Travel

দুবাই থেকে পর্তুগাল কিভাবে যাবেন – দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

আজকে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে যেই তথ্যগুলো জানতে পারবেন। সেগুলো হল দুবাই থেকে পর্তুগাল যাবার উপায় সম্পর্কে। যেমন দুবাই থেকে পর্তুগাল আপনি কি কি প্রসেসে যেতে পারবেন। এবং দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা খরচ হবে। এছাড়াও আরো অনেক তথ্য যেগুলো আপনাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আপনাদের এই অজানা তথ্যগুলো সহজ ভাবে জানতে এবং বুঝতে। আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যা থেকে খুব সহজেই বুঝে উঠতে পারবেন। দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে আপনাকে কি কি করতে হবে। বর্তমানে পর্তুগালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সেখানে অনেক কাজের চাহিদা বেড়েছে। এবং কাজের সংস্থার পরিমাণও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। তাই সেখানে অনেক মানুষের প্রয়োজন পড়ে থাকে।

সে সকল কাজের জন্য বা চাকরির জন্য। অনেক মানুষই সেখানে যাবার জন্য অনেক ভাবে চেষ্টা করছে।অনেকে সফল হচ্ছে আবার অনেকেই পর্তুগাল যেতে পারছে না। যদি কোন ব্যক্তি মনে করে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাবে। তবে সেই ক্ষেত্রে তাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। কেননা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়াটা অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার। তবে যে কেউ চাই। তাহলে দুবাই থেকে পর্তুগাল কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই যেতে পারে।

দুবাই থেকে সেই সুযোগটা দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি কোন ব্যক্তি পর্তুগাল যেতে চায়। তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাকে প্রথমত দুবাই যেতে হবে। এবং দুবাইয়ে এক বছর অবস্থান করার পর দুবাই থেকেই পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আবেদন করতে তবে সে ব্যক্তির পর্তুগাল যাওয়া সম্ভব হতে পারে। তাই দুবাই থেকে কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে পর্তুগাল যাওয়া যায়। এবং কি কি রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এ সমস্ত বিষয়গুলো নিচের আর্টিকেল গুলো থেকেই বুঝতে পারবেন।

দুবাই থেকে পর্তুগাল

দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে হলে অবশ্যই আপনার। দুবাইয়ের দু’বছর মেয়াদী ভিসা থাকা লাগবে। তবে দুবাই থেকে পর্তুগালের ভিসা নেয়া সম্ভব। এছাড়া পর্তুগাল যেতে হলে ইংরেজি ভাষার উপরে দক্ষতা থাকা লাগবে। এবং সেই দক্ষতা অনুযায়ী একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে এবং ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যদি সঠিক থাকে। তাহলে আপনি যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে পর্তুগাল যেতে পারবেন।

দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে কি কি দক্ষতা প্রয়োজন:

প্রথমত পর্তুগাল যেতে হলে আপনার ইংরেজি ভাষায় প্রতি দক্ষতা থাকা লাগবে। যা আপনাদের আগেও বলা হয়েছে। এবং দুবাইয়ে আপনি যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন সেই কাজের ওপর দক্ষতা আছে এমন একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। কেননা আপনি যখন পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন এই  তথ্যগুলো খুবই প্রয়োজনীয়।আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই থেকে পর্তুগাল যাবার আবেদন করতে চাচ্ছেন। 

সেই এজেন্সি আপনার এ সকল তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করবে। এবং যাচাই করার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবে আপনি প্রতিবার যেতে পারবেন কিনা।

পর্তুগাল যেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন:

যেকোনো ব্যক্তি যদি পর্তুগাল যেতে চাই। তবে সে ক্ষেত্রে তার অনেক কিছু কাগজের প্রয়োজন হবে। যে কাগজগুলো ছাড়া আবেদন করতে পারবে না। এবং যদি আবেদন করতে না পারে। তবে সে ব্যক্তি কখনোই পর্তুগাল যেতে পারবেনা। তাই যে সমস্ত কাগজগুলো খুবই প্রয়োজন সেগুলো হলো।

ব্যাংকের একটি চেক, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এনআইডি খাটের ফটোকপি, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এবং দুবাইতে কেউ আছে এমন একজনের স্বাক্ষর। 

এ সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার যদি পর্তুগাল যেতে চান। তাহলে এই সমস্ত কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখুন।

দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে?

কোন ব্যক্তিরই দুবাই থেকে পর্তুগাল যেতে অগ্রিম কোন টাকা প্রয়োজন হবে না। পর্তুগাল ভিসা কমপ্লিট হওয়ার পর বাঁ হাতে পাওয়ার পর আপনাকে টাকা সম্পর্কে তারা জানাবে। 

তবে অবশ্যই তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে। যেটা থেকে আপনার জন্য ভিসা তৈরি করবে। এবং ভিসা হাতে পাবার পর আপনাকে টাকা দিতে হবে।

দুবাই থেকে পর্তুগাল গেলে বেতন কত ?

তুমি থেকে পর্তুগাল যাওয়ার পর যদি আপনি সেখানে কোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি মাসে 700 থেকে 800 ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে। এমনকি সেখানে ওভারটাইম কাজ করারও সুযোগ রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
Close