রোমানিয়া সরকারি ভিসা আবেদন ২০২৩ – ভিসা রেজিস্ট্রেশন প্রসেস
আজকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে রোমানিয়া সরকারি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি প্রসেস রয়েছে তার সম্পর্কে। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন না রোমানিয়া সরকারি ভিসা আবেদনের নিয়ম। তাই আপনাদের সুবিচার জন্য আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করছি রোমানিয়া সরকারি ভিসা আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশন প্রসেস। যা হয়তো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন।
বর্তমানে রোমানিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য ৪০ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেবে। তবে বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিকরা রোমানিয়ায় যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিএমইটির সাহায্যে রোমানিয়া যেতে পারবে। কেননা এটি একটি সরকারি নিয়োগ যার কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা রোমানিয়ার ভিসা কার্যক্রম করতে হবে।
অন্য কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি চাইলেও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না কেননা সরকারি ব্যতীত অন্য কোন এজেন্সি এই ভিসার জন্য আবেদন নেবে না। তবে রোমানিয়া যেতে হলে অবশ্যই দক্ষতার প্রয়োজন। হবে দক্ষতা ছাড়া আপনি রোমানিয়া যেতে পারবেন না।
তবে আপনার যদি কোন রকম দক্ষতা না থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ বিএমইটির সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে আপনি প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এবং প্রশিক্ষণ শেষে তার সার্টিফিকেট অর্জন করে। তারপরে আপনি বাংলাদেশর বি এমইটির মাধ্যমে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
রোমানিয়া কারা যেতে পারবে:
সাধারণত বর্তমানে রোমানিয়ায় দুই ধরনের মানুষ যেতে পারবে। একটি হল স্কিলড ওয়াকার এবং আরেকটি হলো নন স্কিলড ওয়ার্কার।স্কিলড ওয়ার্কার এর মাধ্যমে যারা রোমানিয়া যেতে পারবে। তারা হলো বর্তমানে যারা ইউরোপ আমেরিকা সহ উন্নত যে সকল বিভিন্ন দেশগুলোতে কাজে নিয়োজিত আছে তারা সাধারণত স্কিলড ওয়ার্কার হিসেবে রোমানিয়া যেতে পারবে।
স্কিলড ওয়ার্কার বলা হয়েছে কেননা তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম কাজে নিয়োজিত আছে। এবং তাদের সে কাজের প্রতি অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছি।সেই দক্ষতার জন্য তাদেরকে স্কিলড ওয়ার্কার বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা আছেন। তাদের যদি বাইরের দেশের কাজের কোনরকম অভিজ্ঞতা না থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশ থেকে বি এমইটির থেকে বাইরে দেশের যাবার জন্য বিভিন্ন রকম কাজের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
তবে অনেকেই জানেনা বি এমইটির কি। বিএমইটি হলো বাংলাদেশের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে বাইরের দেশে চাওয়ার জন্য সকল প্রশিক্ষণ সেখানে দেয়া হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা বিষয় যে কোন দেশে খুব সহজে যেতে পারবেন।
রোমানিয়া কাজের বেতন কত:
রোমানিয়াতে যাবার ফলে আপনি বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ পাবেন। যেমন,, ফুড প্যাকেজিং, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গবাদি পশু পালন এবং কনস্ট্রাকশন এর কাজ সহ এ সকল কাজের মাধ্যমে একজন শ্রমিক মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত। এছাড়া বিভিন্ন কাজের রয়েছে বিভিন্ন রকম সুবিধা। সে সকল সুবিধার মধ্যে দিয়ে একটি কাজের মাধ্যমে একজন শ্রমিক এক এক রকম বেতন পেয়ে থাকে।
তবে বেতন নিয়ে আপনি আগে থেকেই যে কোম্পানির মাধ্যমে যাবেন। সে কোম্পানি থেকে ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন। সেখানে যাওয়ার ফলে আপনাকে কত টাকা বেতন দেয়া হবে।
রোমানিয়া ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
রোমানিয়া যেতে বেশকিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যেগুলো ছাড়া কখনো এ আবেদনটি করতে পারবেন না। সরকারিভাবে এ আবেদনটি করতে হলে বিশেষ করে কাগজগুলো আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ কাগজ গুলো ছাড়া একটি আবেদন কখনো সম্ভব হয় না। তাই এখনই জেনে নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি।
ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, বিএমইটি হতে নির্দিষ্ট কাজের একটি সন, পূর্বে কোথায় কাজ করেছেন তার প্রমান, এবং বাংলাদেশ দূতাবাস হতে সত্যায়িত কাগজপত্র।
এ সমস্ত কাগজগুলো ছাড়া আবেদন করা অসম্ভব। তাই আবেদনের পূর্বে এ সমস্ত কাগজগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এবং প্রতিটি কাগজই ভালোভাবে দেখে রাখতে হবে। কোনরকম ভুল যদি হয়ে থাকে তবে সঠিক সময় অনুযায়ী সংশোধন করে রাখতে হবে। তো আপনারা হয়তো সকলেই রোমানিয়া সরকারি ভিসা আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশন প্রসেস সম্পর্কে সঠিক পদ্ধতি জানতে পেরেছেন। তাই আপনাদের কোন রকম অসুবিধা হবে মনে হয় না।