আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কিভাবে পাসপোর্ট এবং জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায় সেই সম্পর্কে আর ঠিক সেই জন্যই আমরা আজকে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে এসেছেন নতুন একটি আর্টিকেল।
আজকের আর্টিকেলে আমাদের মূল বিষয় হলো কিভাবে পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায় সেই সম্পর্কে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করবেন?
বিশেষ করে যাদের এনআইডি কার্ড নেই তাদের সিম রেজিস্ট্রেশন করা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এখন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।
কিন্তু এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না যে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তবে চিন্তার কারণ নাই কারণ আমরা আছি শুধুমাত্র আপনাদের এরকম সকল প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য।
ঠিক সেই রকমই আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দিব কিভাবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায়। তো চলুন জেনে নেই।
কিভাবে এনআইডি ছাড়াই মোবাইলের সিম কিনবেন
এনআইডি কার্ড ছাড়া জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে আপনি সাধারণত দোকান থেকে সিম কিনতে পারবেন না। এজন্য আপনি যে অপারেটরের সিম কিনতে চান অবশ্যই আপনাকে ওই অফারেটর এর কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে সিম কিনার জন্য।
আপনার নিকটস্থ যে কোন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আপনার জেনে রাখা ভালো যে আপনি জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে মাত্র দুইটা সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন তবে এর বেশি সিম কিন্তু আপনি জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না কোনভাবেই।
আর আপনার রেজিস্ট্রেশন করা সিমটি আপনি ছয় মাস ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর পরে যদি ওই সিম অপারেটর চায় তাহলে আপনার সিমটি বন্ধ করে দিতে পারবে।
কিন্তু আপনি যদি চান সিমটি সজল রাখতে তাহলে আপনার এন আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে সিমটি সচল রাখতে পারবেন। তবে এই ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই আপনাকে সিম কেনার ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে এর বেশি দেরি করা যাবে না।
সাধারণত স্টুডেন্টদের জন্য এই সুবিধাটি দেওয়া হচ্ছে যাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেই তাদের যদি কোন কারনে সিম প্রয়োজন হয় তাহলে তারা ছয় মাসের জন্য দুইটি সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবে কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে।তবে সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে এটা কোন সিমের দোকানে গেলে কিন্তু আপনারা কখনোই সিমটি কিনতে পারবেন না।
এই সুবিধাটি দেওয়ার কারণে যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তারা চাইলে যে কোন অপারেটরের সিম কিনতে পারবে। কিন্তু যদি সিম কেনা থেকে শুরু করে ছয় মাসের ভিতরে এনআইডি কার্ড হয়ে যায় তাহলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড জমা দিয়ে সিমটি রাখতে পারবেন।
পাসপোর্ট এর মাধ্যমে কিভাবে সিম কিনতে পারবেন
আপনারা যারা পাসপোর্ট এর মাধ্যমে সিম কিনতে চান তারা অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলের এই অংশটুকু লক্ষ্য করুন।
যে সকল গ্রাহকদের ভ্যালিড এন আই ডি কার্ড নেই তারা ভ্যালিড পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বাট সার্টিফিকেট এর সাহায্যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে সিম ট্রাই করতে পারবেন।
জিপি প্রিপেইড সিমের মূল্য ২০০ টাকা এবং পোস্ট পেইড সিমের মূল্য ৩০০ টাকা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন গ্রাহককে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তার nid card সাবমিট করতে হবে অথবা তার সংযোগটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স গ্রামীণফোন সেন্টারের ঠিকানা জানার জন্য মাই জিপি অ্যাপের মেনু অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
আশা করি আমাদের আর্টিকেল আপনারা যারা আজকে পড়েছেন তারা জেনে নিতে পেরেছেন কিভাবে পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই সম্পর্কে।
