Travel

মাল্টা ভিজিট ভিসা ২০২৩ আবেদন এবং খরচ

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ দেশে নানান কাজের সন্ধানে গিয়ে থাকে। তেমনি বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মাল্টাতেও গিয়ে থাকে শুধুমাত্র একটি ভালো কাজের জন্য। তা আপনারা যারা মাল্টাই কাজের জন্য যাবার কথা ভাবছেন তার একজন ঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজ আমরা প্রকাশ করতে চলেছি মালটা ভিজিট ভিসা সম্পর্কে।

মালটা ভিজিট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন।  কত টাকা লাগবে এই আবেদনটি করতে এবং এই আবেদনটি করতে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজ দরকার। এই সকল তথ্যগুলো আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে। মাল্টা ভিজিট ভিসা করতে।

মাল্টা একটি দেশের নাম। এদেশে মানুষ নানান কাজের সন্ধানে দিয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা এই দৃষ্টিতে ভিজিট ভিসা মাধ্যমে যেতে চান আমাদের সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে বুঝে নিন আপনাকে আর কি কি করতে হবে।

মাল্টাতে কেন যাবেন?

মাল্টা দেশটি পৃথিবীর একটি অন্যতম সুন্দর দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশে অনেক মানুষ যাওয়া আসা করে। কেউবা এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই আবার অনেকেই অনেক রকম কাজে বা বিজনেসের জন্য গিয়ে থাকে।

দেশটিতে অনেক রকম কাজের সংস্থান তৈরি হচ্ছে। যার জন্য সেখানে অনেক কাজের লোক প্রয়োজন,,এ কারণেই বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত অনেক মানুষই সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। এমনকি সে দেশে অনেকেই বিজনেস প্ল্যান করে সেখানে বিজনেসের উদ্দেশ্যে উড়িয়ে থাকে।

মাল্টা ভিজিট ভিসা

করোনা মহামারীর কারণে এদেশে বাইরে দেশ থেকে মানুষের যাতায়াত বন্ধ ছিল। তবে ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে মালটাই আবার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অনেক মানুষ নিচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে মাল্টা ভিজিট ভিসা চাহিদা অনেকটাই বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়াও টুরিস্ট ভিসা বর্তমানে ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। এখন যে কেউ টুরিস্ট হিসেবে মাল্টাই যেতে পারে। তবে একটু বেশি ভিসায় যেতে হলে আপনার এই বিষয়টির অনেক জোরালোভাবে নজর দেয়া হয়েছে।

যেমন যে ব্যক্তি টুরিস্ট হিসেবে এদেশটিতে যাবে তার করোনা ভ্যাকসিন দেয়া আছে কিনা প্রমাণ এবং প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট এবং কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েই মাল্টার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।

মালটা ভিজিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া:

আপনি যদি মাল টাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মালটা দ্রুতাবাসে আবেদন করতে হবে। এবং এই আবেদনটি করার পর আপনার আবেদনটি যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে ২৭ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে আপনাকে এপ্রুভাল দেয়া হবে। শুধুমাত্র এই মালটা দূতাবাসের মাধ্যমেই আপনি মাল্টা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মাল্টা ভিজিট ভিসার দাম কত?

বর্তমানে আপনি যদি মালটা ভিজিট ভিসা করতে চান তাহলে আপনাকে ১৫০ ডলারের মতন খরচ করতে হবে। এই ১৫০ডলার শুধুমাত্র ভিসা করার জন্য খরচ হবে। এবং আপনার বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক আরো নানান রকম খরচ যেগুলো।সেগুলো আলাদাভাবে খরচ করতে হবে। তুই শুধুমাত্র ১৫০ ডলার এর মতন খরচ করতে হবে ভিজিট ভিসার ফি হিসেবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

যেহেতু আপনি ভিজিট ভিসা করার কথা ভাবছেন। সেহেতু আপনার ভিসাটি করতে নানান রকম কাগজের প্রয়োজন হবে। যে কাগজ গুলো ছাড়া আপনি কখনোই এই ভিজিট ভিসা করতে পারবেন না। যে কাগজগুলো ভিজিট ভিসা করতে খুবই প্রয়োজন সেগুলো হলো,,

ছয় মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট এর ফটোকপি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি,নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি, বিমানের টিকিটের ফটোকপি, অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করলে তার প্রমাণ, এবং হোটেল বুকিং এর ফটোকপি সহ এই কাগজপত্রগুলো ভিজিট ভিসা করতে খুবই প্রয়োজনীয়।

ঢাকাতে মিলবে মাল্টা ভিসা:

ঢাকাতেও আপনি ইচ্ছে করলে মালটা ভিসা সংগ্রহ করতে পারে বা বিশেষ সম্পর্কিত সকল কাজ করতে পারবেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা।

বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিজিট ভিসা সম্পর্কিত নানান কাজ করতে পারবে। বিএমআইডি এবং বোয়েসেল-এর মাধ্যমে সরকারি ভাবে আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যার কারণে আপনাকে আর কোনরকম হয়রানিতে পড়তে হবে না।

Tags

Related Articles

Back to top button
Close