প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা – কম পুজিতে ভাল ব্যবসা
বর্তমানে খুবই ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া হল প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কি বা কিভাবে করা হয় তাহলে তো আমরা অনেকেই জানি। তবে এখনো অনেকেই জানিনা প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কি। বা এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসার কার্যক্রম গুলো কি।
তাই আপনাদের যাদের এখন পর্যন্ত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা সম্পর্কে কোনো রকম আইডিয়া নেই। তারা এক্ষুনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে পারেন। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কি। এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিনের মাধ্যমে কিভাবে ব্যবসা করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিন কি:
আমরা আশেপাশের অনেক প্লাস্টিক লক্ষ্য করে থাকি। যেগুলো দিনের পর দিন আমাদের পরিবেশ দূষণ করে আসছে। এ সমস্ত প্লাস্টিক গুলো সংগ্রহ করে। তা দিয়ে নতুনভাবে কোন পণ্য তৈরি করা কেই প্লাস্টিক রিসাইক্লিন বলা হয়। যা বর্তমানে এখন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
তবে যে সমস্ত ব্যক্তিরা এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা বেছে নিতে চান। তাদেরকে আমি বলব আপনারা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা এ সমস্ত প্লাস্টিকগুলোতে আপনি পরবর্তী সময়ে নতুনভাবে অন্য কোন পণ্য তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার জন্য খুবই ভালো একটি ব্যবসা।
এবং এই সমস্ত পড়ে থাকা পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকগুলো রিসাইক্লিন এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে। যা পরিবেশের জন্য খুবই ভালো একটি লক্ষণ। তাই আপনারা যারা এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিনের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। তারা আর কোনরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই শুরু করতে পারেন এই ব্যবসাটি। এতে করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।এবং পরিবেশের জন্যও সুফল আনবে বলে মনে করা যায়।
কিভাবে প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা শুরু করা যায়:
প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা শুরু করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন। যেগুলো মেনে চললে অবশ্যই প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসায়ী উন্নতি লাভ করা সম্ভব। তবে অবশ্যই প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা করতে বেশ কিছু পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। যে পরিকল্পনাগুলো ছাড়া কোনভাবেই এই ব্যবসাটি সঠিকভাবে এগোনো যাবে না। তাই জেনে নিন প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা করতে কি কি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
- যে সমস্ত প্লাস্টিক গুলো পরিবেশ দূষণের সাথে নিয়োজিত সেগুলোকে খুঁজে বের করা।
- এবং এ সমস্ত দূষণকারী প্লাস্টিক গুলোকে সটিং করতে হবে।
- এবং সমস্ত প্লাস্টিকগুলোকে একত্রিত করে রাখা।
- ময়লা প্লাস্টিক গুলো পরিষ্কার করা।
- প্লাস্টিকগুলো গলাতে হবে এবং প্লেট মেকিং করতে হবে।
এই সমস্ত কার্যক্রম গুলো প্রয়োজন প্লাস্টিক রিসাইক্লিনের জন্য। তাই এভাবেই পরিকল্পনার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি এগুলো সম্ভব।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসায় যে ধরনের লাইসেন্স প্রয়োজন:
এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসাটি করতে বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে অনুমতি দরকার হয়। সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হল,,
- দূষণ ব্যবস্থাপনা বোর্ড কর্তৃক এনওসি।
- ফ্যাক্টরি লাইসেন্স।
- এমএসএমই রেজিস্ট্রেশন।
- জিএসটি রেজিস্ট্রেশন।
- এফ এস এল সার্টিফিকেট।
এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। তাদের অনুমতি হিসেবে আপনাকে লাইসেন্স কিংবা আরো বেশি কিছু কাগজপত্র দেবে। যেগুলো আপনার সরকারের নির্দেশনার আওতাভু।
মূলধন কত টাকা লাগবে:
আপনি যদি কোন ফ্যাক্টরি না থাকে কিংবা নতুন করে যদি আপনাকে ফ্যাক্টরি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে।এছাড়াও রিসাইক্লিনের জন্য এ সমস্ত মেশিন কিংবা অন্যান্য জিনিস প্রয়োজন হয়। সেগুলোর ক্ষেত্রে ৫০হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসায় লাভ:
আপনি যদি প্রতিমাসে এক টন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি ৬,০০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি এই প্লাস্টিক সাইক্লিন ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসার মাধ্যমে এত টাকা উপার্জন করতে পারবেন না বলে মনে করা যায়। প্লাস্টিক রিসাইক্লিন ব্যবসা কতটুকু লাভ জনক তাহলে তোমরা সকলেই জানতে পেরেছি। তাই আপনারা যারা এই প্লাস্টিক রিসাইকেলের ব্যবসা করার জন্য ভাবছেন তারা আর দেরি না করে এক্ষুনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তবে আপনার এই ব্যবসায় কাস্টমার হিসেবে যাদের টার্গেট রাখতে হবে তারা হলো,,
- পানির বোতল ব্যবস্থাপনা
- বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি
- প্যাকেজ ইন্ডাস্ট্রি
- কন্ট্রাকশন ফার্ম
এছাড়াও কিছু বড় বড় কোম্পানি হতে হবে আপনার মূল টার্গেট কাস্টমার। তবে আপনি সঠিক ভাবে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন।