Travel

অবৈধভাবে আমেরিকা যাবার উপায় ও অবৈধভাবে যেতে খরচ কত হবে

আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি সে বিষয়টা হলো অবৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায়।আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন কিভাবে অবৈধভাবে আমেরিকায় যাবেন তার উপায় এবং কত টাকা খরচ পড়বে অবৈধভাবে আমেরিকা যেতে এছাড়াও কতটুকু ঝুঁকি সম্পূর্ণ তা আপনারা সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন আমাদের আর্টিকেল থেকে।

বর্তমানে আমরা বৈধ অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের নানান দেশে গিয়ে থাকি। তবে বৈধভাবে যে কোন দেশে যেতে কোনরকম ঝুঁকিতে পড়তে হয় না। তবে অবৈধভাবে যদি আপনি আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনাকে অনেক রকম অসুবিধার সম্মুখীনে পড়তে হতে পারে। যা অনেকটাই বিপদজন।তাই অবৈধভাবে আমেরিকায় যাওয়াটা কতটুকু বিপদজনক এবং তার উপায় সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল থেকে ভালোভাবে জেনে নিন।

অবৈধভাবে কি আমেরিকায় যাওয়া যায়

আপনি যদি অবৈধভাবে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার অবৈধভাবে যেতে আপনার মধ্যে তিনটি গুণ থাকতে হবে যে তিনটি গুণ অবৈধভাবে আমেরিকা যেতে খুবই প্রয়োজন। যে গুন গুলো মাস্ট বি থাকাই লাগবে সেগুলো হল এক শারীরিক সাক্ষ্যমতা, দ্বিতীয়তঃ প্রয়োজন হবে আপনার ধৈর্য এবং তিন নম্বর প্রয়োজন হবে ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট। এই তিনটি গুণ ছাড়া আপনি কখনো আমেরিকার অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবেন না।

কেননা অবৈধভাবে আমেরিকায় যেতে আপনাকে অনেক বিপদ অনেক কিছুর সাথে মোকাবেলা করতে হবে। তাই নিচে দিয়ে তথ্য অনুযায়ী আরো বিস্তারিত জেনে নিন কেন আপনার এই দিনটি গুণ বিশেষ প্রয়োজন।

অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে আমেরিকায় যেতে হলে

আপনি যদি অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে আমেরিকা প্রবেশ করতে চান। তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ এবং দক্ষ দালালের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তুবে দালালের মাধ্যমে আমেরিকা যেতে আপনার খরচটা ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতন খরচ হতে পারে। তবে দালালরা টাকা ছাড়া কোনো রকম কাজ করবে না। তাদেরকে অগ্রিম ফিফটি পার্সেন্ট টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে। 

তবে আপনার আমেরিকায় যাবার কার্যক্রম শুরু করবে তারা। এবং বাকি টাকাগুলো আপনি আমেরিকায় যাওয়ার পরেও দিতে পারবেন তাতে কোন অসুবিধা হবে না।

অবৈধভাবে আমেরিকা যাবার উপায়

আপনি যখন অবৈধভাবে আমেরিকায় যাবার জন্য প্রস্তুতি হবেন তখন অবশ্যই দালালরা আপনাকে কিছু প্রশিক্ষণ দেবে। যে প্রশিক্ষণ মতই আপনাকে চলতে হবে। প্রথমত আপনি কয়েকটি দেশ বিমানে জার্নি করতে পারবেন। এতে কোনরকম সমস্যা হবে না। যেমন বাংলাদেশ থেকে আপনাকে যেতে হবে দুবাই এবং দুবাই থেকে বিমানে চলে যেতে হবে ব্রাজিল। তারপরে ব্রাজিল থেকে আবার বিমানে করে বলিভিয়া যেতে পারবেন।

আপাতত আপনার বিমান জার্নি এখানেই শেষ। এবার আপনাকে আমেরিকায় উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে স্থলপথ এবং জলপথের মাধ্যমে।এবার আপনার পথ এবং জলপ্রপাতের চাটনি শুরু বলিভিয়া থেকে আপনাকে যেতে হবে পেরু। প্রেরিতাকে আপনাকে যেতে হবে কম্বোডিয়া এবং কম্বোডিয়া যাওয়ার পরে আপনাকে আবারো যেতে হবে পানামা। এভাবে নানান কৌশলে এ দেশগুলো আপনাকে অতিক্রম করতে হবে।

পানামা থেকে বেশ কিছু একটা পথ আপনাকে ছাতরে এবং হেটে পার হতে হবে। যা অনেকটাই কষ্টসাধ্য এর জন্যই অবৈধভাবে আমেরিকা যেতে শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন অবশ্যই  লাগবে। এই সমস্ত পথ পাড়ি দিয়ে আরো কিছু দেশ আপনাকে এভাবে যেতে হবে। সর্বশেষ আপনি কুয়েত মালা থেকে যেতে হবে মেক্সিকো এবং আমেরিকার বর্ডারে এবং সে বর্ডারে যাবার পর গ্রীন সিগন্যাল অনুযায়ী বা আপনার দালালের সিগন্যাল অনুযায়ী আপনাকে আমেরিকা প্রবেশ করতে হবে। আমেরিকায় প্রবেশ করার পরে আপনাকে অনেক রকম অসুবিধায় পড়তে হবে।

আমেরিকার অবৈধভাবে প্রবেশের পর

আপনি আমেরিকার প্রবেশের পর আপনাকে গ্রেফতার করবে আমেরিকান পুলিশ এবং সোজাসুজি আপনাকে নিয়ে গিয়ে আমেরিকার হাইজোতে ঢোকাবে। এবং সেখানে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য আপনার ইমিগ্রেশন মামলা করে দেবে। এবং এই মামলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনার দালাল সে দেশের আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করে সে ব্যবস্থা করে দেবে।

আপনি যখন সেখান থেকে ছাড়া পাবেন। তখন আপনাকে এই অপরাধের জন্য জরিমানা দিতে হবে যা অনেকটাই মোটা অংকের।এবং সেখান থেকে ছাড়ার পর আপনি আমেরিকাতে টেম্পোরারি ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button
Close