আপনারা হয়তো অনেকেই ইচ্ছা পোষণ করেছেন সাইপ্রাস যাবার জন্য বা সাইপ্রাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাদের বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যেতে হবে কিভাবে বা বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসের যেতে আপনার করণীয় কি তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তবে আপনারা যদি সত্যিই না জেনে থাকেন তবে আপনাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করেছি সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। যেমন থাইল্যান্ড যেতে আপনাদের টুরিস্ট ভিসা প্রয়োজন। তাই এই টুরিস্ট ভিসা পেতে আপনাকে কোথায় আবেদন করতে হবে। এবং আবেদনের জন্য কত টাকা দিতে হবে। এবং কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে তা সবকিছু বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
তাই আমাদেরই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন। সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত আপনার অজানা অনেক তথ্য।
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা
প্রতিবছরই বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পর্যটকরা গিয়ে থাকে সাইপ্রাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সাইপ্রাসের উঁচু উঁচু সবুজের পাহাড়ে এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য প্রতিটি পর্যটকদের মনে একটি আনন্দের বন্যা নিয়ে আসে। তবে বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ বর্তমানে সাইপ্রাস যেতে চাই বা আপনারা যদি থাইল্যান্ডে যেতে চান। সেক্ষেত্রে কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। যেগুলো পূরণ করে তবে সাইপ্রাস যাবার সুযোগ পাবেন।
তবে বর্তমানে বেশ কিছু ভিসা চালু আছে। রয়াল থাই এম্বাজি সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু এজেন্সির মাধ্যমে এ সকল ভিসা গুলো চালু করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে আপনি সাইপ্রাসে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন:
সাইপ্রাস যেতে হলে আপনাকে তিন মাস মেয়াদি একটি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং একটি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সাইপ্রাসে আপনি সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। বাংলাদেশে আপনি সিলেট, ঢাকা ,চট্টগ্রাম এগুলোতে ঠাই এম্বাসি রয়েছে। এ সকল এম্বাসি গুলোথেকে খুব সহজেই সাইপ্রাসের টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি ঢাকায় সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনের কাগজপত্র জমা দেন সে ক্ষেত্রে আপনার সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মতো সময় লাগবে। এবং আপনি যদি চট্টগ্রামে থাই এম্বাসিতে জমা দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ছয় কর্ম দিবসের মত।
এবং সিলেক্টে যদি আপনি জমা দেন সে ক্ষেত্রে আপনার সাত দিনের মতন সময় লাগতে পারে। সকলে এম্বাসিগুলোতে আপনি পাসপোর্ট জমা দেয়ার পরে খুব সহজভাবে জানতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে যে আপনার কত দিন পর আবার ফেরত দেয়া হবে।
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং:
সাইপ্রাসের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হবে। তার সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেটা তাহলে একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট।
এই সমস্ত কাগজপত্র এবং একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে। তবে আপনি থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া প্রয়োজন হবে অগ্রিম বিমানের টিকিট এবং ফিরে আসার টিকিট। কেননা এগুলো ভিসা প্রসেসিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা ফি কত:
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা ফি ধরা হয়েছে দুইটি ক্যাটাগরিতে। একটি হলো সিঙ্গেল ভিসা,, সিঙ্গেল ভিসা য় সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে ফ্রি দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। এই সিঙ্গেল টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সাইপ্রাস গিয়ে সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত আপনি থাকতে পারবেন।
এ ছাড়া আরেকটি ক্যাটাগরি রয়েছে সেটা হল মাল্টি পল ক্যাটাগরি। এই মাল্টিপল ক্যাটাগরি থেকে সাইপ্রাসের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে ফ্রি দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা যে ভিসাটা ছয় মাস মেয়াদী। এই মাল্টিপল ভিসা নিয়ে গিয়ে সাইপ্রাসে সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত আপনি থাকতে পারবেন।
সাইপ্রাস টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন:
ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট, নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ,দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষার্থীর পরিচয় পত্রের ফটোকপি, চাকরি করলে তার কর্মস্থলের প্রমাণের ফটোকপি সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আছে যেগুলো ছাড়া থাইল্যান্ড পুলিশ ভিসার জন্য আবেদন সম্ভব নয়।
