বাংলাদেশের এনজিও ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার যদি ধারণা না থেকে থাকে তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে ব্যাংক লোন এর পাশাপাশি এনজিওগুলো গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আশা ও ব্র্যাক এনজিও এর পাশাপাশি আরও একটি নতুন এনজিও সংস্থা সম্প্রতি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হতে সক্ষম হয়েছে। রিক এনজিও নামে পরিচিত এই সংস্থাটির বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে দরিদ্র কৃষক ব্যবসায় উদ্যোক্তা ইত্যাদি মানুষদের মাঝে প্রদান করে।
বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বেশিরভাগ নিরক্ষর যার কারণে তারা অনেকেই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও লোন জটিলতার মধ্যে পড়তে চায় না। এসকল অঞ্জলি গ্রামের লোকেদের পাশে থাকার জন্য রিক এনজিও তাদের শাখা উপশাখা গুলো প্রতিষ্ঠা করেছে। আপনি এখন চাইলে খুব সহজেই এনজিও সংস্থা থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং তার স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান ওষুধের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
যেহেতু আপনি ঋণ গ্রহণ করতে আগ্রহী তাই রিক এনজিও এর মাধ্যমে কিভাবে লোন গ্রহণ করতে হয় কিভাবে লোন পরিশোধ করতে হবে এবং এই ব্যাংকের লোনের সুদের হার কত তা সম্পর্কে জানা জরুরী। আজকের এই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা আপনাদের এসকল তথ্য উপস্থাপন করব।
রিক এনজিও লোন
রিক এনজিও বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হওয়ার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানেই নিজেদের শাখা ও উপশাখার চালু করতে সক্ষম হয়েছে। আপনি যদি নতুন একটি ব্যবসা শুরু করতে চান অথবা আপনার ঘরবাড়ির ঠিক করার জন্য লোন গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনি এক্ষুনি রিক এনজিও এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ সংস্থাটি এসব ওষুধের মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করছে। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে যা নিচের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিক এনজিও লোন নেওয়ার পদ্ধতি
ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে যেমন ঋণগ্রহণকারী 18 থেকে 65 বছরের বয়স হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই রিক এনজিও এর একটি নির্দিষ্ট শাখার সদস্য হতে হবে। এসকল যোগ্যতাগুলো যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিকটস্থ অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
রিক এনজিও লোন আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- যে অফিসে কর্মরত রয়েছে সে অফিসের আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- সেলারি কার্ডের ফটোকপি।
- একজন যাবিনদার হিসেবে রিক এনজিও তে সদস্য কোন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং এক কপি ছবি।
আপনি যদি এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে পারেন এবং এই প্রত্যেকটি কাগজ যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনি রিক এনজিও লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ক্ষেত্রে সরাসরি এলে আপনাকে এবং জামিনদার কে নিকটস্থ রিক এনজিও শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আপনার তথ্যগুলো যাচাই করার পর একটি আবেদন ফরম প্রদান করবেন। উক্ত আবেদন ফরম আপনাকে যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরমের নিচের অংশে আপনাকে অবশ্যই স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। আপনার আবেদন ফরম যদি যথাযথভাবে পূরণ সম্পন্ন হয় তাহলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আপনাকে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে লোন নেওয়ার জন্য কল করবে।
আমরা আশা করছি আমাদের দেওয়া তথ্য গুলোর ভিত্তিতে আপনি খুব সহজেই রিক এনজিও লোন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এ সকল তথ্যের বাইরে আপনার যদি যেকোনো ব্যাংকের লোন সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
