জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩ – জর্ডান যাওয়ার খরচ, বেতন
আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। যে বিষয়টা প্রতিটি মানুষেরই জেনে রাখা উচিত। যে বিষয়টা নিয়ে আজ আলোচনা করব সেটা হলো জর্ডান গার্মেন্ট ভিসা নিয়ে। আপনার হয়তো অনেকেই জর্ডান গার্মেন্ট ভিসা জয় টানে যাওয়ার জন্য আগ্রহী তবে আপনারা অনেকেই সেখানকার গার্মেন্টস সম্পর্কিত কোন কিছুই জানেন না।
তাই আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন জন গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে পাবেন এবং কত টাকা লাগবে জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা পেতে। এবং এই বিষয়টি করতে কি কি প্রসেস রয়েছে। এই সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার আমাদেরই আর্টিকেল থেকে খুব ভালোভাবেই জানতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে জর্ডান যাওয়ার বিশেষ সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণ পুরুষ গার্মেন্টস শ্রমিক নেবে বলে জানিয়েছেন জর্ডান সরকার। জর্ডানের গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞ এক দক্ষ কিছু শ্রমিক সেখানে নিয়োগ দিয়েছেন। এই কারণে আপনাদের জন্য এটি একটা বড় সুযোগ হতে পারে। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিন নিচের দেয়া তথ্য অনুযায়ী।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে জর্ডান
নতুন করে ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে জর্ডানের কিছু গার্মেন্টস কোম্পানিতে পুরুষ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট ও সার্ভিসের মাধ্যমে খুবই কম টাকা খরচে সে সকল কর্মীরা জর্ডান যেতে পারবে। এবং সেখানে বেশ কিছু গার্মেন্টসে কাজের সুযোগ পাবে।তবে এই গার্মেন্টস বিষয়ে যেতে সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল রিকোয়ারমেন্ট ছাড়া আপনি জর্ডান গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো হল,, মিনিমাম চার বছর কাজের যোগ্যতা থাকতে হবে। এবং আপনি যদি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার 35 বছরের ওপর হতে হবে।
জর্ডানে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
জর্ডানের গার্মেন্টস গুলোতে যে ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ দিয়েছে তা হল ,,মেকানিক। এই ভিসায় শুধুমাত্র ২০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে ২০ জন শ্রমিক সেখানকার গার্মেন্টস গুলোতে কাজের সুযোগ পাবে। এ গার্মেন্টসগুলোতে কাজ পেতে হলে মিনিমাম ৫ বছরের যোগ্যতা থাকতে হবে এবং বয়স সীমা হতে হবে 35 বছর। এই কোম্পানিগুলোতে কাজের ফলে মাসিক বেতন পাবে ৬০ হাজার টাকা।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসাতে খরচ কত:
যে সমস্ত শ্রমিকরা এই গার্মেন্টসগুলোতে কাজের সুযোগ পাবে তাদের বোয়েসেল সার্ভিস সহ বিভিন্ন রকম টিপস সহ এই সমস্ত টিপসের জন্য ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাট দিতে হবে। বোয়েসেল রেজিস্ট্রেশন ফ্রি,ওয়েজ অনার্স কল্যাণ ফ্রি, স্মার্ট কার্ড সহ যে সমস্ত খরচ এগুলো কোম্পানি বহন করবে। কিন্তু যে সকল শ্রমিকরা যাবে তাদের মেডিকেল খরচ।এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর খরচ যে টাকাটা হয়েথাকবে। তা নিজেদের বহন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
এই বিষয়টি করতে হলে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন আছে। যেগুলো ছাড়া কখনোই এ ভিসা টি করা যাবে না। এ বিষয়টি করতে হলে যে কাগজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলো,,,
ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি, বর্তমান অফিসের ফটোকপি ,হাজিরা কার্ডের ফটোকপি, শিক্ষগত এবং অভিজ্ঞতার সনদ, জীবন বৃত্তান্ত একটি কপি। পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি, এবং পাসপোর্ট এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
এই প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো সারা কখনোই গার্মেন্টস ভিসায় জর্ডান যেতে পারবে না। তাই এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো সংগ্রহ করে রাখুন যাতে আপনি সময় মতন কাজে লাগাতে পারেন।
জর্ডান গার্মেন্ট ভিসাতে বেতন কত:
বর্তমানে যে কাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি চালানো হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শ্রমিকরা অনেক রকম সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এবং তার সাথে অনেক পরিমাণ বেতন দেয়া হবে।
এই সকল শ্রমিক গুলো জর্ডান গার্মেন্টসে কাজের ফলে ৪৬ হাজার থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন তুলতে পারবে। এছাড়াও তাদের জন্য আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা গুলো হল,,
শ্রমিকদের বাংলাদেশে যাতায়াতের বিমান ভাড়া সহ যে সকল খরচ হয়। সেগুলো কোম্পানি বহন করবে। এছাড়াও চিকিৎসা খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার খরচ কোম্পানির বহন করবে। যা এই শ্রমিকদের জন্য অনেকটাই লাভ জনক।