কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশে যে সকল ব্যাংক রয়েছে তাদের মধ্যে বেকারদের সমস্যা দূর করার জন্য এবং আত্মকর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। বেকারদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং তাদের জীবনের লক্ষ্যের ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকে না জানার কারণে লোন গ্রহণ করতে পারছেন না। কেননা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোন নেওয়ার জন্য একটু ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং বেশ কিছু ভিন্ন শর্ত অনুযায়ী তাদের গ্রাহকদের লোন প্রদান করেন। তাই এই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যারা লোন গ্রহণ করতে আগ্রহী এবং যারা লোন গ্রহণ করা নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের এয়ার টিকেট লেখা হয়েছে।
আজকের আমাদের এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কর্মসংস্থান ব্যাংক কি এবং কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সুতরাং মনোযোগ সহকারে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন এবং কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করুন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক কি?
কর্মসংস্থান ব্যাংক হলো বাংলাদেশের একটি ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান’ যা দীর্ঘদিন যাবৎ দরিদ্র বিমোচন ও লক্ষ্যে মহিলাদের ঋণ সহায়তা ও বেকারত্ব দূর করার জন্য আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাজার 998 সালের শুরুর দিকে এই ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়।
ব্যাংকে যে সকল সেবা সমুহ দিয়ে থাকে তা হল:
- ব্যাংকিং সেবা
- কর্পোরেট ব্যাংকিং
- বিনিয়োগ ব্যাংকিং
- কনজ্যুমার ব্যাংকিং
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোনের সুবিধা
কর্মসংস্থান ব্যাংক সাধারণত বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্য বিমোচন করার লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ব্যবসা খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে। যা বাংলাদেশের মানুষের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে ভূমিকা পালন করছেন। আপনারা যারা কর্মসংস্থান ব্যাংক সম্পর্কে কম-বেশি জানেন তারা ব্যাংকের লোন সুবিধা সম্পর্কে ধারণা ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য যে সকল সুবিধা দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেকারদের কোন ধরনের জামানত ছাড়াই সরকারি খাতের বিশেষত্ব ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করছে। অন্যদিকে এই ব্যাংকের ঋণের সুদের হার মাত্র 11 থেকে 13 শতাংশ পর্যন্ত।
পুরাতন ব্যবসায়ীদের ক্ষুদে ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা করার জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এদেরকে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করেন। আপনি চাইলে কিস্তিতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ 5 লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ 25 লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কিছু রয়েছে যেগুলোর মধ্যে আপনাকে লোন গ্রহণ করতে হবে। যার কারণে নিচের অংশে আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই ব্যাংকটি সাধারণত দুইটি কর্মসূচিতে পরিচালিত হয় একটি হলো তাদের নিজস্ব কর্মসূচি আর অন্যটি হলো সরকারের বিশেষ কর্মসূচি। কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন দেওয়া হয় নিচের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
- ক্ষুদে ব্যবসায়ী ঋণ কর্মসূচী
- বিদেশে কর্মসংস্থান ঋণ
- কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের ঋণ
- শিল্প-কারখানার ঋণ
- শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পে ঋণ প্রদান
- পানি সম্পদ ও মৎস্য ঋণ
- গৃহ নির্মাণ ঋণ
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য একজন উদ্দ্যোক্তাকে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সমস্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে সকল কাগজপত্র জমা দান করার মাধ্যমে ব্যাংকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঋণ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করার পর লোন প্রদান করবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্ত
- তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে বাংলাদেশের নাগরিক ব্যতীত অন্য কাউকে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না।
- স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অর্থাৎ উদ্যোক্তাকে অবশ্যই কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখার অধিক ক্ষেত্রের স্থায়ী বসবাসরত বাসিন্দা হতে হবে।
- লোন গ্রহণকারীকে অবশ্যই অর্ধ বেকার বেকার হতে হবে।
- উদ্যোক্তার বয়স 18 থেকে 35 বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
- পূর্ববর্তী ঋণ এবং ব্যবহারের যোগ্যতাসহ পরিষদের ক্ষমতা ও সুনামের অধিকারী হতে হবে।
- ঋণখেলাপি অভিযোগ থাকলে আপনাকে ঋণ পাওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হতে হবে।
- ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন গ্যারান্টার থাকতে হবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন পেতে হলে আপনাকে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে তার একটি তালিকা আমরা নিচের অংশের প্রকাশ করেছি।
- আবেদনের জন্য ব্যাংক থেকে ফ্রম সংগ্রহ করতে হবে।
- গ্রহণকারী কে পাসপোর্ট সাইজের 2 কপি সদ্য তোলা ছবি। জমা দিতে হবে
- গ্যারেন্টি হিসেবে আপনি যে ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছেন তার সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নাগরিক সনদপত্র।
- ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
উপরের উল্লেখিত কাগজপত্র প্রাথমিকভাবে সকল ধরনের লোনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। তবে কর্মসংস্থান ব্যাংক সাধারণত আপনার টাকার ওপর নির্ভর করে কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। ব্যাংকের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে লোন গ্রহণ করার জন্য যে সকল কাগজপত্র দরকার হবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে।