আজকে আমরা কথা বলব সিশেলস ভিসা আবেদন সম্পর্কে। যেমন কিভাবে আপনারা সিশেলস ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এবং এই বিষয়টি করতে কত টাকা খরচ হবে। এবং কি কি প্রসেস রয়েছে।এই ভিসা করার জন্য তা আপনাদের জানিয়ে দেবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তাই আপনারা যদি সিশেলস ভিসা আবেদন সম্পর্কিত তথ্য গুলো জানতে চান। তাহলে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যা থেকে খুব সহজে বুঝতে পারবেন সিশেলস ভিসা আবেদন করতে আপনাকে কি কি করতে হবে।
সিশেলস কেমন দেশ:
আপনার হয়তো অনেকে জানেন না সিশেলস দেশটি কেমন এবং কোথায় অবস্থিত। এই শেয়ার দেশটি ভারত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশে জনসংখ্যার প্রায় অনেক টাই কম। তবে দেশটি অনেক সুন্দর একটি দেশ। যা অন্যান্য দেশের সৌন্দর্যকে হার মানিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই এই দেশটিতে অনেক মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে।এছাড়াও অনেক মানুষ বিভিন্ন রকম কাজের ক্ষেত্রেও যেতে দেখা যায়। যেহেতু সিশেলস দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনা একটু বেশি হওয়ার কারণে সেখানে অনেক রকমের কাজের সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন রকমের হোটেল ,রেস্টুরেন্ট ,ফলের দোকান, ড্রাইভিং, এছাড়াও বিভিন্ন রিসোর্ট রয়েছে। তাই সেই সকল জায়গাগুলোতে কাজের লোকের প্রয়োজন হয়ে থাকে অনেক বেশি।
তবে সিশেলস দেশটিতে জনসংখ্যার পরিমাণ কম হওয়ায় সেখানে তেমন ভাবে কাজের লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিশেলস সরকার নানান রকম কাজের নিয়োগ দিয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশের এই সকল কাজের লোকের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। যার কারণে এটি একটি বড় সুবিধা আমাদের দেশের মানুষের জন্য। তাই আপনারা যদি এখানে কাজের জন্য যেতে চান।তাহলে আমাদের আর্টিকেলের তথ্য মতে আপনি সেখানকার কাজের আবেদনের সঠিক পদ্ধতি গুলো জেনে নিতে পারেন।
সিশেলস যাবার উপায়:
যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে সিশেলস যেতে চাই। তাহলে সেই ক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতি রয়েছে। এই দুইটি পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আর অন্য কোন মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বি এম আইটি এবং বোয়েসেল এর মাধ্যমে সিশেলস দেশটিতে আবেদন করা যেতে পারে। এই দুইটি মাধ্যম ছাড়া আপনি বাংলাদেশ থেকে আর কোনো মাধ্যমেই সিশেলস দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তবে এই দুটি সরকারি সংস্থার মাধ্যমে আপনি যেকোনো ভিসায় সিশেলস যেতে পারবেন। যেমন কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং বিজনেস ভিসা।যে কোন ভিসায় আপনি চেয়ারে যেতে পারবেন এই সংস্থা দুটি মাধ্যমে। বর্তমানে সিশেলস দেশটিতে যাওয়ার জন্য আর অন্য কোন সংস্থাকে সেভাবে অনুমতি দেয়া হয়নি। যার কারণে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আপনি এই চেয়ারে যাবার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
সিশেলস বোয়েসেল নিয়োগ:
বর্তমানে সিশেলস বোয়েসেলের জন্য ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যার কারণে অনেক মানুষ বাংলাদেশ থেকে সিশেলসে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই যে যেই কাজের মাধ্যমে যেতে চান। এর জন্য অবশ্যই সে সকল কাজের প্রতি দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা ছাড়া আপনি সিশেলস কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। যার কারণে আপনি ভিসাটিও করতে ব্যর্থ হবেন।
এর আগে কখনো এমন কাজের জন্য সিশেলস লোক নিয়োগ দেয়নি।এবারে প্রথমবারের মতন সিশেলস দেশ কাজের লোক নিয়োগ দিয়েছে। তাই অবশ্যই দক্ষ কর্মী দরকার বলে জানিয়েছেন সিশেলস সরকার।
সিশেলস যেতে খরচ কত:
আপনাদের আগেই জানিয়েছি বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি চেয়ারে যেতে চান। তাহলে বি এম আই টি অথবা বোয়েসেল এর মাধ্যমে যেতে হবে। তাই এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যদি আপনি চেয়ারে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার খরচ হবে 40 থেকে 50 হাজার টাকার।
এই দুইটি সংস্থা ছাড়া আপনার অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে বর্তমানে সিশেলস যেতে পারবেন না। তাই আপনি যদি সিশেলস যেতে চান। এই দুটি সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী যেতে হবে।
এতক্ষণে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন কি পদ্ধতিতে। এবং কত টাকা খরচ হবে আপনার এই দেশটিতে যেতে। তাই আপনি এখন নির্দ্বিধায় আমাদের দেয়া তথ্য মতে কাজ করতে পারে।
