাহলে খরচ পড়বে ৪ লাখ টাকার মত।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close