সাধারণত মানুষের বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন হয় খাবারের। খাবার ছাড়া বা না খেয়ে মানুষ কখনোই বেঁচে থাকতে পারে না। তাই প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন হয় বিভিন্ন রকমের খাবার। মানুষের দৈনিক খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ অনেক রকম খাবার খেয়ে থাকে। যে সকল খাবার গুলো দেহের ঘাটতি পূরণ করে।
শাকসবজি, শর্করা, তার পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় মানুষের আমিষের খুবই প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করা যায় যেমন মাছ, মাংস, ডাল। এছাড়াও আরো অনেক কিছুতেই আমিষের চাহিদা পূরণ করা যায়। মাংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দেহের জন্য কেননা আমিসের ঘাটতি পূরণ করতে মাংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাংস সাধারণত আমরা গরুর ছাগল হাঁস মুরগি এ সমস্ত প্রাণীর মাংস দিয়ে মানুষের ঘাঁটি পূরণ করে থাকি। যা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সকল প্রকার মাংসের মধ্যে সব থেকে সহজেই এবং কম টাকা দিয়ে পাওয়া যায় মুরগি। মুরগির মাংস মানুষের দেহের অনেকটাই আমিষের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছে যারা মুরগি পালন করে থাকে। এছাড়া অনেক খামার রয়েছে যেগুলোতে বিপুল পরিমাণ মুরগি পালন করা হয়। যেগুলো থেকে মুরগী সংগ্রহ করে বাজারজাত করে সাধারণ মানুষরা কিনে থাকে। বাজারে বিভিন্ন রকম মুরগি দেখা যায় এক একটি মুরগি একেক রকম হয়ে থাকে।
সাধারণত আমরা বাজারে যে সকল মুরগি গুলো কিনে থাকি সেগুলো বিভিন্ন রকম দামে কিনতে হয় তবে বর্তমানে প্রতিটি মুরগির দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা বাংলাদেশের সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। কারণ মুরগি লালন পালনের যে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন মুরগির খাবার। মুরগির খাবার সাধারণত যে সমস্ত খামারগুলো আছে সে সকল খামার গুলোর মুরগিকে খাবারের জন্য আলাদাভাবে খাবার কিনে আনা হয়।
সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মুরগির খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও মুরগি লালন পালনের জন্য অনেক রকম প্রসেসিং রয়েছে যেগুলো প্রায় অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে বাজারে প্রতিটি মুরগির দামি একটু বেশি লক্ষ্য করা যায়। বাজারে যে সকল মুরগিগুলো দেখা যায়। যেমন,, লেয়ার,পল্টি ,পাকিস্তানি ,কক মুরগি সহ আরো বিভিন্ন রকম মুরগি আছে। যেগুলোর দাম প্রায় আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
সব পণ্যের সাথে সাথে মুরগির দাম ও ওঠানামা করে থাকে কেননা বছরের কিছু মৌসম আছে যেগুলোতে মুরগি লালন পালন করা অত্যন্ত সহজ এবং সঠিকভাবে লালন পালন করা হয় যার কারণে মুরগি ব্যবসায়ীদের কোনরকম ক্ষতি হয় না। যেহেতু খুব সহজেই মুরগি লালন পালন করা যায় এবং তার জন্যই মুরগির দামটা কিছু সময় কম লক্ষ্য করা যায়।
তবে শীতের সময়ে মুরগি লালন পালন করা খুবই কঠিন হয়ে যায় খামারিদের ক্ষেত্রে। কেননা প্রচন্ড শীতের কারণে মুরগি অনেক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও শীতের মধ্যে অনেক রকম রোগ জীবাণু সৃষ্টি হয় যার কারণে প্রায় অনেক মুরগি খামার থেকেই মারা যায় এতে খামারিরা অনেক রকম অসুবিধায় পড়ে যায় বা অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। যার কারনে শীতের সময় মুরগির দামটা একটু বেশি হয়ে থাকে।
তাই বর্তমানে সকল প্রকার মুরগির দাম নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা এই সকল মুরগিগুলোর দাম জানেন না তারা খুব সহজভাবেই আমাদের আর্টিকেলে প্রকাশিত মুরগির দাম গুলো দেখে জেনে নিতে পারেন বাজারে মুরগির দাম সম্পর্কে।
আজকের মুরগির বাজার:
কক মুরগি: কক মুরগি সাধারণত প্রতিটি মানুষেরই পছন্দের। কেননা কক মুরগিতে রয়েছে অনেক প্রোটিন এবং কক মুরগির মাংস খেতে মানুষ অনেকটা পছন্দ করে থাকে। যার কারণে কক মুরগি চাহিদা বাংলাদেশে অনেকটাই বেশি। বর্তমানে কক মুরগির মাংস প্রতি কেজি ২৭০ টাকা।
লেয়ার মুরগি: অন্যান্য মুরগির সাথে সাথে লেয়ার মুরগির চাহিদাও অনেকটাই বেশি। বর্তমানে এই লেয়ার মুরগির দাম ২৯০ টাকা কেজি।
পাকিস্তানি মুরগি: পাকিস্তানি মুরগি সাধারণত বাংলাদেশে অনেক জায়গায় পালন করা হয় তবে পাকিস্তানি মুরগির দামটা একটু বেশি। কেননা এ মুরগিটির রয়েছে অনেক প্রোটিন এবং অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এই পাকিস্তানি মুরগির মাংস। তাই বর্তমানে বাজার অনুযায়ী এই পাকিস্তানি মুরগির দাম ৩৩৫ টাকা কেজি।
