সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিডিএফ এর টাকা কি হালাল ?

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে সাধারণ প্রফিডেন্ট ফান্ড বা পিডিএফ এর টাকা হালাল কিনা? আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব সাধারণ প্রফিডেন্ট বা পিডিএফ এর টাকা হালাল কিনা সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য।
প্রথমত ইসলামী শরিয়া মোতাবেক যেকোনো ধরনের সুদ এবং ঘুষ এটা একেবারে হারাম করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রায় সকলেই জানি কিন্তু এরপরেও আমরা অনেকেই সুদ এবং ঘুষ এই শব্দ দুটির সঙ্গে জড়িত থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এবং বর্তমানে পরিবেশের কথা চিন্তা করে বড় বড় ওলামা এবং বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন ফতোয়া আবিষ্কার করেছেন।
তাই আমরা শতভাগ আপনাদের কোন সঠিক তথ্য দিতে পারবো না তার কারণ হলো ইসলাম ধর্ম এমনভাবে বর্তমানে অবস্থান করছে যেখানে মতামতের শেষ নেই এবং সঠিক মতামত এই মতামতের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক হাদিস এবং অনেক প্রমাণ গবেষণার মাধ্যমে বড় বড় স্কলাররা এ ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং এই ধরনের বহু ফান্ড নিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন যেগুলো আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
প্রফিডেন্ট ফান্ড কি জায়েজ?
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন প্রফিডেন্ট ফান্ড কি জায়েজ? আসলে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে সবথেকে বেশি এখন যে বিষয়টি নিয়ে তর্ক হয় বা কথা কাটাকাটি হয় সেটা হলো প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা কি হারাম নাকি হালাল এই বিষয়টি নিয়ে। প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা হারামকে হালাল এ বিষয়ে গোটা বিশ্ব নানা গবেষণায় জড়িত।
ইসলামের ইতিহাস গুলো অনেকটা হারিয়ে গেছে শুধুমাত্র পবিত্র কোরআন শরীফ ছাড়া। তাই সে হাদিসগুলো অনেক বিকৃত হয়ে গেছে এবং হাদিসগুলো অনেকেই চেষ্টা করেছে পরিবর্তন করে সমস্যার সৃষ্টি করতে। আর ঠিক সেই জন্যই ইসলামী গবেষকরা চেষ্টা করছে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতে এবং সেই চেষ্টা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রফিডেন্ট ফান্ডের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ভবিষ্যতের তহবিল। সরকারি চাকরিজীবীদের রাজস্ব খাদ হতে বেতনের মাসিক বেতন হতে কিছু টাকা কর্তন করা হয় এবং তার চাকরি শেষে একটি নির্দিষ্ট হারে লাভ সহ বা মূলধন এবং অতিরিক্ত টাকা সহ প্রদান করা হয়ে থাকে এটাই হল প্রফিডেন্ট ফান্ড।
ডেইলি ইনকিলাব থেকে একটি তথ্য
ডেইলি ইনকিলাব ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর থেকে একটি তথ্য জানা যায় যে সেখানে প্রফিডেন্ট ফান্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে সরকারি সকল টাকা যেটা প্রথমবার দেওয়া হয় সেটা একেবারেই জায়েজ। তবে যে কোন ফান্ড যেখানে সুদ দেয়া হয় বা জিপিএফ হোক বা অন্য কিছু যেখানে নিজের টাকাগুলো রেখে চুদবার লাভ উঠানো এটা কিন্তু জায়েজ নাই। এ টাকা তুলে ফেললে হয় নিজের খরচ করতে হবে অথবা কোন হালাল জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড
প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা সুদ হিসেবে গণ্য হবে কিনা সে বিষয়ে অনেক আলাপ আলোচনা চলে আসছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং বিভিন্ন ওলামায়েদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় সে প্রশ্নের আঙ্গিকে এখন আমরা কিছু যুক্তি তুলে ধরব।
একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রশ্ন করেছিলেন আমি চাকরির নানা সুযোগ সুবিধার মধ্যে একটি ভালো সুযোগ সুবিধা মনে করি প্রফিডেন্ট ফান্ড। এই প্রফিডেন্ট ফান্ডে আমার প্রতি মাসে মূল বেতন থেকে ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলক কর্তন করে এবং বছরে ১২.৫% লভ্যাংশ প্রদান করে। এখানে তার প্রশ্ন হচ্ছে বছর শেষে তাকে যে লভ্যাংশ দেওয়া হয় সেটাকে সুদের পর্যায়ে পড়বে? তিনি আরো জানতে চান তিনি সরকারি চাকরিতে আরও যে সকল ভাতা গুলো পেয়ে থাকেন প্রফিডেন্ট ফান্ড কি সে ভাতা গুলোর অন্তর্গত হবে না।
এই প্রশ্নের আঙ্গিকে একজন উচ্চমানের বক্তা উত্তর দিয়েছেন যে, আপনি যে মতামত দিয়েছেন তা শুদ্ধ নয় কারণ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সরাসরি ১২.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হয় যা সুদের ভিত্তিতে।