মানুষের খাবার হিসেবে যেই সকল তরকারি রান্না করা হয় তার মধ্যে অনেক রকমের মসলার প্রয়োজন হয় সেগুলো ছাড়া আসলে তরকারি রান্নাটা অসম্ভব। তবে তরকারির মসলা হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই প্রয়োজনীয় মসলা হিসেবে ব্যবহার হয় পেঁয়াজ। মসলার মূল উৎস হল পেঁয়াজ যেটা ছাড়া কোন রকমের তরকারি রান্না করা সম্ভব নয় তাই পেঁয়াজের গুরুত্ব অনেক।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশও পেঁয়াজ চাষ করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত দুই থেকে তিন প্রকারের পেঁয়াজ চাষ করা হয়। যেগুলো সবগুলোই আবাদ করা হয় শীতের মৌসুমে। শীতের মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ অনেকটাই সহজ হয়ে থাকে। যার কারণে শুধুমাত্র শীতের মধ্যেই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব হয় বাংলাদেশি কৃষকদের জন্য।
অন্যান্য দেশগুলোতেও সিতের মৌসুমী পেঁয়াজ চাষ করা হয়। যার কারণে শীত মৌসুমে বাংলাদেশের পেঁয়াজের চাহিদাটা বেশি থাকে। যার কারণে মোটামুটি কম টাকায় পেঁয়াজ ক্রয় করা যায় শীতের মৌসুমে।
তবে যখন শীত পেরিয়ে যায় বা পেঁয়াজ চাষ বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে কিছু পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কেননা পেঁয়াজ চাষে বা পেঁয়াজ চাষ এখন সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে পেঁয়াজের মূল্য একটু বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। তবে প্রতিবছরই পেঁয়াজ ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে থাকে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে পেয়াজি নয়। ভারত থেকে ও বেশ কিছু পেয়াজ আসে বাংলাদেশে। যেগুলো দেখতে এবং স্বাদের দিক থেকে প্রায় আলাদা। ভারতের হিলিতে চাষ হয়ে থাকে একপ্রকার পেঁয়াজ। যেগুলো দেখতে বাংলাদেশী পেঁয়াজের থেকে সাইজ একটু বড় এবং সাদের দিক থেকেও আলাদা। তবে এই পেজটি যখন বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশের দিনাজপুর অঞ্চলে প্রবেশ করে তখন থেকে বাংলাদেশে বাজারজাত শুরু হয়।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশে যে সকল পেঁয়াজগুলো বাজারে পাওয়া যায় সেগুলোর দাম বাড় আগের থেকে প্রায় ছয় টাকা কমেছে। বর্তমানে এখন যে সকল পেঁয়াজগুলো পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো দাম সম্পর্কে আপনাদের নিজে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা তালিকা আকারে প্রকাশ করছি পেঁয়াজের দাম।
পেঁয়াজের পরিমাণ: ১ কেজি
বর্তমান বাজার দর: ৪৫-৫০ টাকা
পেঁয়াজের পরিমাণ : ১০ কেজি
বর্তমান বাজার দর : ৪৫০- ৫০০
পেঁয়াজের পরিমাণ : ১০০ কেজি
বর্তমান বাজার দর : ৪৫০০- ৫০০০
পেঁয়াজের পরিমাণ : ১০০০ কেজি
বর্তমান বাজার দর : ৪৫০০০- ৪০০০০
এতক্ষণ হয়তো আপনারা খুব সহজে আমি বুঝতে পেরেছেন বর্তমান পেঁয়াজ এর দাম সম্পর্কে। আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে তালিকা আকারে প্রকাশ করেছি। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং আপনি যদি ১০ কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করেন তবে আপনাকে ৪৫০ টাকা থেকে 500 টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। এছাড়া আপনি যদি ১০০ কেজি পেঁয়াজ কয় করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ৪৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে।
আপনার সর্বশেষ লক্ষ্য করেছেন পেয়াজের দাম বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৪৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখানে আপনারা যেই পেঁয়াজের দাম গুলো লক্ষ্য করলে এগুলো বর্তমান পেঁয়াজের দাম। তবে এই একই দামে আপনি পরবর্তী সময়ে পেঁয়াজ নাও পেতে পারেন। কেননা পেঁয়াজের সংকট হওয়ায় অনেক সময় পেঁয়াজের দাম বাড়তি হয়ে থাকে। যার কারণে সব সময় পেঁয়াজের দাম এক থাকে না। তাই শুধুমাত্র এই দাম দিয়ে আপনি বর্তমানে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
তবে বাজারে গিয়ে যদি আপনি এর থেকে বেশি দাম দিতে হয় তবে সেই পেঁয়াজ কেনাটা আপনার জন্য উচিত হবে না। কেননা আপনি একজন মূল্য ছাড়া যদি পেয়াজ কিনতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক হবে তাই অবশ্যই না জমুনলেস ক্রয় করবেন। এতক্ষণে হয়তো আপনারা পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনাদের অনেকেরই অজানা ছিল বাংলাদেশী পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করেছি বাংলাদেশী পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে। তাই এখন আপনারা নিশ্চিন্তে এই ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করতে পারবেন বলে মনে করছি। পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে আপনাদের আর কোনরকম প্রতারণায় পড়তে হবে না এখন থেকে।
