বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল শহর শহর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যে যানবাহন তা হচ্ছে ভ্যান গাড়ি। আগের দিনে পায়ে চালিত ভ্যান গাড়ির প্রচলন থাকলেও বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বেশিরভাগ ভ্যানগাড়িতে ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। যার কারণে এখন আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করতে পারছি। এতে করে আমাদের সময় এর পাশাপাশি ভাড়া অনেকটা কমে গিয়েছে।
বর্তমানে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে যে সকল ভ্যান গাড়ি গুলো দেখা যায় তা সাধারণত ব্যাটারী দ্বারা ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। আগের দিনের ভ্যান গাড়ি গুলো সাধারণত পায়ের মাধ্যমে চালাতে হতো যার কারণে চালকরা অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে ব্যাটারিচালিত গাড়ি হওয়ার কারণে তাদের কোন ধরনের ক্লান্তি আসে না শুধুমাত্র ভ্যানের উপর বসে তারা স্বল্প সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
এখন আপনাদের মাঝে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে যে ভ্যানের ব্যাটারি দাম কেমন। আর ভ্যানের ব্যাটারি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কি কি কাজে লাগে তার সম্পর্কে। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন ভ্যানের ব্যাটারি দিয়ে শুধুমাত্র ভ্যান গাড়ি চালানো হয় কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা না বর্তমানে এত বেশি চাহিদা রয়েছে শুধুমাত্র দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায় এবং বৈদ্যুতিক ভোল্ট বেশি হওয়ার জন্য।
বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে আমরা আমাদের ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা ও ফ্যান বৈদ্যুতিক বাল্ব ইত্যাদি ব্যবহার করতে আগ্রহী কিন্তু লোডশেডিংয়ের সময় তার ব্যবহার করা যায় না। আপনার যদি একটি ভ্যানের ব্যাটারি থাকে তাহলে আপনি চাইলে এ ভ্যানের ব্যাটারি কে আইপিএস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার এই ভ্যানের ব্যাটারি দ্বারা আপনি মডিফাই করে তা ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।
আপনারা যারা ইন্টারনেটে ভ্যানের ব্যাটারি দাম খুঁজে চলেছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষভাবে লেখা হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে ভ্যানের ব্যাটারি সংক্রান্ত সকল তথ্য উল্লেখ করেছে। আমাদের দেয়া তথ্যগুলো আপনার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভ্যানের ব্যাটারির দাম
ভ্যানের ব্যাটারি ব্যবহার সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন যে এই ব্যাটারি দিয়ে শুধুমাত্র ভ্যান গাড়ি চালানো হয় কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে ভ্যানের ব্যাটারি সাধারণত এত বেশি ভোট দেয়া হয়ে থাকে যে আপনার এলাকায় যদি লোডশেডিং এর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি আপনার ঘরের বৈদ্যুতিক ফ্যান চালাতে পারবেন। ঠিক এই কারণেই বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ভ্যানের ব্যাটারি প্রতি আগ্রহী হয়েছেন।
তারা বিভিন্ন পুরাতন মার্কেটে গিয়ে অথবা ভ্যান চালক দের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে পুরাতন ভ্যানের ব্যাটারি ক্রয় করতে চাই। অন্যদিকে অনেকেই রয়েছেন যারা শোরুম থেকে সরাসরি ভ্যানের ব্যাটারি ক্রয় করে তা বিভিন্ন ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে আইপিএস এর মত তৈরী করে নিতে চান। তবে ভ্যানের ব্যাটারি দামের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা জানতে পারি যে এই ব্যাটারিগুলোর এত বেশি চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাটারিগুলো দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা বেশ কয়েকটি মার্কেটপ্লেস ঘোরাঘুরি করার পর জানতে পেরেছি যে ভ্যানের ব্যাটারি গুলো বর্তমানে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আপনি যদি নতুন ব্যাটারি কিনতে চান তাহলে আপনাকে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকার মতো খরচ করতে হবে যা অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। ভ্যানের ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্য একটু আসল নকল যাচাই করে ব্যাটারি ক্রয় করবেন।
উপরের দেওয়া তথ্যগুলো শুধুমাত্র ভ্যানের ব্যাটারি সংক্রান্ত এবং আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার। বাজার থেকে কোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আসল পণ্য ক্রয় করবেন এবং ভ্যানের ব্যাটারি করে করার সময় যেসকল কোম্পানিগুলো দেশে ব্যাটারির জন্য জনপ্রিয় সেগুলো দেখে ক্রয় করবেন।
